জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, বর্তমান রাজনৈতিক যে ক্রাইসিসগুলা চলছে, সেখানে লালসন্ত্রাস-গ্রিনসন্ত্রাস আসবে। আমরা ২৪ গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে জাতিগত বিদ্বেষ চাই না, কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রম চাই না। যে আদর্শিক বিভাজন বাংলাদেশে রয়েছে, সেখান থেকে আমরা সরে আসতে চাই। বিভিন্ন যে বাদ আছে—জিয়াবাদ বলুন, মুজিববাদ বলুন আমরা কোনো বাদ বাংলাদেশে চাই না। আমরা বাংলাদেশে শুধু একটি বিষয় বুঝি, সেটা হলো জনগণ।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ন টাওয়ারে নাগরিক কমিটির কার্যালয়ে রাজনৈতিক বক্তৃতামালা সিরিজঃ পর্ব-৩ এ ‘১৯৭৪ এর দুর্ভিক্ষ: বাংলাদেশের রাজনীতি ও উন্নয়নপন্থায় প্রভাব’ শীর্ষক সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।   

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, জনগণ সবার উপরের জায়গায় থাকবে। জনগণের মূল্যায়নে সংবিধান তৈরি হবে। জনগণকে ফোকাস করে জনগণের জন্য আমরা লড়াই করতে চাই। জনগণের কাছে আমরা যেতে চাই। জনগণের জয়যাত্রা জারি থাকুক। জনগণ আমাদের প্রেরণার শক্তি হোক।

তিনি বলেন, আমাদের গত ৫৩ বছরে কখনই ক্ষমতা হস্তান্তর জনগণকে সুস্থভাবে দিতে পারিনি। একটা অভ্যুত্থানের পর পার্লামেন্ট থেকে জজ, উকিল, ব্যারিস্টার সবাই পালিয়ে গেল, কীভাবে পুরো বাংলাদেশ স্তব্ধ হয়ে পড়েছিল। তখন দায়িত্ব আমাদের উপর এসে পড়ে। আমরা কতটুকু করতে পেরেছি এটা বিচার করবে। তখন বাংলাদেশে রাস্তায় লাশ পড়ছিল.

..হত্যাযজ্ঞ থামানোর জন্য পলিটিকাল সোসাইটি কোনো উদ্যোগ নিচ্ছিল না। আমরা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে মানুষের কাছে বুদ্ধি পরামর্শ নিয়েছি। যার কারণে আমরা এখনও নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারছি।

নাগরিক কমিটির এই নেতা বলেন, ৭১ পরবর্তী এ দেশের জনগণকে যে আঘাত করা হয়, সেটা হলো জনগণকে অন্ধকারে রেখে একটি সংবিধান হয়েছিল। তার মাধ্যমে একটি বিভাজনের রাজনীতি চালু করা হয়। আমরা গত ৫৩ বছরে বিভাজনের সংকটে চব্বিশে এসে হাজারো শহীদ, অসংখ্য আহত হয়েছে। এখনও ১৯৭১-৭৫ সালে অজানা অধ্যায় অন্ধকারে রয়ে গেছে। তিনি বলেন, আমরা ইতিহাসের অন্ধকার অধ্যায়গুলো জনগণের সামনে নিয়ে আসব। এগুলো প্রান্তিক মানুষের ভাষার মত করে তাদের সামনে নিয়ে যেতে হবে।

সভায় বিষয়ের উপর আলোচনা করেন ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজের উন্নয়ন অধ্যয়নের অধ্যাপক ড. নাওমি হোসাইন, অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন নাগরিক কমিটির অন্যান্য নেতারা।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জনগণ র র জন ত

এছাড়াও পড়ুন:

নতুন পোপ নির্বাচনের সমাবেশ শুরু ৭ মে

আগামী মাসে গোপন সমাবেশে (কনক্লেভ) পরবর্তী পোপ নির্বাচন করবেন কার্ডিনালরা। ভ্যাটিকান সোমবার এ কথা জানিয়েছে। ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুর পর নতুন পোপ নির্বাচন করতে বিশ্বজুড়ে প্রায় ১৩৫ জন রোমান ক্যাথলিক কার্ডিনাল অংশ নেবেন। 

৭ মে সমাবেশ শুরু হবে সিস্টিন চ্যাপেলে। পরবর্তী পোপ নির্বাচন করতে কত সময় লাগবে, তার কোনো নির্দিষ্ট সময়সূচি নেই। তবে আগের ২০০৫ ও ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত দুটি সমাবেশ মাত্র দু’দিন স্থায়ী হয়েছিল। 

ভ্যাটিকানের মুখপাত্র মাত্তেও ব্রুনি বলেন, কার্ডিনালরা প্রথমে সেন্ট পিটার্স বাসিলিকায় এক মহাসমারোহে অংশ নেবেন। এরপর ভোটদানে যোগ্যরা সিস্টিন চ্যাপেলে গোপন ব্যালটে অংশ নেবেন। বিবিসি।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দেশ রাজনৈতিকভাবে কঠিন সময় অতিক্রম করছে: ফখরুল
  • মালাইকার বিরুদ্ধে জামিন-অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
  • মোদির যুদ্ধপ্রবণ মনোভাবের নিন্দা ইমরান খানের
  • আট অঞ্চলে বৃষ্টির আভাস, নদীবন্দরে সতর্ক সংকেত
  • বাবার মামলায় ছেলে গ্রেপ্তার
  • নতুন পোপ নির্বাচনের সমাবেশ শুরু ৭ মে
  • ‘মানবিক করিডর’ প্রদানের বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন: জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল
  • কোনো মহামানবকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য মানুষ আন্দোলন করেনি: আমীর খসরু
  • কোনও মহামানবকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য মানুষ আন্দোলন করেনি: আমীর খসরু
  • কোনও মহামানবকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য মানুষ আন্দোলন করেনি: আমির খসরু