আপেল
একেবারে মিশে যেতে পারিনি, একটু ফাঁক থেকে গেছে যেকোনো উপায়ে
ভোকাট্টা ঘুড়ির মতো হয়তো খুব মাঝপথে নেমে গেছি আমি অকস্মাৎ,
মাথায় আপেল নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছি একা, তারপর টলোমলো পায়ে
দেখেছি অন্ধ কোনো তিরন্দাজের মতো আমাকে নিশানা করছে রাত...
সবারই আশ্রয় থাকে। কার্নিশে ক্লান্ত রোদ। প্যারাসিটামল। রিংটোন।
আমার ব্যাপারে আজও সিদ্ধান্তে আসেনি নদী। জলে ভাসছে বেওয়ারিশ মন।
বাজনা বলতে শুধু
পাতাদের হাততালি আছে
বাজনা বলতে শুধু
গাছ একা আবৃত্তি করছে:
বসন্ত ছোঁয়াচে ঋতু, প্রতিবার আমাকে ভোগায়
আর যে পথে শিশির আসে ঘাসের ডগায়
যে পথে ঠান্ডা হাওয়াগুলো
পিঠ রাখে শহরের উঁচু উঁচু দেয়ালের গায়
সে পথে, তেমনই চুপিচুপি, তোমার সকাল নামছে—
মশারি গুটিয়ে সব বাড়িগুলো উঠে বসছে
আলগা হাতখোঁপা বেঁধে স্যুটকেস গুছিয়ে নিচ্ছে রাত;
বাজনা বলতে শুধু, আটা মাখছে চুড়ি পরা হাত
যে মেয়েটা সারা রাত ঘুমাতে পারেনি
বাজনাগুলোর গায়ে, ও রবি ঠাকুর,
গানের ভরসা বুনে একটি নাকফুল তাকে করো হে প্রেরণ
বয়ঃসন্ধি টের পাওয়া প্রথম সকালে
তুমি তার শান্তিনিকেতন।
বন্ধুতার কিছু পরে
প্রেমের কয়েক কিমি আগে
গোপন স্টেশন আছে, সব ট্রেন থামে না।
কদাচিৎ চেন টেনে যারাই থেমেছে, ভেবেছে একটুক্ষণ
যাত্রাবিরতির খেলা ভালো—
পত্রিকাস্টলে গিয়ে পাতা ওল্টানোর সঙ্গে
এক রাউন্ড চা চলতে পারে—
তারা কি ফিরেছে আর হুইসেলে, সূচীভাষ্যকারে?
থেকে গেছে; দেখা যায়—পা গুটিয়ে, সিমেন্টবেঞ্চিতে,
জীবন খরচ করে বাদাম কিনছে আর
বান্ধবনগর থেকে যে আসছে ডেকে নিতে
তাকেই খারিজ করছে, ‘না, না, তুমি সে না!’
গোপন স্টেশন এক, বলাই বাহুল্য, সব ট্রেন থামে না।
একটি শহুরে আত্মহত্যায়
সিলিং ফ্যানের সঙ্গে
টুলের যে বোঝাপড়া
মিছিলের পায়ে পায়ে
পুলিশ ভ্যানের গায়ে গায়ে
যেমন নাছোড়
সংবাদপত্র–লেখা গাড়ি
মন খারাপের সঙ্গে
যেভাবে সম্পর্কিত
ঠান্ডা বাতাসওয়ালা ছাদ
আর মাগরিবের গোধূলিবিষাদ
লাল ও সবুজ সংকেতমালার মধ্যে
মাজনবিক্রেতার দন্তঝিলিকের মতো
যেটুকু হলুদ সমঝোতা
ছুচের সঙ্গে
পেনসিলে আঁকা নকশার যে আঁতাত
সে রকম—
সে রকমই আমার এই কলমবন্ধুতা
পাঠিকা, তোমার সঙ্গে
ডাস্টার হাতে ব্ল্যাকবোর্ড মুছে দিচ্ছিলে
অথবা বিদায় জানাচ্ছিলে তুমি।
আমিও বোর্ডে লেখা নাম
রাস্তার ওপারে ক্রমে ছোট হতে হতে
আস্তে আস্তে মুছে যাচ্ছিলাম!
এ সমস্ত জরুরি বিষাদ
এ সমস্ত ছুরি-চিকিৎসা
বুঝতে পারি একদিন ফের
আমাকে ভন্ডুল করে
পৌঁছে দেবে তোমার বিহিতে
অনতিক্রম্য তুমি জেনে
পা পড়ছে একই জায়গায়,
যেন দড়িলাফ দিতে দিতে.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ময়মনসিংহে বাস চাপায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু
ময়মনসিংহের ভালুকায় বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী স্বামী-স্ত্রী মারা গেছেন।
রবিবার (৯ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভালুকার হাজীরবাজার এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।
আরো পড়ুন:
গোপালগঞ্জে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, নিহত ২
খুলনায় ইজিবাইকের চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে তরুণীর মৃত্যু
নিহতরা হলেন- সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার মজিবুর রহমান (৬০) ও তার স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম (৫০)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মজিবুর রহমান তার স্ত্রী হোসনেয়ারাকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে ঢাকার দিকে যাচ্ছিলেন। ভালুকার হাজীরবাজার এলাকায় পেছন থেকে তাদের বহনকারী মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয় সরকার পরিবহনের একটি বাস। ফলে সড়কে ছিটকে পড়ে আহত হন তারা। স্থানীয়রা দুইজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক মজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী হোসনেয়ারাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ভরাডোবা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এবিএম মেহেদী মাসুদ বলেন, “দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও মোটরসাইকেল পুলিশ হেফাজতে আছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”
ঢাকা/মিলন/মাসুদ