গত ডিসেম্বরেই ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্ট ম্যাচ জিতে বাজিমাত করেছে বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজ ছিলেন নেতৃত্বে। নাজমুল হোসেন শান্ত নেতৃত্বে ফিরে এলেও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে মিরাজের ওপর দায়িত্ব কম থাকবে না। অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে দলের স্বপ্নপূরণের দায়িত্ব বর্তাবে তাঁর কাঁধে। টাইগার এ অলরাউন্ডার সবকিছুর জন্যই প্রস্তুত। টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে মিরাজের চাওয়া শুধু চার নম্বর পজিশনে নিয়মিত ব্যাটিং করার সুযোগ দেওয়া। বিপিএল, জাতীয় দল ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে চট্টগ্রামে মিরাজের মতামত জেনেছেন সেকান্দার আলী

সমকাল: এ বছর বিপিএল কেমন  লাগছে?

মিরাজ: বিপিএল ভালোই চলছে। এখনও অর্ধেক ম্যাচ বাকি। একটি দল এরই মধ্যে সুপার ফোরে কোয়ালিফাই করে ফেলেছে। আরও তিনটি দলের সেরা চারে যাওয়া বাকি। আমাদের সঙ্গে লড়াই হবে সিলেট, রাজশাহী ও চিটাগংয়ের। এই তিনটি দল থেকে দুটি দল যাবে। রংপুর সবার আগে কোয়ালিফাই করেছে। বরিশাল কোয়ালিফাই করবে।

সমকাল: লিগে ক্রিকেটের মান কেমন দেখছেন?

মিরাজ: দেখেন, একসঙ্গে তিন-চারটি টুর্নামেন্ট হলে ভালো বিদেশি খেলোয়াড় পাওয়া কঠিন। আইএল টি২০ হচ্ছে, এসএ২০ চলছে। এ জন্য অনেক বিদেশি ক্রিকেটার পাওয়া যাচ্ছে না। আরও মানসম্পন্ন বিদেশি থাকলে বিপিএল আরও জমত। দেশও কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিপিএল কম সময়ের মধ্যে আয়োজন করা হয়েছে। তাই কাউকেই আসলে দোষ দেওয়া ঠিক হবে না।

সমকাল: দেশি ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স কেমন দেখছেন। উদীয়মান কাউকে চোখে পড়েছে?

মিরাজ: এখন যারা বিদেশি খেলছে, এর চেয়ে আমাদের দেশি ক্রিকেটাররা অনেক ভালো। আমরা (খুলনা টাইগার্স) তিনজন বিদেশি খেলাচ্ছি। অনেক দল আছে দু’জন বিদেশি খেলাচ্ছে (হাসি)। মানসম্পন্ন বিদেশি থাকলে চারজন খেলত। সেদিক থেকে কিছুটা চ্যালেঞ্জ। তবে দেশি ক্রিকেটার দু’জন বেশি খেলতে পারাকে সুযোগ হিসেবে দেখছি। আমার কাছে মনে হয়, বিপিএল অনেক বড় একটা টুর্নামেন্ট, এখানে নিজেদের প্রমাণ করা খুবই জরুরি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের প্রমাণ করার কিছু নেই। হ্যাঁ, আত্মবিশ্বাস নেওয়ার আছে। আন্তর্জাতিক গেমে ভালো খেলেনি, এখানে ছন্দ দেখাতে পারলে আত্মবিশ্বাস বাড়বে। আমাদের পারফর্ম করতে হবে আত্মবিশ্বাসের জন্য, যেন আন্তর্জাতিক ম্যাচে ভালো খেলি। যারা ভবিষ্যতে জাতীয় দলে খেলবে, তাদের প্রমাণ করার আছে।

সমকাল: যেহেতু ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে খেলা হচ্ছে। বোলারদের জন্য এ ধরনের উইকেটে পারফর্ম করা কতটা চ্যালেঞ্জিং?

মিরাজ: যত ট্রু উইকেটে খেলা হবে, আমাদের জন্য তত ভালো। চ্যালেঞ্জ তখনই হবে, ব্যাটার যখন বোলারের ওপর প্রভাব বিস্তার করে খেলবে। তখনই বোলার শিখবে। সুবিধা পাওয়া উইকেটে বোলিং করে বোলার কখনও শিখতে পারে না। যেটা আমাদের সব সময়ের সমস্যা। আমরা এমন উইকেটে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলি, বল করলেই কিছু না কিছু হয়। ভালো উইকেটে খেললে বোলার মার খাবে, ওখানে থেকে কীভাবে বাঁচতে হবে, সেটা সে খুঁজে বের করবে। যেটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো করতে সহায়ক হবে। দেখুন, ওয়েস্ট ইন্ডিজে ৩০০ করেও হেরে গেছি। কারণ, ভালো উইকেটে কীভাবে ভালো বোলিং করতে হয়, জানি না। বিপিএলে ভালো উইকেটে বোলারদের বল করার অভ্যাস গড়ে উঠলে উন্নতি হবে।
  
সমকাল: বিপিএলে ক্রিকেটারদের সম্মানী নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড হচ্ছে। পেমেন্ট সিস্টেম নিয়ে আপনি কী বলবেন?

মিরাজ: এখানে সবাই পেশাদার ক্রিকেটার। একটি সিস্টেম থাকলে সবার জন্যই ভালো। আমার টুর্নামেন্টের আগে ফারুক ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের তিনি বলেছেন, ‘আমি মাত্র এসেছি, অনেক কিছু জানি না। একটা সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, এবার তোমরা সবাই মিলে আমাকে সাহায্য কর, পরের বছর থেকে পরিকল্পিতভাবে বিপিএল আয়োজন করব। যেন সবাই লাভবান হয়।’ সেদিক থেকে আমরা খেলোয়াড়রা মেনে নিয়েছিলাম। আমরা যেটা বলেছিলাম, না হওয়ার চেয়ে হওয়াটা ইতিবাচক। অনেকে ২০-৩০ লাখ টাকা তো পাচ্ছে। বিপিএল না হলে এই টাকাটাও তো কেউ পেত না। আমরা খেলোয়াড়রা ত্যাগ স্বীকার করেছি। এখন পেমেন্টের ইস্যুটা আছে, আমার মনে হয় ক্রিকেট বোর্ড দায়িত্ব নেবে। কারণ আমরা ভালো থাকলে, ভালো খেলা হবে। বিসিবি ভালো থাকবে। আমরা খারাপ থাকলে, খারাপ খেললে বিসিবিও খারাপ থাকবে (হাসি)। আমার মনে হয়, সবার ভালোর জন্যই তারা পেমেন্টের বিষয়টি সুন্দরভাবে হ্যান্ডেল করবে।

সমকাল: জাতীয় দল নিয়ে একটু কথা বলতে চাই। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল কেমন হলো?

মিরাজ: জাতীয় দল এমন একটা জায়গা, পারফর্ম না করলে টিকে থাকা সবার জন্যই কঠিন। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের পর আমরা খুব বেশি ওয়ানডে খেলিনি। ১২টি ম্যাচ খেলেছি চারটি সিরিজে। সেই পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে দলটি হয়েছে। ওয়ানডে দল মোটামুটি সেট-ই ছিল। এক-দুটি জায়গায় পরিবর্তন করা হয়েছে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স ও টিম কম্বিনেশনের ওপর নির্ভর করে।

সমকাল: লিটনের সুযোগ না পাওয়া কি সবার জন্য বার্তা?

মিরাজ: পারফর্ম না করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলতে পারবেন না। আমার কাছে মনে হয়, লিটন শেষ কয়েকটি ওয়ানডেতে সেভাবে খেলতে পারেনি। সে খুবই ভালো একজন ব্যাটার। আমার মনে হয়, ওকে সময় দেওয়া হলে ভালোভাবে ফিরে আসবে।

সমকাল: ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেমিফাইনাল খেলেছেন। এবার ভারত, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে খেলা। কী প্রত্যাশা করেন?

মিরাজ: সাত বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলব। অবশ্যই সবাই উন্মুখ হয়ে আছে। এই  টুর্নামেন্টে ভালো করতে হলে বড় দলের বিপক্ষে জিততে হবে। কারণ ওয়ানডের সেরা আট দল নিয়ে হয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। কঠিন গ্রুপ ভাবলে হবে না। দিন শেষে যারা ভালো খেলবে, তারাই জিতবে। আমার কাছে মনে হয়, দুবাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুবাইয়ে আমরা আগে খেলেছি। সুতরাং প্রথম ম্যাচটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাকিস্তানে খেলব দুটি ম্যাচ। খুবই ভালো উইকেটে খেলা হবে। বোলারদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ থাকবে।

সমকাল: তাহলে লক্ষ্য কতদূর?

মিরাজ: সবাই ভালো কিছুর স্বপ্ন নিয়ে যায়। তিন ম্যাচের দুটিতে জিতলেই সরাসরি সেমিফাইনাল খেলার সুযোগ। ২০১৭ সালে আমরা সেরা চারে কোয়ালিফাই করেছিলাম। এবার দুটি ম্যাচ জিতলেই সেমিতে যেতে পারব। ফাইনালে যেতে তখন একটি ম্যাচ জিততে হবে। এ জন্য খেলোয়াড়দের সমন্বিত পারফর্ম করা গুরুত্বপূর্ণ। ইনজুরি মুক্ত থাকা জরুরি।

সমকাল: ফিল সিমন্স আপনাকে চারে খেলাচ্ছেন। আপনার ইচ্ছা কী?

মিরাজ: আমি টপঅর্ডারে ব্যাটিং করছি সম্প্রতি। সর্বশেষ দুটি সিরিজে মনে হয় টপঅর্ডারে ব্যাটিং করেছি। যেহেতু ভালো করেছি, এখানে সুযোগ পেলে ভালো। আমাকে নিয়ে অনেক এক্সপেরিমেন্ট করা হয়েছে। ওপেনিং থেকে লোয়ার অর্ডার; সবখানে ব্যাট করেছি। এখন আমাকে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় সেট করতে পারলে আমার এবং দলের জন্য ভালো। কারণ বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে আমার এবং দলের জন্য সমস্যা। আমি জানি না, তারা কীভাবে পরিকল্পনা করছে। তবে আমার মতামত নিলে এক কায়গায় সেট হতে চাই। আমি সেটা সবাইকে বলেও দিয়েছি।

সমকাল: চার না সাতে ব্যাট করতে চান?

মিরাজ: যেহেতু চার নম্বরে ভালো করছি। সেখানেই সেট হতে চাইব।

সমকাল: অধিনায়ক হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্ট জিতেছেন। সেই অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে চাই?

মিরাজ: ২০০৯ সালের পর থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজে বেশ কয়েকটি সিরিজে বাজে খেলিছি। একবার ৪৪ রানে অলআউট হয়েছি। এবারের দলটি অনেক তরুণ ছিল। ভালো করার ক্ষুধা ছিল। আমি বলব, একটি টেস্ট ম্যাচ জেতার জন্য যা যা করা দরকার ছিল, আমরা দ্বিতীয় ম্যাচে তাই তাই করেছি। নাহিদ রানা, তাইজুল ভাই খুব ভালো বোলিং করেছেন। ইতিবাচক ক্রিকেট খেলেছি। ১৭০ রানে অলআউট হওয়ার পর ওদের দেড়শ রানে অলআউট করেছি। এই লড়াকু মানসিকতা ফল পেতে সাহায্য করেছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল প রফরম য ন স ক য় ল ফ ই কর জ ত য় দল প রফর ম ব প এল র জন য র ওপর সমক ল উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

‘সে শুধু নিজের রেকর্ডের জন্য খেলে, দলের জন্য নয়’

এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে আল-নাসর। তবে মাঠের ফলাফলের চেয়েও এখন আলোচনায় ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর প্রতিক্রিয়া। ম্যাচ শেষে তার ‘বিষণ্ণ ও নাটকীয়’ আচরণ উপহাস হিসেবে দেখছেন ফুটবলপ্রেমীরা।

বুধবার রাতে জেদ্দার আলিনমা স্টেডিয়ামে জাপানি ক্লাব কাওয়াসাকি ফ্রন্টেলের বিপক্ষে ৩-২ গোলে হারে সৌদি ক্লাব আল-নাসর। এই পরাজয়ে রোনালদোর দলের সামনে চলতি মৌসুমে আর কোনো ট্রফি জয়ের সুযোগ থাকল না। সেমিফাইনালের ম্যাচটিতে রোনালদো একটি সুবর্ণ সুযোগও নষ্ট করে। প্রতিপক্ষ দলের গোলরক্ষককে কাটিয়ে গেলেও শেষ মুহূর্তে বল জালে পাঠাতে ব্যর্থ হন পর্তুগিজ মহাতারকা। সমর্থকদের মতে, রোনালদোর গোল মিস করাটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।

ম্যাচ শেষে হতাশ রোনালদোকে দেখা যায় মাঠের কেন্দ্রবিন্দুতে দাঁড়িয়ে নিজে নিজে কথা বলতে ও আকাশের দিকে তাকিয়ে কিছুটা নাটকীয় ভঙ্গিতে হাত নেড়েছেন। তার এই অদ্ভুত আচরণ নিয়েই এখন সরগরম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।

একজন টুইটারে লিখেছেন, ‘রোনালদোর জন্য ‘ফুটবলকে ছেড়ে দাও, তার আগেই যে ফুটবল তোমাকে ছাড়বে’—এই কথাটা একেবারে যথার্থ।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘এই লোকটা এখন আর মজার না… শুধু অহঙ্কারে ভরা।’

তৃতীয় একজন মন্তব্য করেছেন, ‘মেসির বিশ্বকাপ জয় মানসিকভাবে শেষ করে দিয়েছে রোনালদোকে।’ অন্য একজন কটাক্ষ করে বলেন, ‘ক্যামেরার জন্য এমন মরিয়া চেষ্টাও এক রকম প্রশংসার দাবি রাখে—যদি না সেটা এত করুণ হতো।’

অনেকে আবার রোনালদোর স্বার্থপরতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন, ‘সে শুধু নিজের রেকর্ডের জন্য খেলে, দলের জন্য নয়।’

তবে এত সমালোচনার পরও অবসরের কোনো ইঙ্গিত দেননি রোনালদো। বরং সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়ে দলের প্রতি নিজের গর্বের কথা জানান তিনি। রোনালদো লেখেন, ‘সবসময় স্বপ্ন পূরণ হয় না। তবে আমি গর্বিত আমাদের পারফরম্যান্স নিয়ে। যারা আমাদের পাশে থেকেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আপনাদের সমর্থন আমাদের অনেক কিছু বলে।’

এদিকে ম্যাচ শেষে আল-নাসরের কোচ স্তেফানো পিওলি দলের পারফরম্যান্সে ক্ষোভ ঝাড়েন। তিনি বলেন, ‘আমাদের কৌশলে সমস্যা ছিল, দ্বিতীয়ার্ধে ঝুঁকি নিয়েছিলাম। তবে যে পারফরম্যান্স হয়েছে, তা হতাশাজনক। প্রতিপক্ষ আমাদের চমকে দেয়নি, বরং নিজেদের দুর্বলতাই বড় ধাক্কা দিয়েছে।’

এই হারে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে পড়েছে আল-নাসর, আর প্রশ্নটা থেকে গেছে—রোনালদো আসলে কোথায় গিয়ে থামবেন?

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘সময় পাল্টে গেছে, একটা ভিডিও ক্লিপ দিয়েও এখন জাতীয় দলে ডাক পাওয়া যায়’
  • সে শুধু নিজের রেকর্ডের জন্য খেলে, দলের জন্য নয়—সমর্থকদের বিদ্রুপ
  • ‘সে শুধু নিজের রেকর্ডের জন্য খেলে, দলের জন্য নয়’
  • সেয়ানে সেয়ানে টক্করে বার্সা ও ইন্টারের কে কত নম্বর পেলেন
  • সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ
  • মিরাজে দুর্দান্ত জয় বাংলাদেশের
  • আজিজুল হাকিমের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স, কলম্বোয়ও হেসেছে বাংলাদেশ
  • ‘বাজপাখি’ মার্তিনেজের বাজে ফর্ম, আর্জেন্টিনার জন্য কতটা দুশ্চিন্তার
  • সমালোচকরা খেলা বোঝে না!—আক্ষেপ তাইজুলের
  • তাইজুলকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে অবমূল্যায়িত বোলার’ বললেন তামিম