দ. আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়েতে যুবাদের ওয়ানডে মিশন
Published: 10th, July 2025 GMT
দক্ষিণ আফ্রিকায় তিনটি ওয়ানডে খেলার পর জিম্বাবুয়েতে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। আজই যুবারা রওনা হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশ্যে।
রাজশাহী ও সিলেটে ক্যাম্পের পর ক্রিকেটাররা এবার যাচ্ছেন প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে মিশনে।
আগামীকাল বাংলাদেশ দল দক্ষিণ আফ্রিকায় পৌঁছবে। পরদিন থেকে শুরু হয়ে যাবে অনুশীলন। ১৭ জুলাই প্রথম ওয়ানডের আগে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন ক্রিকেটাররা। ১৪ জুলাই ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার আমন্ত্রণমূলক দলের বিপক্ষে ম্যাচটি হবে।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টি-টোয়েন্টি পরিসংখ্যান
র্যাংকিংয়ে জাকের-তাওহীদের উন্নতি
১৭, ১৯ ও ২২ জুলাই তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ম্যাচগুলো হবে বেনোনির উইলোমোর পার্কে। দুই দল একই সঙ্গে ২৩ জুলাই জিম্বাবুয়ে উড়াল দেবে।
জিম্বাবুয়েতে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজটি হবে আগস্টে। ৪ আগস্ট জিম্বাবুয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ওয়ানডে খেলবে। ৬ আগস্ট বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। একদিন পর ৮ আগস্ট বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে।
সিঙ্গেল রাউন্ড পদ্ধতিতে হবে এই সিরিজ। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দুই দল খেলবে ফাইনাল। বাংলাদেশ ফাইনাল খেলতে পারলে আরেকটি ওয়ানডে বাড়বে। সবগুলো ম্যাচ হবে হারারে স্পোর্টস গ্রাউন্ডে। জিম্বাবুয়ে সময় সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে ম্যাচটি শুরু হবে।
১১ আগস্ট যুবারা দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।
দুই সিরিজের জন্য বৃহস্পতিবার ১৬ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বিসিবি। এর আগে তাদের ফটোসেশন হয়েছে মিরপুরে একাডেমি ভবনের সামনে।
বাংলাদেশ স্কোয়াড:
আজিজুল হাকিম তামিম (অধিনায়ক), জাওয়াদ আবরার (সহ-অধিনায়ক), সামিউন বশির রাতুল, দেবাশিষ সরকার দেবা, রিজান হোসেন, আল ফাহাদ, ইকবাল হাসান ইমন, রাফি উজ্জামান রাফি, ফরিদ হাসান ফয়সাল, কালাম সিদ্দিকী আলিন, সানজিদ মজুমদার, শাহরিয়া আল আমিন, ফারজান আহমেদ আলিফ, মো.
স্ট্যান্ডবাই:
শাহরিয়ার আহমেদ, শাহরিয়ার আজমির, মো. সবুজ ও ফারহান শাহরিয়ার।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পদাবলি
উন্মোচন
ফারুক মাহমুদ
বাঁচার-প্রবাহে যদি অযাচিত রাত্রি নেমে আসে
তখন অন্ধকারই আখ্যানের গতি-নিয়ন্ত্রক
পথের সকল চলা চলে যায় উল্টো বাঁকা পথে
যতই বলি-না কেন– ‘ভস্ম’ কোনো সম্ভাবনা নয়
এর থেকে আগুনের গুণাগুণ অবিকল রেখে
অন্ত্যমিল পদ্য হতে পারে। অন্যদিক, যথাযথ
অনুবাদ করা গেলে– আগুনের শরীরে ও মনে
পাওয়া যায় ইচ্ছে-ইচ্ছে শ্রেণিহীন শুভপুণ্য আলো
মরচেপড়া তালা নিয়ে বেশিক্ষণ বিতর্ক চলে না
বড়জোর পরাজিত মানুষের ছোট্ট হাহাকার
ঝুলে থাকে সংশ্লিষ্ট চাবিটির আয়ুপরিসরে
আক্ষেপে সান্ত্বনা নেই। বহুস্তর অর্জনের মতো
সত্যটি দাঁড়িয়ে যায়। আমাদের জানা আবশ্যক
অসার কান্নায় নয়, স্তব্ধতাই বিজ্ঞ উন্মোচন
আঙুলে আংটি, হাতে গণনা
লোপা মমতাজ
কেউ ধোয়া তুলসী পাতা নয়
যদিও মুখে কপট ঘ্রাণে পবিত্রতার বুলি,
অন্তরে রক্তাক্ত অভিপ্রায়ের ধূলি।
যে বলেছিল– এই পৃথিবী বদলাব
আজ তার আঙুলে ক্ষমতার আংটি,
সে এখন সই করে মৃতদের সংখ্যাটি।
যুদ্ধ নয় শান্তি চাই যে বলেছিল হাটে
তার হাতে আজ শান্তির বোমা ফাটে,
এক হাত যুদ্ধের বিরুদ্ধে বলে,
আর হাত বিক্রি করে বন্দু্ক;
শিশুর দুধ, বুড়োর ওষুধ
আর মজুরের ভাঙা হাতে
বেদনা জেগে থাকে রাতে
এই যে মা কাঁদে,
এই যে বাবার শার্টে থার্মোবারিক বোমার রক্ত,
এই যে কিশোরীর চোখে ধোঁয়া–
ওদের তো কেউ বিপ্লব শেখায় না,
এখানে বিপ্লব জন্মের ছোঁয়া;
আমি শুধু লিখে যাই–
তুমি পড়ে শোনো রক্তাক্ত দিন ও রাতের ব্যথা।
বোমার শব্দে ভরে উঠছে
এক একটা বিষণ্ন কবিতা–
শাশ্বত সে মুখ
বহ্নি কুসুম
নিঃশ্বাসের মতো অনিবার্য
তোমার মুখটা এসে বসে পড়ে চোখের তারায়
যেন এই মুখটা ছাড়া ঘোর অমানিশায়
নির্লিপ্ত ঢেকে যাবে চোখের জ্যোতি।
স্মৃতিগুলো জীবন্ত ছবি হয়ে ওঠে–
লুকোচুরি গোধূলিবেলা, সেই বৃষ্টিপ্রহর– জোছনাস্নান।
এমনকি তোমার নীরব শাসনও।
কী যে অমোঘ বাঁধনে– সে কী কঠোর চাহনি চোখে!
আমি কুঁকড়ে যেতাম ভয়ে–
অমন আগুন দৃষ্টি মেললে
আমি কী করে তাকাই?
তুমি কি স্মিত হাসতে?
থরথর আমাকে দেখে? নাহলে
ভালোবাসার আকাশ নিয়ে
দু’হাত যে বাড়াতে?
দীপ্ত সবুজ ও বুকটি ছুঁয়ে– শ্রাবণের মুষল বৃষ্টি
ঝরঝর নামত এ চোখে।
ভেঙে দিয়ে যৌথ স্বপ্নঘর
কবে যে ছিঁড়ে গেছে তার!