সিলেটের ছয়টি আসনে আগাম নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন প্রার্থীরা। বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ও তাঁদের কর্মী-সমর্থকেরা চষে বেড়াচ্ছেন গ্রাম থেকে শহর। সভা, সমাবেশ, মিছিলের পাশাপাশি ভোটারদের ঘরে ঘরে গিয়ে দোয়া ও ভোট চাইছেন প্রার্থীরা।

আজ রোববার দিনভর জেলার ছয়টি আসনে একাধিক প্রার্থী নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন। সকালে সিলেট নগরের কালীঘাট, শাহচট, আমজদ আলী রোড, মহাজনপট্টি, কাষ্টঘর, লালদিঘিরপাড়, হকার্স মার্কেট, ব্রহ্মময়ীবাজার, সিটি মার্কেটসহ বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করেন সিলেট-১ (নগর-সদর) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী খন্দকার আবদুল মুক্তাদির।

গণসংযোগকালে খন্দকার আবদুল মুক্তাদির বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে সিলেটকে ব্যবসায়িক অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলা হবে। সিলেটের ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় বিএনপি সব সময় কাজ করবে। অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে সিলেটের ব্যবসার জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে ব্যবসায়ীদের নিয়ে পরিকল্পনা করে কাজ করব।’

এ সময় সিলেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম, সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সহসভাপতি জিয়াউল হক জিয়া, মহানগর বিএনপির সহসভাপতি আমির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে গত শনিবার রাতে নগরের জালালাবাদ এলাকায় সিলেট-১ আসনের জামায়াতের প্রার্থী মাওলানা হাবিবুর রহমানের সমর্থনে নির্বাচনী সভা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও সিলেট মহানগরের আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, নির্বাচন এলে রাজনৈতিক দলগুলো নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় গিয়ে জনগণের কথা ভুলে গিয়ে নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। চব্বিশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর মানুষের মধ্যে পরিবর্তনের আওয়াজ উঠছে। তাঁরা সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজমুক্ত সমাজ চান। হাবিবুর রহমানকে বিজয়ী করার মাধ্যমে সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজমুক্ত সিলেট গড়া সম্ভব।

সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় মুরব্বি আবদুল মতিন শাহীন। ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সেক্রেটারি আবদুল মাজিদের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মহানগর জামায়াতের বায়তুল মাল সেক্রেটারি মুফতি আলী হায়দার, বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরিনের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মাহমুদুর রহমান, জালালাবাদ থানা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মাসুদ রানা তুহিন প্রমুখ।

সিলেট-১ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হাবিবুর রহমানের নির্বাচনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মহানগর জামায়াতের আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম। নগরের জালালাবাদ এলাকায় গতকাল শনিবার রাতে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবস য় র রহম ন আবদ ল ম নগর র ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা ধসিয়ে দিয়েছে রাশিয়া, অন্ধকারে বিভিন্ন অঞ্চল

ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো লক্ষ্য করে রাশিয়া ব্যাপক হামলা চালানোর পর দেশটিতে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে বিভিন্ন অঞ্চল। আজ রোববার ৮ থেকে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎবিভ্রাটের সতকর্তা জারি করেছে দেশটির বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা ইউক্রেনেরর্গো। হামলার জেরে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ‘শূন্যের’ কোঠায় নেমে এসেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

গত কয়েক মাসে ইউক্রেনের বিভিন্ন অবকাঠামোয় হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে রাশিয়া। দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে শুক্রবার থেকে শনিবার পর্যন্ত কয়েক শ ড্রোন হামলা চালিয়েছে মস্কো। ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই হামলায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন।

ইউক্রেনের্গো জানিয়েছে, ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ অবকাঠামো মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। বিকল্প উৎস থেকে সরবরাহ নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। গত শনিবার ইউক্রেনের জ্বালানিমন্ত্রী ভিতলানা গ্রিনচুক জানিয়েছেন, কিয়েভ, নিপ্রোপেত্রাভস্ক, দোনেৎস্ক, খারকিভ, পলতাভা, চেরনিহিভ ও সুমিতে সরবরাহ কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে। তবে সেখানে নিয়মিত বিদ্যুৎবিভ্রাট থাকবে।

স্থানীয় টেলিভিশন ইউনাইটেড নিউজকে ভিতলানা গ্রিনচুক বলেছেন, শত্রুরা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। এটি প্রতিহত করা খুব কঠিন। আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর এমন হামলা হয়নি।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিয়া জানিয়েছেন, রুশ ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকায় দুটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তিনি এ ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানাতে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

আন্দ্রি সিবিয়া তাঁর টেলিগ্রাম চ্যানেলে লিখেছেন, ‘রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে ইউরোপের জ্বালানি নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে। এই অগ্রহণযোগ্য ঝুঁকির জবাব দিতে আমরা আইএইএর গভর্নর বোর্ডের জরুরি বৈঠকের আহ্বান জানাচ্ছি।’

হামলা বন্ধে রাশিয়ার ওপর চাপ প্রয়োগ করতে চীন ও ভারতের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। দেশ দুটি রাশিয়ার জ্বালানি তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা হিসেবে পরিচিত।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর হামলার কারণে শীতের আগে ইউক্রেনের তাপ সরবরাহ ব্যবস্থা ঝুঁকিতে পড়েছে। দেশটির শীর্ষ জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ওলেকজান্দ্রা খারচেঙ্কো সতর্ক করে বলেছেন, তাপমাত্রা যখন হিমাঙ্কের ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসবে, তখন কিয়েভের দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও তাপকেন্দ্র তিন দিনের বেশি বন্ধ থাকলে রাজধানীতে ‘প্রযুক্তিগত বিপর্যয়’ তৈরি হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ