‘জন নায়ক’ সিনেমা দিয়েই অভিনয় জীবনের ইতি টানছেন বিজয়
Published: 27th, January 2025 GMT
সিনেমা ছেড়ে পুরোদমে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার বিষয়টি আগেই জানিয়েছিলেন দক্ষিণী সুপারস্টার থালাপতি বিজয়। কিন্তু কোনটি হবে তার ক্যারিয়ারের শেষ সিনেমা তা অজানা ছিল। এবার ক্যারিয়ারের শেষ সিনেমার নাম ঘোষণা করেছেন বিজয়। তার ৬৯তম সিনেমার নাম দেওয়া হয়েছে ‘জন নায়ক’।
গুঞ্জন আছে, এই সিনেমার জন্য ২৭৫ কোটি পারিশ্রমিক নিচ্ছেন থালাপতি বিজয়; যার ফলে শাহরুখ খান, সালমান খান, প্রভাস কিংবা রজনীকান্তকে পিছনে ফেলে এইমুহূর্তে ভারতীয় সিনেমার সবচেয়ে ‘দামি’ তারকা তিনি।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ‘জন নায়ক’ সিনেমার পর বিজয় পুরোদমে রাজনীতিতে সময় দেবেন। ইতোমধ্যে নিজের রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ করেছেন এই সুপারস্টার। ভারতের লোকসভা ভোটের শুরুর দিকে বিজয় ঘোষণা দিয়েছেন তার রাজনৈতিক দলের নাম। অভিনেতা দলের নাম রেখেছেন ‘তামিলাগা ভেটরি কাজাগম’। অভিনেতার লক্ষ্য ২০২৬-এর তামিলনাড়ুর বিধানসভা নির্বাচন। ফলে রাজনীতিতে ব্যস্ততা বাড়বে তার। আর রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ায় সিনেমা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেবেন।
এইচ বিনোদ পরিচালিত ‘জন নায়ক’ সিনেমায় বিজয়কে দেখা যাবে একজন রাজনৈতিক নেতার চরিত্রে। থালাপতি বিজয় এক্স হ্যান্ডলে ‘জন নায়ক’ সিনেমার ফার্স্ট লুক শেয়ার করেছেন। সেখানে সাদা পোশাক পরা অবস্থায় জনগণের সামনে তাকে দেখা গেছে। সেলফি তোলার পোজ নিয়েছেন বিজয়।
তিনি মানুষের মধ্যে আছেন এ কথাই বোঝাচ্ছেন। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন সিনেমার সেকেন্ড লুকও দ্রতই আসবে। জানা গেছে, অভিনেত্রী পুজা হেগড়ে, মমিতা বাইজু ও ববি দেওল থাকবেন এতে। এই মুহুর্তে ভারতের মিউজিক সেনসেশান অনিরুধ রবিচন্দন সুর করবেন সিনেমাটির।
‘মার্শাল’, ‘থুপাক্কি’, ‘মাস্টার’ এবং ‘লিও’র মতো সুপারহিট ছবিতে বিজয়কে দেখেছেন দর্শক। ৪৯ বছরের এই অভিনেতার নাচেও মাতোয়ারা অনুরাগীরা। এমন সাফল্যময় ক্যারিয়ার রেখেই রাজনীতির ময়দানে পা বাড়াচ্ছেন থালাপতি। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: থ ল প ত ব জয় র জন ত ত
এছাড়াও পড়ুন:
‘আমরার এইতা দিবস-টিবস দিয়া কী অইব’
ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর ২টা ২০ মিনিট। মাথার ওপর প্রখর রোদের উত্তাপ। প্রচণ্ড গরমে ত্রাহি অবস্থায় একটু বিশ্রাম নিতে গাছের ছায়ার খোঁজে ক্লান্ত পথিক। এমন সময় ঘর্মাক্ত শরীরে একটি ভবন নির্মাণের কাজ করতে দেখা গেল কয়েকজন শ্রমিককে। তাদের একজন তোঁতা মিয়া, অপরজন হাবিবুল।
হাবিবুল পাথর ভরেই যাচ্ছেন, তোঁতা মিয়া সেগুলো মাথায় করে একের পর এক টুড়ি ছাদ ঢালাইয়ের জন্য পৌঁছে দিচ্ছেন নির্দিষ্ট স্থানে। সেখানেও বালু-পাথরের মিশ্রণ করছেন আরও কয়েকজন। তাদের কর্মযজ্ঞের এক ফাঁকে কথা হয় তোঁতা মিয়ার সঙ্গে।
আলাপকালে তোঁতা মিয়া বলেন, ‘সারাদিন কাম (কাজ) কইরা ৫০০ ট্যাহা (টাকা) হাজিরা পাই। এইডি দিয়া কোনোমতে বউ-পুলাপান নিয়া দিন পার করতাছি। মে দিবস-টিবস কী কইতারতাম না। আমরার মতো গরিব মানুষ কাম না করলে পেডে ভাত জুটতো না এইডাই কইতারবাম।’
গতকাল বুধবার ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণকাজ করার সময় এসব কথা বলেন তোঁতা মিয়া (৪৫)। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার আকুয়া এলাকায়। এ সময় কথা হয় আরেক নির্মাণ শ্রমিক একাদুল মিয়ার সঙ্গে। একাদুলও জানেন না মে দিবস কী। তিনি বলেন, ‘এই কাম কইরা খাইয়া-না খাইয়া বউ-পুলাপান লইয়া কোনোরহমে দিন পার করতাছি। বর্তমান বাজারো জিনিসপাতির দাম বাড়লেও আমরার মজুরি বাড়ে না। পাঁচ বছর আগেও যা পাইতাম, অহনও তাই পাই।’ তিনি বলেন, ‘কয়েক ট্যাহা সঞ্চয় করবাম এই বাও (উপায়) নাই। অসুখ অইয়া চার দিন ঘরে পইড়া থাকলে না খাইয়া থাহন লাগব। আমরার এইতা দিবস-টিবস দিয়া কী অইব?’
আজ বৃহস্পতিবার মহান মে দিবস। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের এই দিনটি সারাবিশ্বের শ্রমিক শ্রেণির কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বহির্বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হয় নানা আয়োজনে। কিন্তু যাদের অধিকার আদায়ের জন্য এ দিনটি পালন করা হয়– তারাই জানেন না দিবসটি সম্পর্কে। তাদের আরেকজন দিনমজুর রাজন মিয়া। রাজন জানান, এসব দিবসে তাদের মতো গরিব মানুষের কোনো লাভ-লোকসান নেই।