অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি ও মো. জাকির হোসেন এবং সাবেক এক এমপির বিরুদ্ধে চারটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট অনুসন্ধান কর্মকর্তারা কমিশনের ঢাকা-১ কার্যালয়ে আলাদাভাবে মামলাগুলো দায়ের করেন।

এজাহার থেকে জানা যায়, ৫ কোটি ২৭ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মেহের আফরোজ চুমকির বিরুদ্ধে মামলা হয়। তাঁর নামের ৯টি ব্যাংক হিসাবে ১২ কোটি ৩২ টাকা জমা এবং ৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়, যা অস্বাভাবিক।

জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে ১২ কোটি ৮১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা হয়। তিনি নিজ নামের ৯টি ব্যাংক হিসাবে ১৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা জমা এবং ১২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা উত্তোলন করে অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন।

এ ছাড়া কুষ্টিয়া-১ আসনের সাবেক এমপি সরওয়ার জাহান ও তাঁর স্ত্রী মাহমুদা সিদ্দিকার বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়। সরওয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ৪ কোটি ২০ লাখ ৭২ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের। তিনি নিজ নামের ছয়টি ব্যাংক হিসাবে ৫ কোটি ৭৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা জমা করেন। উত্তোলন করেন ৫ কোটি ৬৮ লাখ ৯২ হাজার টাকা। মোট ১১ কোটি ৩৮ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন তিনি। 
মাহমুদা সিদ্দিকার বিরুদ্ধে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা হয়। ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রীর নামে সম্পদ রাখায় সরওয়ার জাহানকেও এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মোজাম্মেলের অবৈধ সম্পদ ১০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, দুদকের মামলা

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও গাজীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সেগুনবাগিচা কার্যালয়ে সংস্থাটির নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে কমিশনের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, “আ ক ম মোজাম্মেল হক ১০ কোটি ৩৪ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তিনটি ব্যাংকে ৮ কোটি ৩২ লাখ ৭৪ হাজার ১১৪ টাক সন্দেহজনক লেনদেন করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় অপরাধ করেছেন।”

মামলার এজাহারে বলা হয়, আ ক ম মোজাম্মেল হকের ঋণ বাদে স্থাবর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ১১২ কোটি ৫৪ লাখ ২১ হাজার ২৮০ টাকা। পারিবারিক ব্যয় ১ কোটি ৬৩ লাখ ২৬ হাজার ২৭৭ টাকা। ব্যয়সহ অর্জিত সম্পদের পরিমাণ ১৩ কোটি ১৭ লাখ ৪৮ হাজার ৫৭ টাকা। তার মধ্যে গ্রহণযোগ্য আয় হলো ২ কোটি ৮২ হাজার ৯০ লাখ ৬৩০ টাকা আর জ্ঞাত বহির্ভূত সম্পদ হলো ১০ কোটি ৩৪ লাখ ৫৭ হাজার ৪২৭ টাকা। এই টাকা তিনি ভোগদখলে আছেন। একই সঙ্গে তার প্রতিষ্ঠানসমূহের নামে পরিচালিত ৩টি ব্যাংক হিসাবে জমা দিয়েছেন ৪ কোটি ১৬ লাখ ৩৭ হাজার ৫৭ টাকা। উত্তোলন করেছেন ৪ কোটি ১৬ লাখ ৩৭ হাজার ৫৭ টাকা। সন্দেহজনক মোট লেনদেন করেছেন ৮ কোটি ৩২ লাখ ৭৪ হাজার ১১৪ টাকা।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সা‌বেক মন্ত্রী ইমরান আহমেদের বিরু‌দ্ধে মামলা
  • মোজাম্মেলের অবৈধ সম্পদ ১০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, দুদকের মামলা