যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রাশিদা রহমান।

রবিবার (৯ নভেম্বর) আদালতে তিনি মামলা দায়ের করলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শান্তনু কুমার মণ্ডল অভিযোগটি আমলে নিয়ে ডিবি পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী মো.

আব্দুল্লাহ।

আরো পড়ুন:

সিদ্ধিরগঞ্জে মাইক্রোবাসে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

জঙ্গলে নবজাতকের মরদেহ, যুবকের বিরুদ্ধে মামলা

মামলায় বাদী উল্লেখ করেছেন, রাশিদা রহমান দলীয় সভানেত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। দেলোয়ার হোসেন খোকন রাজনৈতিকভাবে বাদীকে হেয় করার জন্য বিভিন্ন সময় অপমান, অপদস্ত ও মানহানিকর বক্তব্য দিয়ে আসছেন। বাদী তা মুখ বুজে সহ্য করে আসছিলেন।

এর মধ্যে শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে যশোর রেড ক্রিসেন্ট অফিসের দ্বিতীয় তলায় আয়োজিত সভা শুরুর আগে কথাবার্তার এক পর্যায়ে সবার সামনে অকথ্য ভাষা ব্যবহার করেন দেলোয়ার হোসেন খোকন। এ সময় তিনি বাদীর ছেলেকে নিয়েও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন এবং নানা ধরনের হুমকি ধামকি দেন।

পরে আশপাশের লোকজন এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় বাদী সবার সামনে লজ্জিত হয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এতে তার মানহানি হয়েছে উল্লেখ করে দেলোয়ার হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে আদালতে এ মামলা করেন তিনি।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন বলেন, “তিনি  বড় বোন। হয়তো মেজাজ হারিয়ে মামলাটি করেছেন। মামলা করার অধিকার সবার রয়েছে। তিনি আইনের আশ্রয় নিয়েছেন, আমিও আইনি উপায়ে বিষয়টির সমাধান চাই।”

ঢাকা/রিটন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম মল ব এনপ কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা ধসিয়ে দিয়েছে রাশিয়া, অন্ধকারে বিভিন্ন অঞ্চল

ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো লক্ষ্য করে রাশিয়া ব্যাপক হামলা চালানোর পর দেশটিতে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে বিভিন্ন অঞ্চল। আজ রোববার ৮ থেকে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎবিভ্রাটের সতকর্তা জারি করেছে দেশটির বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা ইউক্রেনেরর্গো। হামলার জেরে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ‘শূন্যের’ কোঠায় নেমে এসেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

গত কয়েক মাসে ইউক্রেনের বিভিন্ন অবকাঠামোয় হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে রাশিয়া। দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে শুক্রবার থেকে শনিবার পর্যন্ত কয়েক শ ড্রোন হামলা চালিয়েছে মস্কো। ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই হামলায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন।

ইউক্রেনের্গো জানিয়েছে, ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ অবকাঠামো মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। বিকল্প উৎস থেকে সরবরাহ নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। গত শনিবার ইউক্রেনের জ্বালানিমন্ত্রী ভিতলানা গ্রিনচুক জানিয়েছেন, কিয়েভ, নিপ্রোপেত্রাভস্ক, দোনেৎস্ক, খারকিভ, পলতাভা, চেরনিহিভ ও সুমিতে সরবরাহ কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে। তবে সেখানে নিয়মিত বিদ্যুৎবিভ্রাট থাকবে।

স্থানীয় টেলিভিশন ইউনাইটেড নিউজকে ভিতলানা গ্রিনচুক বলেছেন, শত্রুরা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। এটি প্রতিহত করা খুব কঠিন। আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর এমন হামলা হয়নি।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিয়া জানিয়েছেন, রুশ ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকায় দুটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তিনি এ ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানাতে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

আন্দ্রি সিবিয়া তাঁর টেলিগ্রাম চ্যানেলে লিখেছেন, ‘রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে ইউরোপের জ্বালানি নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে। এই অগ্রহণযোগ্য ঝুঁকির জবাব দিতে আমরা আইএইএর গভর্নর বোর্ডের জরুরি বৈঠকের আহ্বান জানাচ্ছি।’

হামলা বন্ধে রাশিয়ার ওপর চাপ প্রয়োগ করতে চীন ও ভারতের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। দেশ দুটি রাশিয়ার জ্বালানি তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা হিসেবে পরিচিত।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর হামলার কারণে শীতের আগে ইউক্রেনের তাপ সরবরাহ ব্যবস্থা ঝুঁকিতে পড়েছে। দেশটির শীর্ষ জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ওলেকজান্দ্রা খারচেঙ্কো সতর্ক করে বলেছেন, তাপমাত্রা যখন হিমাঙ্কের ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসবে, তখন কিয়েভের দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও তাপকেন্দ্র তিন দিনের বেশি বন্ধ থাকলে রাজধানীতে ‘প্রযুক্তিগত বিপর্যয়’ তৈরি হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ