কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের ৪৩ শতাংশ, জাতীয় পার্টির (জাপা) শতাংশ, আমাদের আছে শতাংশ ভোট। যদি আওয়ামী লীগের ভোটাররা ভোট দিতে না পারে, যদি জাতীয় পার্টি ও বামপন্থী ১৪ দলীয় জোটকে নির্বাচনের বাইরে রাখা হয়, তাহলে আমি গামছা নিয়ে ভোটে যাব না। আমরা জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে চাই। শুধু বিএনপি, শুধু জামায়াত নির্বাচন করলে নির্বাচনে আসব, তা হবে না।’

টাঙ্গাইলের সখীপুরে বহেড়াতৈল ইউনিয়ন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাদের সিদ্দিকী এসব কথা বলেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘ইউনূস সাহেবকে অনেক বড় মানুষ ভাবছিলাম। শেখ হাসিনা যখন আপনাকে সুদখোর বলত, তখন আমি আপনার পাশে ছিলাম। আপনি খোদার ঘর বাইন্ধা আসেন নাই। গ্রামীণ ব্যাংক ও গ্রামীণ নাম দিয়ে যা বানাইছেন, তা নিয়ে সামনে আপনার বিপদ আছে। আপনি বাংলার মানুষকে চিনেন নাই। এনজিও চালানো আর দেশ চালানো এক কথা নয়। এখনো সময় আছে সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করুন।’

জামায়াতে ইসলামীকে উদ্দেশ করে এই নেতা বলেন, ‘এই দল সব সময় উল্টো পথে চলে। যখন আমরা পাকিস্তানের পক্ষে ছিলাম, তখন জামায়াতে ইসলামী ব্রিটিশদের গোলামি করত, ব্রিটিশদের পক্ষ নিয়েছিল। যখন আমরা বাংলাদেশ চেয়েছিলাম, তখন তারা পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিল।’

কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘জামায়াত খুবই লাফালাফি করছে। জামায়াত যদি একা ইলেকশন করে পাঁচ সিটও পায়, তাহলে আল্লাহকে হাজির নাজির করে বলছি—ভাবব আমার রাজনীতি এখনো শেখা হয়নি। তাদের হয়তো অনেক টাকা হয়েছে। তারা মুক্তিযুদ্ধে যে অপরাধ করেছে, তার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। এমন ক্ষমা চাইতে হবে, যে রকম আল্লাহর কাছে কেঁদে কেঁদে তারা ক্ষমা চায়। সেই রকম বাংলাদেশের মানুষের কাছে কেঁদে কেঁদে ক্ষমা চাইতে হবে। জানি এসব কথা জামায়াতের তিতা লাগবে।’

বিএনপিকে উদ্দেশ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, শেখ হাসিনা সরকার মানুষকে অত্যাচার করেছে। জুলুম করেছে। তারা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় সিএনজি স্টেশনে চাঁদা তুলেছে। ৫ আগস্টের পর একটি দল আওয়ামী লীগের চেয়ে চার থেকে ১০ গুণ চাঁদাবাজি করেছে। শেখ হাসিনার যখন পতন হয়, তখন মানুষের মনে ধানের শীষ ছিল এক নম্বরে। এখন ধানের শীষ মানে পেটের বিষ।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বলেন, ‘আমি শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ করি না। আমি বঙ্গবন্ধু করি, আমি মুক্তিযুদ্ধ করি, আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাই। আমি জয় বাংলা করি। সরকার বাহাদুরকে বলে গেলাম, জয় বাংলা বলা যদি অপরাধ হয়, তাহলে আমাকে প্রথম গ্রেপ্তার করেন। সেখানেও আমি বলব, আমি জয় বাংলা বলে মুক্তিযুদ্ধ করেছি, জয় বাংলা বলেই আমার জীবন দিয়ে যেতে চাই।’

উপজেলার বহেড়াতৈল ফুটবল খেলার মাঠে আয়োজিত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বহেড়াতৈল ইউনিয়ন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আহ্বায়ক মতিয়ার রহমান।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

বিয়ে করেছেন প্রিয়াঙ্কা জামান

বিয়ে করেছেন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা জামান। তার বরের নাম রাকিবুল হাসান। গত ৯ নভেম্বর পারিবারিক আয়োজনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। 

নারায়ণগঞ্জের ছেলে রাকিবুল হাসান পেশায় ব্যবসায়ী (টেক্টটাইল ইঞ্জিনিয়ার)। বিয়ের পরের দিন নবদম্পতি ওমরা পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছেন। আগামী ২৩ নভেম্বর দেশে ফিরবেন। 

আরো পড়ুন:

ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চা থেকে নায়ক হয়েছি: শুভ

দীপিকার লিভারের ২২ শতাংশ কেটে ফেলা হয়েছে

এ বিষয়ে প্রিয়াঙ্কা জামান গণমাধ্যমে বলেন, “রাকিবের সঙ্গে পরিচয় খুব বেশি দিনের নয়। অল্প দিনের পরিচয়ে তাকে জানার চেষ্টা করেছি, বোঝার চেষ্টা করেছি সে কেমন মানুষ, তার মানসিকতা কেমন এবং আগামীতে আমাকে কতটা আগলে রাখতে পারবে। সবকিছু বিবেচনা করে তাকে বিয়ে করেছি। মূল কথা, বিগত দিনে যেমন মানুষের স্বপ্ন দেখেছি, রাকিব ঠিক তেমনি একজন মানুষ।”  

স্বামীর মুগ্ধতা প্রকাশ করে প্রিয়াঙ্কা জামান বলেন, “নারী জীবনের স্বপ্নই থাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে একজন ভালো মনের মানুষ পাওয়া, রাকিব ঠিক তাই। রাকিবও আমাকে পেয়ে ভীষণ খুশি, আমি তার বিনয়ে মুগ্ধ, তার যত্নে মুগ্ধ। বিয়ের পরের দিন ওমরাহ হজ পালনের জন্য রওনা হই। সবার কাছে দোয়া চাই, আমরা যেন সুস্থভাবে দেশে ফিরতে পারি এবং বাকিটা জীবন সুখে-দুঃখে একসঙ্গে কাটাতে পারি। আগামী জানুয়ারিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে।” 

প্রেম নয়, পারিবারিক আয়োজনে বিয়ে করেছেন প্রিয়াঙ্কা-রাকিব। এ তথ্য জানিয়ে রাকিব বলেন, “একটি অনুষ্ঠানে প্রথম প্রিয়াঙ্কাকে দেখি, প্রথম দেখে তাকে ভীষণ ভালো লেগেছিল। এরপর আমাদের মধ্যে দু-তিনবার দেখা হয়েছে। প্রেমের সম্পর্কে না গিয়ে সরাসরি তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিই, যা পরবর্তীতে পারিবারিকভাবে সম্পন্ন হয়। আলহামদুলিল্লাহ, তাকে পেয়ে আমি খুব খুশি।” 

ছোট ও বড় পর্দায় কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রিয়াঙ্কা জামান। এখন তার অভিনীত দুটো ধারাবাহিক নাটক প্রচার হচ্ছে। তার অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘যেমন জামাই তেমন বউ’। তার অভিনীত মুক্তি প্রতীক্ষিত সিনেমাগুলো হলো—‘কী করে বলব তোমায়’, ‘যন্ত্রণা’, ‘তবুও প্রেম দামি’।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ