প্রস্তাবিত বিধানে ‘গুম-খুনে জড়িতরা’ নির্বাচন করতে পারবেন না
Published: 21st, January 2025 GMT
গুম, খুন ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতরা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না- এমন বিধান প্রস্তাবে রাখার কথা তুলে ধরেছেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেছেন, বিচারিক আদালত বা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ব্যক্তিরাও নির্বাচনের সুযোগ পাবেন।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) টক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন তথ্য তুলে ধরেন তিনি।
নির্বাচন অঙ্গনকে দুর্নীতিমুক্ত রাখার জন্য এই বিধান করা হচ্ছে জানিয়ে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, প্রস্তাবিত বিধানটি সব রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর জন্য প্রযোজ্য হবে।
আরো পড়ুন:
চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুন: আদালতের রায়ে ক্ষুব্ধ তারকারা
ফ্যাসিস্ট যেন সংসদে ফিরে আসতে না পারে: বদিউল আলম
কোনো দলকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার পক্ষ নয় কমিশন, বরং নির্বাচনে সুষ্ঠু প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিশ্চিত করতে এই প্রস্তাব করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন বদিউল আলম।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, “গুরুতর মানবতাবিরোধী অপরাধ যারা করেছেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড যারা করেছেন, তারা যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারেন, সেই সুপারিশ নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হয়েছে। কাউকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমরা চাই যারা অন্যায় করেছেন, তারা যেন বিচারের আওতায় আসেন।”
একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে যারা কারচুপিতে সহায়তা করেছে তাদের বিচার করার দাবি উত্থাপন করে বদিউল আলম বলেন, “তখনকার কমিশন অন্যায় করলে তাদেরও বিচার হবে। কেউ চায় না, অতীতের জায়গায় ফিরে যাক। অতীতের কারচুপির নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি চাই না। নির্বাচনী অঙ্গনকে দুর্বৃত্তায়ন মুক্ত করতে হবে।”
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন নির্বাচন বিষয়ে আরো কিছু সুপারিশ করেছে। সেসব আগেই কমিশনের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
নির্বাচন এলেই পোস্টারে ছেয়ে যায় দেশ। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলের আপত্তি রয়েছে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। নির্বাচনে পোস্টার নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করা হয়েছে তারা।
নির্বাচনি আইন ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ’ (আরপিও) সংশোধন করে মোট ১৮টি বিষয় সংশোধন এবং মোট ১৫০টি সুপারিশ জমা দিয়েছে সংস্কার কমিশন।
ঢাকা/হাসান/রাসেল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।
নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’
আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।