দিল্লিতে গাড়ি বিস্ফোরণের সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ
Published: 11th, November 2025 GMT
ভারতের দিল্লির লাল কেল্লার কাছে সোমবার সন্ধ্যায় ভয়াবহ গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনায় সন্দেহভাজন এক ব্যক্তির ছবি প্রকাশ করেছে পুলিশ। তার নাম মোহাম্মদ উমর, পেশায় চিকিৎসক। সিসিটিভির ফুটেজ থেকে তার ছবি ও তদন্তে পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে দিল্লি পুলিশ। খবর ইন্ডিয়া টুডের।
সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে পুলিশ জানায়, লাল কেল্লার কাছে মেট্রো পার্কিং লটে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটানো হুন্দাই আই-টোয়েন্টি মডেলের গাড়িটি ডা.
আরো পড়ুন:
পশ্চিমবঙ্গে নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে হাঙর শিকার, প্রকাশ্যে বিক্রি
রাজনাথ সিংয়ের মন্তব্য ‘কূটনৈতিক সৌজন্যের পরিপন্থি’: ঢাকা
পুলিশের তথ্যমতে, ডা. উমর দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামার বাসিন্দা। তিনি ফরিদাবাদের আল ফালাহ মেডিকেল কলেজে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বিস্ফোরণের কয়েকঘণ্টা আগেই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ‘হোয়াইট কলার’ বা নিজস্ব পেশার আড়ালে পরিচালিত সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চালায় জম্মু ও কাশ্মীর এবং হরিয়ানা পুলিশ। ওই অভিযানে ডা. উমরের ঘনিষ্ঠ দুই সহযোগী ডা. আদিল আহমদ রাঠার এবং ডা. মুজাম্মিল শাকিলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সন্দেহভাজন হামলাকারী উমর তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে ফরিদাবাদ থেকে পালিয়ে দিল্লিতে অবস্থান নেন। তদন্তকারীদের ধারণা, তিনি আতঙ্কিত হয়ে ওই বিস্ফোরণ ঘটান।
উমরকে এ কাজে আরও দুই সহযোগী সাহায্য করেছে বলে ইন্ডিয়া টুডেকে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশের একটি সূত্র। তিনি জানান, বেশকিছুদিন ধরেই ভারতের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় বড় পরিসরে হামলার পরিকল্পনা করছিলেন উমর। সে উদ্দেশ্যেই তিনি নিজের গাড়িতে ডেটোনেটর বা বিস্ফোরক স্থাপন করেন। ডা. উমার ওই গাড়িটি কেনার আগে বেশ কয়েকবার সেটির মালিকানা পরিবর্তন হয় বলেও জানান তদন্তকারীরা।
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, তারা ডা. উমরের মা শাহিমা বানো এবং ভাই আশিক ও জহরুরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
সিসিটিভি ফুটেজ ও ছবিতে দেখা গেছে, হুন্ডাই গাড়িটি লালকেল্লার পার্কিং লটে প্রবেশ করে বিকেল ৩টা ১৯ মিনিটে। সেটি ৬টা ৩০ মিনিটের দিকে বেরিয়ে যায়। এরপর ধীর গতিতে সেটি কাছের মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের পাশে ট্রাফিক সিগন্যালে আটকে যায় এবং মুহূর্তেই বিস্ফোরণ ঘটে।
দিলি পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণটির মাত্রা অত্যন্ত শক্তিশালী ছিল। এসময় আশপাশের অন্তত ২২টি গাড়ি ও যাত্রীবাহী বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
পুলিশ কমিশনার সতীশ গোলচা নিশ্চিত জানান, এনআইএ এবং এফএসএলসহ কেন্দ্রীয় এবং ফরেনসিক দল তদন্তে জড়িত। তিনি আরো বলেন, “বহু সম্ভাবনা পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং একটি ব্যাপক তদন্ত চলছে।”
লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতালের মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট জানান, বিস্ফোরণের পর ১৫ জন আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে আটজনকে পৌঁছানোর পর মৃত ঘোষণা করা হয়, তিনজনের অবস্থা এখনও গুরুতর এবং একজন রোগীর অবস্থা স্থিতিশীল।
এদিকে, এ ঘটনায় ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশটির সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে হাই সিকিউরিটি অ্যালার্ট জারি করেছে। এ ছাড়া দিল্লির সব বাস, মেট্রো ও রেল স্টেশনে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রক শ তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
গোপালগঞ্জে গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ১, আহত ৭
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে শামিম মিয়া (৪২) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন সাতজন। সোমবার মধ্যরাত ৩টার দিকে মুকসুদপুর উপজেলার পশারগাতী ইউনিয়নের হাজীবাগ গ্রামে তাদের মারধর করেন এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তফা কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত শামিম মিয়া একই উপজেলার ফুলারপাড় গ্রামের মুন্নু মিয়ার ছেলে।
আরো পড়ুন:
শেরপুরে কৃষি কর্মকর্তাকে মারধর করা সেই ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার
কৃষি কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে, মামলা
আহতরা হলেন- বরিশাল সদর উপজেলার হাশেমের ছেলে লিটন (৩০), একই জেলার উজিরপুর থানার সকরাইল গ্রামের ইসমাইল হাওলাদারের ছেলে সুমন হাওলাদার (৩২), বাবুগঞ্জ থানার চর ফতেপুর গ্রামের আ. লতিব সরদারের ছেলে মো. ইলিয়াছ সরদার (৩৫), বগুড়া সদর উপজেলার মালগ্রামের বাদশা শেখের ছেলে ফারুক শেখ (৪৫), একই উপজেলার রসুলপুর গ্রামের আকমলের ছেলে সোহাগ (৪১), নেত্রকোণা জেলার খালিয়াজুরী থানার পাথড়া গ্রামের বিনোদ সরকারের ছেলে বিপ্লব সরকার (৩২) ও কিশোরগঞ্জ জেলার নানদাইল থানার পূর্বধলা গ্রামের হোসেন মিয়ার ছেলে ফয়সাল মিয়া (৪৫)। তাদের মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
মুকসুদপুর থানার ওসি মোস্তফা কামাল জানান, সোমবার রাত ৩টার দিকে মুকসুদপুর উপজেলার লখাইড়চর গ্রামের মো. ঝিল্লু কাজীর বাড়ির গোয়াল থেকে একটি গাভি ও একটি বাছুর ট্রাকে তুলে পালিয়ে যাচ্ছিল চোর চক্রের আটজন। ট্রাকটি উপজেলার পশারগাতী ইউনিয়নের হাজীবাগ গ্রামে পৌঁছালে স্থানীদের সন্দেহ হয়। তারা ওই ব্যক্তিদের ট্রাক থেকে নামিয়ে গণপিটুনি দিয়ে ফেলে রাখেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শামিম মিয়া মারা যান।
তিনি জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ঢাকা/বাদল/মাসুদ