ঝিনাইদহে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো শেখ মুজিবের ভাস্কর্য
Published: 13th, November 2025 GMT
ঝিনাইদহ শহরের ‘প্রেরণা-৭১’ চত্বরে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীসহ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে থাকা ভাস্কর্যটি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
ভাঙচুরের সময় ঘটনাস্থল থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝিনাইদহ জেলার সাবেক সদস্যসচিব সাইদুর রহমান বলেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে ক্ষমতা ধরে রাখতে অতীতে অগ্নিসংযোগ করে মানুষ হত্যা করেছে। এখনো তারা সেই কাজ করে যাচ্ছে। হায়েনার মতো তারা আবার অগ্নিসন্ত্রাসে মেতে উঠেছে। এ জন্য ছাত্র-জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে বাকশালের জনক শেখ মুজিবের স্তম্ভ গুঁড়িয়ে দিয়েছে।
২০১৭ সালের নভেম্বরে ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে বাংলাদেশের একটি মানচিত্র ও তাঁর সামনে শেখ মুজিবুর রহমানের একটি আবক্ষ ভাস্কর্য নিয়ে ‘প্রেরণা-৭১’ চত্বর তৈরি করে ঝিনাইদহ পৌরসভা। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় শেখ মুজিবের ভাস্কর্যটি আংশিক ভাঙচুর করা হয়। আজ সম্পূর্ণ স্থাপনাটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
ঝিনাইদহ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী রাশেদ আলী খান বলেন, শহরের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য ২০১৭ সালে ৫৫ লাখ টাকার একটি প্রকল্পের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের সড়ক বিভাজক অংশে আগে যেখানে ট্রাফিক বক্স ছিল, সেখানে বাংলাদেশের একটি মানচিত্র, শেখ মুজিবুর রহমানের একটি আবক্ষ ভাস্কর্য ও চারদিকে রেলিং দিয়ে ভেতরে ফুলগাছ লাগানো হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, লোকজন চত্বরটি ভাঙচুর করেছেন। পুলিশ পরে সংবাদ পেয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ভ স কর য র রহম ন ঝ ন ইদহ র একট
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় তোজাম্মেল হত্যা: ৩ জনের ফাঁসি, ৩ জনের যাবজ্জীবন
বগুড়ার গাবতলী উপজেলার ব্যবসায়ী তোজাম্মেল হক হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড এবং তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শাহজাহান কবির এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় এক আসামি ছাড়া সবাই অনুপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর জনসংযোগে গুলিতে নিহত কে এই সরোয়ার?
দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৩
বগুড়া জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল বাছেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর গাবতলী উপজেলার দুর্গাহাটা ইউনিয়নে বৈঠাভাঙ্গা গ্রামে তোজাম্মেল হককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—দুর্গাহাটা ইউনিয়নের দুর্গাহাটা গ্রামের বাবুল হোসেন, মানিক মিয়া ও মিশু। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—বৈঠাভাঙ্গা গ্রামের পিন্টু প্রামানিক, দেলোয়ার হোসেন ও আশিক। তাদের মধ্যে শুধু পিন্টু প্রামানিক আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক।
বগুড়া জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল বাছেদ জানান, ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর বিয়েবাড়িতে দাওয়াত পালন শেষে তোজাম্মেল মোটরসাইকেলে করে বাড়িতে ফিরছিলেন। সঙ্গে ছিলেন ছোট ভাই নয়ন মোল্লা ও ভাতিজা আসাদ। আগে থেকে ওত পেতে ছিলেন বাবুল হোসেন, মানিক মিয়া, মিশু, পিন্টু, দেলোয়ার হোসেন ও আশিক। বৈঠাভাঙ্গা গ্রামের চারমাথা মোড়ে তোজাম্মেল হক আসামাত্র আসামিরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা করেন। তোজাম্মেলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই সময় নিহতের ছোট ভাই ও ভাতিজা পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।
পিপি আব্দুল বাছেদ জানান, হত্যাকাণ্ডের পরের দিন নিহতের ভাই মমিন মোল্লা বাদি হয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার রায়ে নিহতের স্বজনরা সন্তুষ্ট হলেও সাজাপ্রাপ্তরা বাইরে থাকায় তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী মমিন মোল্লা।
ঢাকা/এনাম/রফিক