দিনাজপুরে এবার পূরণ হয়নি সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ জেলায় ভালো ফলন হয়েছে বলে আশা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

চলতি রবি মৌসুমে আলুর আবাদ বৃদ্ধি পাওয়ায় লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারেনি সরিষা চাষ। জেলায় ২৭ হাজার হেক্টর জমি লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও সরিষা চাষ হয়েছে ১৯ হাজার হেক্টর জমিতে। গত বছর আলুর দাম বেশি পাওয়ায় এমনটা হয়েছে বলে ধারণা করছেন অনেকে। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর দিনাজপুরে লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ২৭ হাজার হেক্টর জমি। চাষ হয়েছে ১৯ হাজার হেক্টর জমিতে। গত বছর ২৭ হাজার ৩৬৯ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছিলো। 

জেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে এখন হলুদের ঢেউ খাচ্ছ। আলু আবাদের পরেও সরিষার এই ফলনে খুশি কৃষক। বর্তমানে কৃষকেরা সরিষার মাঠ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। অন্যান্য ফসলের মতো সরিষা চাষে কৃষকের তেমন খরচ কিংবা পরিশ্রম করতে হয় না। 

হাকিমপুর উপজেলার গোহাড়া গ্রামের সরিষা চাষি সুভাষ চন্দ্র বলেন, “গত বছর ৩ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছিলাম। কিন্তু এবার সাড়ে ৪ বিঘা জমিতে আলু আবাদ করেছি। দেড় বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। আশা করছি ফলন এবং দামও ভাল পাবো।” 

বিরামপুর উপজেলার কেটরা  গ্রামের কৃষক বাদল হোসেন বলেন, “প্রতি বছর আমি তিন বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করি। এ বছর আলুর আবাদ বেশি করায় দুই বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছি। সরিষার ফলন অনেক ভাল হয়েছে। আশা করছি দামও ভাল পাবো।” 

হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার আরজেনা বেগম বলেন, “চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায় ২ হাজার ৬২৬ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। যার লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৩ হাজার ২১৪ হেক্টর জমি। গত বছর এই উপজেলায় সরিষার চাষ হয়েছিলো ৩ হাজার হেক্টর জমিতে।” 

তিনি আরো বলেন, “এ বছর আমরা উপজেলায় মোট ২ হাজার জন কৃষককে বিনামূল্যে সরিষার বীজ ও সার প্রদান করেছি।” 

দিনাজপুর কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো.

নুরুজ্জামান বলেন, “জেলায় ২৭ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষার চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো। এর মধ্যে ১৯ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। চলতি মৌসুমে জেলায় আলুর চাষ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আলুর দাম বেশি হওয়ায় সরিষা চাষিরা তাদের বেশিরভাগ জমিতে আলু চাষ করেছে। তবে যে পরিমাণ সরিষা চাষ হয়েছে, আশা করছি ফলন অনেক ভাল হবে।”

ঢাকা/মোসলেম/ইমন

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ ষ কর ছ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লায় প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

ফতুল্লার লামাপাড়ায় মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, কোর্স সমাপনী সনদ প্রদান, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থতার বর্ষপূর্তি ও খেলাধূলার আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।

মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলায় মাদকাসক্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে প্রয়াস বিগত ২২ বছর যাবত নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেবা করে যাচ্ছে।

সব ধরনের আইন ও বিধি-বিধান মেনে সেবার মানোন্নয়ন প্রয়াসের বর্তমান লক্ষ্য। শুধু চিকিৎসা সেবা প্রদান নয়, বরং মানসম্পন্ন টেকসই সেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসা পরবর্তী বিভিন্ন কার্যক্রম কেন্দ্রটি পরিচালনা করে থাকে।

জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রয়াসে চিকিৎসা কোর্স সম্পন্নকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান, প্রাক্তন সদস্যদের মনিটরিং, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থ থাকার স্বীকৃতি ও জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারনায় অংশগ্রহণ প্রয়াসের টেকসই চিকিৎসা পরিকল্পনার অংশ।

তিনি আরো বলেন, আমরাই প্রথম নারায়ণগঞ্জে ৪০ বেডে লাইসেন্স প্রাপ্ত মাদকাসক্ত চিকিৎসা কেন্দ্র। প্রয়াসের প্রতিষ্ঠা ২০০৩ সালে হলেও আমরা লাইসেন্স পেয়েছি ২০০৬ সালে। গত ২০২১ সাল থেকে আমরা প্রতিবছর সরকারি অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়ে আসছি।

এসময় তিনি অভিভাবক প্রতিনিধি ও প্রাক্তন সদস্যদের প্রয়াসের সামগ্রিক কার্যক্রমে সংযুক্ত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম, অফিসার এডমিন সাজ্জাদ হোসেন, প্রোগ্রাম অফিসার শেখ ফরিদ উদ্দিন ও মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, শওকত হোসেন, লিটন, আমজাদ, বাবুসহ  রিকোভারীবৃন্দ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ