আশ্বাস পেয়ে হল ছেড়েছেন আনন্দ মোহন শিক্ষার্থীরা
Published: 13th, January 2025 GMT
নিরাপত্তা ও সমস্যার সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস পেয়ে হল ছেড়েছেন ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। সোমবার দুপুরের পর হল ছাড়তে শুরু করেন তারা। তবে দ্রুত আবাসিক হল খুলে দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তারা।
এর আগে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর রোববার রাতে অনির্দিষ্টকালের জন্য তিনটি হল বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। সোমবার সকাল ৮টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.
জানা গেছে, সংঘর্ষের পর হল বন্ধের ঘোষণা করলেও না ছাড়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। পরে সোমবার সকালে ফের উত্তেজনা দেখা দেয় ক্যাম্পাসে। পরে দ্রুত কলেজে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার আশ্বাস দেয় কর্তৃপক্ষ। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে রোববারের সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রদলকে অহেতুক জড়ানো হয়েছে অভিযোগ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা। সোমবার কলেজ ফটকে সংবাদ সম্মেলন করে তারা বলেন, রোববার অধ্যক্ষের কক্ষে হলের সিট নবায়ন নিয়ে স্টিয়ারিং কমিটির সভা চলছিল। এ সময় হলের শিক্ষার্থীরা এসে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সিনিয়র শিক্ষকদের ক্ষমা চাইতে বলেন।
বিষয়টি জানতে পেরে ছাত্রদলসহ কলেজের সব ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করেন জানিয়ে তারা বলেন, হলের শিক্ষার্থীরা হামলা করে অধ্যক্ষের কক্ষে জুতা নিক্ষেপ করেন। মূলত এর জেরেই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় শিক্ষার্থী জুবায়ের, বিজয়, মেহেদীসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
ছাত্রদল নেতারা চার দফা দাবিও জানিয়েছেন। সেগুলো হলো– মেয়াদোর্ত্তীণ কোনও শিক্ষার্থী হলে থাকতে পারবেন না; অবৈধ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বের করতে হবে; হলে ৫ আগস্টের পর যারা অবৈধভাবে উঠেছেন, তাদের নবায়ন করা যাবে না এবং নবায়ন ফি ৬ হাজার ৫০০ থেকে কমিয়ে সাড়ে ৫ হাজার টাকা করতে হবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনকে টমাহক দেওয়ার বিষয়ে ট্রাম্প কী ভাবছেন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল রোববার বলেছেন, তিনি আপাতত এমন কোনো চুক্তির কথা ভাবছেন না, যা ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য দূরপাল্লার টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র পেতে সহায়তা করবে।
পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর কাছে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির মার্কিন পরিকল্পনা নিয়েও ট্রাম্প অনাগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কারণ, এসব দেশ পরে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইউক্রেনকে দিতে পারে। বিষয়টি নিয়ে ট্রাম্পের ভাষ্য হলো, তিনি যুদ্ধকে আরও তীব্র করতে চান না।
মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী উড়োজাহাজ এয়ার ফোর্স ওয়ানে বসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্পের সবশেষ এ মন্তব্য থেকে বোঝা যায়, ইউক্রেনকে টমাহক দিতে তিনি এখনো অনিচ্ছুক।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার পাম বিচ থেকে ওয়াশিংটনে ফেরার পথে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প। সাংবাদিকেরা ট্রাম্পের কাছে জানতে চান, তিনি কি ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির বিষয়টি বিবেচনা করছেন?
জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘না, আসলে তা নয়।’ তবে তিনি যোগ করেন, ভবিষ্যতে নিজের মত বদলাতে পারেন।
গত ২২ অক্টোবর হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুত্তে। বৈঠকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের ধারণা নিয়ে আলোচনা হয়।
গত শুক্রবার মার্ক রুত্তে বলেন, বিষয়টি এখনো পর্যালোচনার পর্যায়ে আছে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্রের।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দীর্ঘদিন ধরে ওয়াশিংটনের কাছে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র চেয়ে আসছেন। তবে ক্রেমলিন সতর্ক করে বলেছে, ইউক্রেনকে টমাহক দেওয়া হলে পরিণতি ভালো হবে না।
আরও পড়ুনটমাহক কত দূরে আঘাত হানতে পারে, রাডারে কেন ধরা পড়ে না২০ ঘণ্টা আগেদ্য গার্ডিয়ান ও সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, টমাহক যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি দূরপাল্লার ক্রুজ মিসাইল, যা যুদ্ধজাহাজ বা সাবমেরিন থেকে ছোড়া হয়।
ভূপৃষ্ঠে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে পারে টমাহক। নিচু উচ্চতায় ওড়ে বলে টমাহক রাডারে ধরা পড়ে না। এতে আছে উন্নত জিপিএস ও নেভিগেশন ব্যবস্থা।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি যুদ্ধজাহাজ থেকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছে