উড়োজাহাজের টিকিট মজুতদারি বন্ধের দাবি জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)। টিকিটের দাম কমানোর পাশাপাশি বাল্ক টিকিট (বিশেষ টিকিট) বিক্রিও বন্ধ চায় সংস্থাটি। গতকাল রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান আটাব সভাপতি আবদুস সালাম আরেফ।

এ সময় আটাবের মহাসচিব আফসিয়া জান্নাত সালেহ, সাবেক মহাসচিব জিন্নুর আহমেদ চৌধুরী দিপু, উপমহাসচিব তোয়াহা চৌধুরী, অর্থ সচিব সফিক উল্যাহ নান্টু উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন আটাব সভাপতি। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান পরিবহন খাতে চলমান বড় সমস্যা হলো টিকিটের দাম বৃদ্ধি। এর নেপথ্যে প্রধান কারণ ‘নামবিহীন গ্রুপ টিকিট বুকিং’। মধ্যপ্রাচ্যগামী কিছু এয়ারলাইন্স তাদের পছন্দের এজেন্সির নামে যাত্রী তালিকা ছাড়াই শুধু ই-মেইলের মাধ্যমে সিট ২ থেকে ৩ মাস অগ্রিম ব্লক করে রাখে। তাতে পাসপোর্ট, ভিসা, ভ্রমণ নথিপত্র কিংবা প্রবাসগামী শ্রমিকদের বৈদেশিক ওয়ার্ক পারমিটের তথ্যও থাকে না।

আটাব সভাপতি বলেন, এভাবে টিকিট মজুতদারি করার ফলে সিন্ডিকেট তৈরি হয় ও আসন সংকট দেখা দেয়। ফলে টিকিটের দাম কখনও ২০ থেকে ৫০ শতাংশ, কখনও দ্বিগুণ-তিন গুণ পর্যন্ত বাড়ে। এতে বিদেশগামী শ্রমিক, শিক্ষার্থী ও প্রবাসী চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন।

মূলত মধ্যপ্রাচ্যগামী এয়ারলাইন্সগুলো ফ্লাইটের দিন-তারিখের অনেক আগেই আসন বিক্রি করে ফেলে। অধিক মুনাফার জন্য তারা এই পদ্ধতি অবলম্বন করে। রিয়াদ, দাম্মাম, জেদ্দা, ওমান, দোহা, কুয়ালালামপুরসহ বিভিন্ন রুটের সিট ব্লক করে রাখা হয়। বিশেষ করে ওমরাহ ও বিদেশে শ্রমিক পাঠানোর নামে টিকিটের মজুতদারি চলে। এতে অন্যান্য রুটের (যেমন লন্ডন, নিউইয়র্ক, ইউরোপ, আমেরিকা) টিকিটের দামও বেড়ে যায়। ফলে মার্কেট মনোপলি তৈরি হচ্ছে। এয়ারলাইন্সগুলোর ফ্লাইটের সংখ্যা কমানোর কারণেও টিকিটের দাম বাড়ছে বলে মনে করেন তিনি।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

‘ক্ষুদে ম্যারাডোনা’ জিসানের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ফেকামারা ডুলিকান্দা গ্রামের ক্ষুদে ফুটবলার জিসানের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। স্থানীয়রা ফুটবলে জিসানের দক্ষতায় মুগ্ধ হয়ে তাকে ‘ক্ষুদে ম্যারাডোনা’ বলে ডাকেন। 

তারেক রহমানের পক্ষে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জিসানের গ্রামের বাড়িতে যান বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক। তিনি জিসানের বাবা ও এলাকাবাসীকে এ খবরটি জানিয়ে আসেন।

উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ফেকামারা ডুলিকান্দা গ্রামের অটোরিকশাচালক জজ মিয়ার ছেলে জিসান। মাত্র ১০ বছর বয়সী এই প্রতিভাবান ফুটবলারের অসাধারণ দক্ষতার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। স্থানীয় চর ঝাকালিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র সে। 

কখনও এক পায়ে, কখনও দু’পায়ে, কখনও পিঠে ফুটবল রেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কসরত করে জিসান। দেখে মনে হবে, ফুটবল যেনো তার কথা শুনছে। এসব কসরতের ভিডিও নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।

অনলাইনে জিসানের ফুটবল নৈপুণ্য দেখে মুগ্ধ হন তারেক রহমান। তিনি জিসানের ভবিষ্যৎ গড়ার দায়িত্ব নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার পক্ষে গতকাল সোমবার বিকেলে জিসানের বাড়িতে যান বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক। 

জিসানকে উপহার হিসেবে বুট, জার্সি ও ফুটবলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম তুলে দেন তিনি। এছাড়া জিসানের পরিবারকে আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হয়।

জিসানের ফুটবল খেলা নিজ চোখে দেখে মুগ্ধ আমিনুল হক বলেন, “জিসান ফুটবলে ন্যাচারাল ট্যালেন্ট। তারেক রহমান জিসানের প্রশিক্ষণ, লেখাপড়া ও ভবিষ্যতের সকল দায়িত্ব নিয়েছেন। তাছাড়া প্রতিমাসে জিসানের লেখাপড়া, ফুটবল প্রশিক্ষণ ও পরিবারের ব্যয়ভারের জন্য টাকা পাঠানো হবে।”

জিসান জানায়, মোবাইলে ম্যারাডোনা, মেসি ও রোনালদোর খেলা দেখে নিজেই ফুটবলের নানা কৌশল শিখেছে। নিজ চেষ্টায় সে এসব রপ্ত করেছে।

জিসানের বাবা জজ মিয়া বলেন, “আমি বিশ্বাস করতাম, একদিন না একদিন কেউ না কেউ আমার ছেলের পাশে দাঁড়াবে। আজ আমার সেই বিশ্বাস পূর্ণ হয়েছে।”

ঢাকা/রুমন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর  করতে ডায়েটে যে পরিবর্তন আনতে পারেন
  • অনুষ্ঠান করে স্ত্রীকে বিয়ে দিলেন স্বামী
  • ‘ক্ষুদে ম্যারাডোনা’ জিসানের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান