দিনাজপুরে পূরণ হয়নি সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা
Published: 17th, January 2025 GMT
দিনাজপুরে এবার পূরণ হয়নি সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ জেলায় ভালো ফলন হয়েছে বলে আশা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
চলতি রবি মৌসুমে আলুর আবাদ বৃদ্ধি পাওয়ায় লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারেনি সরিষা চাষ। জেলায় ২৭ হাজার হেক্টর জমি লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও সরিষা চাষ হয়েছে ১৯ হাজার হেক্টর জমিতে। গত বছর আলুর দাম বেশি পাওয়ায় এমনটা হয়েছে বলে ধারণা করছেন অনেকে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর দিনাজপুরে লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ২৭ হাজার হেক্টর জমি। চাষ হয়েছে ১৯ হাজার হেক্টর জমিতে। গত বছর ২৭ হাজার ৩৬৯ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছিলো।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে এখন হলুদের ঢেউ খাচ্ছ। আলু আবাদের পরেও সরিষার এই ফলনে খুশি কৃষক। বর্তমানে কৃষকেরা সরিষার মাঠ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। অন্যান্য ফসলের মতো সরিষা চাষে কৃষকের তেমন খরচ কিংবা পরিশ্রম করতে হয় না।
হাকিমপুর উপজেলার গোহাড়া গ্রামের সরিষা চাষি সুভাষ চন্দ্র বলেন, “গত বছর ৩ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছিলাম। কিন্তু এবার সাড়ে ৪ বিঘা জমিতে আলু আবাদ করেছি। দেড় বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। আশা করছি ফলন এবং দামও ভাল পাবো।”
বিরামপুর উপজেলার কেটরা গ্রামের কৃষক বাদল হোসেন বলেন, “প্রতি বছর আমি তিন বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করি। এ বছর আলুর আবাদ বেশি করায় দুই বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছি। সরিষার ফলন অনেক ভাল হয়েছে। আশা করছি দামও ভাল পাবো।”
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার আরজেনা বেগম বলেন, “চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায় ২ হাজার ৬২৬ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। যার লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৩ হাজার ২১৪ হেক্টর জমি। গত বছর এই উপজেলায় সরিষার চাষ হয়েছিলো ৩ হাজার হেক্টর জমিতে।”
তিনি আরো বলেন, “এ বছর আমরা উপজেলায় মোট ২ হাজার জন কৃষককে বিনামূল্যে সরিষার বীজ ও সার প্রদান করেছি।”
দিনাজপুর কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো.
ঢাকা/মোসলেম/ইমন
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ ষ কর ছ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য বাস সার্ভিস চালু
৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি বাস সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নিয়েছে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রদল। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ঢাকা ও ময়মনসিংহের পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এ বিশেষ যাতায়াত সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে শাখা ছাত্রদলের কর্মী নাফিস ইকবাল পিয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ফেসবুক গ্রুপে এ তথ্য জানিয়ে পোস্ট দেন। একইসঙ্গে শাখা সভাপতি সাগর নাইম ও সাধারণ সম্পাদক সাজিদ ইসলাম দীপুও তাদের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দিয়ে পরীক্ষার্থীদের এ সুবিধা গ্রহণের আহ্বান জানান।
আরো পড়ুন:
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচনী রোডম্যাপের দাবিতে মানববন্ধন
বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান অর্জন ও বিতরণের জায়গা: ইউজিসি চেয়ারম্যান
ছাত্রদল জানিয়েছে, ক্যাম্পাস থেকে দুটি বাস ছাড়বে। একটি ঢাকা রুটে এবং অপরটি ময়মনসিংহ রুটে যাবে। প্রতিটি বাসে ৫০ জন করে মোট ১০০ জন শিক্ষার্থী এই ফ্রি সার্ভিসের আওতায় যাতায়াত করতে পারবেন। এজন্য শিক্ষার্থীদের অবশ্যই আগাম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গুগল ফর্মের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কেউ এই সার্ভিসের সুবিধা নিতে পারবেন না।
শিক্ষার্থীদের জন্য এ উদ্যোগ ইতোমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক শিক্ষার্থী পোস্ট দিয়ে ছাত্রদলের এ পদক্ষেপকে ‘শিক্ষার্থীবান্ধব ও সময়োপযোগী উদ্যোগ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
শাখা সভাপতি সাগর নাইম তার পোস্টে বলেন, “প্রতি বছর বিসিএসে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সাফল্যের আলো ছড়িয়ে দেন। আমরা চাই এ সুনাম আরো দূরে ছড়িয়ে পড়ুক, আরো উজ্জ্বল হোক। এ ধারাবাহিক সাফল্যের পথে আপনাদের পাশে থাকতে, ভালোবাসা ও সম্মান জানাতে মাভাবিপ্রবি ছাত্রদল ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি বিশেষ বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা করেছে।”
এ বিষয়ে শাখা সাধারণ সম্পাদক সাজিদ ইসলাম দীপু বলেন, “জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সবসময়ই শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করে থাকে। গত বিসিএসে আমাদের বড় ভাই বিসিএস প্রশাসনে প্রথম হয়েছেন। এটি শুধু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নয়, সারা দেশের জন্যই গর্বের বিষয়। সেই সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণে আমরা এবার পরীক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি বাস সার্ভিস চালু করেছি।”
তিনি বলেন, “বিশেষ করে অনেক নারী শিক্ষার্থী আছেন, যারা ক্যাম্পাস থেকে পরীক্ষাকেন্দ্র অনেক দূরে হওয়ায় অংশ নিতে পারেন না। আবার অনেকে যানবাহন না পেয়ে দেরিতে কেন্দ্রে পৌঁছান। আমরা চাইনি কেউ যেন যাতায়াত সমস্যার কারণে বিসিএস পরীক্ষায় পিছিয়ে পড়েন। তাই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ভাইয়ের সহায়তায় আমরা এ বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা করেছি।”
ঢাকা/আবিদ/মেহেদী