জুলাই সনদের যে পাতায় সই করেছি, তা বাদ দিয়ে অন্য পাতা ঢোকানো হয়েছে
Published: 9th, November 2025 GMT
জুলাই সনদে প্রতারণার অভিযোগ তুলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘‘বৃষ্টিতে ভিজে সংসদ ভবনের জুলাই সনদে সই করেছি। কিন্তু যে সনদে আমি সই করেছি, আর যেটি প্রধান উপদেষ্টাকে দেওয়া হয়েছে—দুটি এক নয়। আমরা যে পাতায় সই করেছি, তা বাদ দিয়ে সেখানে অন্য পাতা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটি স্পষ্ট প্রতারণা ও অন্যায়।’’
রবিবার (৯ অক্টোবর) ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ৯ নম্বর রায়পুর ইউনিয়নের আয়োজনে ভাউলার হাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় তিনি এই অভিযোগ করেন।
আরো পড়ুন:
নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় বিএনপি বিজয়ী হবে: ফখরুল
গণভোট-সনদ জনগণ বোঝে না: মির্জা ফখরুল
অবিলম্বে তফসিল ঘোষণা করে জাতীয় নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘‘কয়েকটি দল মিলে নির্বাচনকে দেরি করার চেষ্টা করছে। কারণ তারা নির্বাচনকে ভয় পায়। তাই তারা নির্বাচন পেছাতে চায়। কিন্তু, আমাদের কথা খুব পরিষ্কার। নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাসের একদিন বেশি হলে জনগণ তা মেনে নেবে না। সবাই এখন ভোট দিতে চায়, পরিবর্তন চায়; গণতন্ত্র ফিরে পেতে চায়।’’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘দেশে এখন একটি নাটকীয় অবস্থা তৈরি হয়েছে। জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা জানাতে চাই-জনগণ আর প্রতারিত হবে না।’’
তিনি বলেন, ‘‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন—বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ১৫ মাসের মধ্যে এক কোটি বেকারের কর্মসংস্থান করা হবে। আর আমাদের ঘোষিত ৩১ দফা দাবি পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।’’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘আমরা এমন একটি সরকার গঠন করতে চাই—যেখানে থাকবে জনগণের ক্ষমতা, মানুষের অধিকার ও কথা বলার স্বাধীনতা। দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করাই এখন বিএনপির প্রধান লক্ষ্য।’’
ঢাকা/হিমেল/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম র জ ফখর ল ইসল ম আলমগ র ব এনপ র ফখর ল
এছাড়াও পড়ুন:
আমাদের আত্মপরিচয়ের সংকট নিরসন করেছেন জিয়াউর রহমান: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আমাদের আত্মপরিচয় নিয়েও একটা সংকট ছিল। সেই আত্মপরিচয়ের সংকট নিরসন করেছেন জিয়াউর রহমান (বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি)।’
আজ শুক্রবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের রুহুল কবির রিজভী এ কথা বলেন। ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বাহাত্তরে যাঁরা ক্ষমতা নিলেন, সেখানে সংকট তৈরি হয়েছিল। তাঁরা যে জাতীয়তার কথা বললেন, সেটাও একটা বিতর্কিত জাতীয়তা। এটা আঞ্চলিক পরিধিতে গণ্য হতে পারে। কিন্তু যে জাতীয়তার মধ্যে ভূখণ্ডের প্রতিনিধিত্ব নেই, যে জাতীয়তার মধ্যে আমার স্বতন্ত্র সত্তা, পতাকার প্রতিনিধিত্ব নেই; সেটা তো একটা জাতীয়তা হতে পারে না। সেটাও নিরসন করলেন জিয়াউর রহমান।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ—এই নামটির মধ্যে আমার ভূগোল, আমার মাটি, আমার পানি, আমার বৃক্ষ, পাখি সবকিছুরই প্রতিনিধিত্ব করল। এই শব্দটি বলার সঙ্গে সঙ্গে আমরা আমাদের আত্মপরিচয়কে সুন্দরভাবে গোটা বিশ্বের কাছে উদ্ভাসিত করতে পারি। অর্থাৎ আমাদের আত্মপরিচয়ের সংকটকে নিরসন করলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। এরপর বহুদলীয় গণতন্ত্র, গণতন্ত্রের পথচলা—সবকিছু নিশ্চিত হলো যে মানুষটির মধ্য দিয়ে, তিনি শহীদ জিয়াউর রহমান।’
অনুষ্ঠানে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর জিয়াউর রহমান সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে জাতীয়তাবাদ বিনির্মাণে সক্ষম হয়েছিলেন। তবে তিনি বলেন, চব্বিশের অভ্যুত্থানের পর যে জন–আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছিল, তা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। ৫ আগস্টের পর থেকে একটি গোষ্ঠী বিভক্তির কাজে লিপ্ত রয়েছে।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর আমরা যেমন কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ চেয়েছিলাম, সে রকম একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। ৭ নভেম্বর আমাদের শিখিয়েছে, সব ষড়যন্ত্রকে রুখে দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’ তবে তিনি বলেন, চব্বিশের ছাত্র–জনতার বিপ্লবের পরও ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি। আগামী দিনে যারা গণতন্ত্র নস্যাৎ করতে চায়, তাদের ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দেওয়া হবে।