বরিশাল বোর্ডে পাসের হার সর্বনিম্ন, ফেল বেশি গণিত ও ইংরেজিতে
Published: 10th, July 2025 GMT
চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে। একই সঙ্গে জিপিএ- ৫ প্রাপ্তির সংখ্যা কমে অর্ধেক হয়েছে। এ বছর বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ৫৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ। দেশে ৯টি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে পাসের হার বরিশাল বোর্ডে সর্বনিম্ন।
২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত বরিশাল বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হয়। এ পর্যন্ত এটাই সর্বনিম্ন পাসের হার কি না তা বোর্ড কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিক জানাতে পারেননি। তবে গত ১০ বছরের মধ্যে পাসের হার সর্বনিম্ন তা নিশ্চিত করেছেন চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো.
গতবছর বরিশাল বোার্ডে পাসের হার ছিলো ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। এর আগে ২০২৩ সালে পাসের হার ছিল ৯০ দশমিক ১৮ শতাংশ।
বিগত বছরের ফলের সঙ্গে তুলনা করলে এ বছর বিপর্যয় হয়েছে- এমনটা মানতে নারাজ বোর্ড চেয়ারম্যান। তিনি সমকালকে বলেন, ‘দেশের শিক্ষা সেক্টরে শৃঙ্খলা ফিরেছে। যারা লেখাপড়া করবেন তারাই পাস করবেন। প্রকৃত মেধাবীরাই এবার পাশ করেছেন।’
তিনি বলেন, গণিত ও ইংরেজিতে বেশি ফেল করায় পাশের হার আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে।
বৃহস্পতিবার ঘোষিত ফলে দেখা গেছে, এ বছর বরিশাল বোর্ডে জিপিএ- ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী ৩ হাজার ১১৪ জন। যা গতবছর ছিলো ৬ হাজার ১৪৫ জন। এ বছর বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ৮৪ হাজার ৭০২ জন। পাস করেছে ৪৬ হাজার ৭৫৮ জন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বর শ ল এসএসস বর শ ল ব র ড র বর শ ল ব এ বছর ব
এছাড়াও পড়ুন:
যশোর বোর্ডে এসএসসিতে শতভাগ পাস ৭৫ স্কুল, ফেল ২ প্রতিষ্ঠান
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় শতভাগ পাসের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে। পাশাপাশি শতভাগ ফেল করেছে দু’টি প্রতিষ্ঠান। আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ফলাফলে এ চিত্র উঠে এসেছে। এবার শতভাগ পাস করেছে ৭৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মতিন।
যশোর শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় এবার ২ হাজার ৫৭৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক লাখ ৩৮ হাজার ৮৫১ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে ৭৫টির সব শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। তবে এই সংখ্যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। গতবছর শতভাগ পাস করেছিল ৪২২টি স্কুলের শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি গতবছর শতভাগ ফেলের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল না। এবার দু’টি প্রতিষ্ঠান এই তালিকায় নাম লিখিয়েছে। এ দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো নড়াইলের মুলাদি তালতলা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের নাহালখালি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। এই স্কুল দু’টি থেকে একজন করে ছাত্রী এসএসসি পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়ে অনুত্তীর্ণ হয়েছে। ২০২৩ সালেও শতভাগ ফেলের তালিকায় ছিল মুলাদি তালতলা স্কুল।
যশোর বোর্ড সূত্র জানায়, ২০২৩ সালে শতভাগ পাসের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ১৯৩টি। আর ২০২২ সালে শতভাগ উত্তীর্ণ প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৫১৩টি। আর গতবছর শতভাগ অনুত্তীর্ণ কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না থাকলেও ২০২৩ সালে যশোর বোর্ডের তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যশোরের শার্শা উপজেলার সাড়াতলা নিম্ন-মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সাতক্ষীরার তালা উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও নড়াইলের মুলাদি তালতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীই অনুত্তীর্ণ হয়েছিল। ২০২২ সালে এমন প্রতিষ্ঠান ছিল একটি।