স্বাধীনতার ৫৩ বছর কেটে গেলেও একটি সেতু হয়নি পাবনার চাটমোহর উপজেলার বহরমপুর-মির্জাপুর এলাকার করতোয়া নদীর উপর। ফলে এ নদীর দুইপাড়ের অন্তত ১০ গ্রামের মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

বছরের প্রায় আট মাস নৌকায় এবং বাকি চারমাস বাঁশের সাঁকোতে কষ্টে পারাপার হতে হচ্ছে নদীপাড়ের মানুষদের। বহরমপুর ও বেলগাছি গ্রামের চারপাশেই নদী থাকায় গ্রাম দুটি উন্নয়ন বঞ্চিত।

সরেজমিনের স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নদীর পশ্চিম পাড়ে বিন্যাবাড়ি, গৌড়নগর, করকোলা, বরদানগর, চিনাভাতকুর, বহরমপুরসহ বেশ কিছু গ্রাম রয়েছে। পূর্ব পাড়ের মির্জাপুরে রয়েছে নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদ, মির্জাপুর ডিগ্রি কলেজ, উচ্চ বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, নিমাইচড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস, ব্যাংকসহ এলাকার বিখ্যাত মির্জাপুর হাট। এছাড়া আরো বেশ কিছু গ্রামের অবস্থান নদীর পূর্ব পাড়ে।

আরো পড়ুন:

৪.

৮ কিলোমিটার যমুনা রেলসেতু ৩ মিনিটে অতিক্রম

শিবচরে প্রবাসীদের উদ্যোগে কাঠের সেতু

বিভিন্ন প্রয়োজনে নদীর পশ্চিম পাড়ের মানুষকে পূর্ব পাড়ে এবং পূর্ব পাড়ের মানুষকে পশ্চিম পাড়ে যাতায়াত করতে হয়। নদী পারাপারে ১০ গ্রামের অন্তত ৪০ হাজার মানুষকে বর্ষাকালে নৌকায় আর শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকোর উপর ভরসা রাখতে হচ্ছে।

আলাপকালে বহরমপুর গ্রামের বাসিন্দা এহিয়া আলী জানান, বর্ষাকালে এ এলাকার মানুষকে খেয়া নৌকার অপেক্ষায় নদীপাড়ে বসে অপেক্ষা করতে হয়। নদীর পানি কমে গেলে বাঁশের সাঁকো দেওয়া হয়। এ সময় সাঁকোর উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হতে হয়। অসুস্থ মানুষ, সন্তান সম্ভবা মাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয় না। নদী পারাপারের সময় শিশু, বৃদ্ধরা ও বিড়ম্বনার শিকার হন।

গৌড়নগর গ্রামের বাসিন্দা মজিবর রহমান জানান, বগালালী ও মরা করতোয়া নদীর উপর বহরমপুর-মির্জাপুর ব্রিজ না হওয়ায় কয়েকটি গ্রামের হাজার মানুষকে প্রতিদিন কষ্ট করতে হচ্ছে। নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদ, ভুমি অফিস, মির্জাপুর ডিগ্রি কলেজ, মির্জাপুর হাটসহ ইউনিয়ন সদরে যাতায়াত করতে ব্রিজের অভাবে এলাকাবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। 

জনদূর্ভোগ কমাতে, এলাকাবাসীর জীবনমান উন্নয়নে দ্রুত বহরম-মির্জাপুর সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

এলজিইডি চাটমোহর উপজেলা প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ জানান, দীর্ঘ সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ঊর্ধ্বতন দপ্তরে আটটি সেতু নির্মাণের প্রস্তাবনা পাঠানো আছে। তার মধ্যে এ সেতুর প্রস্তাবনাও রয়েছে। এখনও সমীক্ষা, যাচাই বাছাই হয়নি। তিনি আশা করেন, আগামীতে জনগুরত্বপূর্ণ এ স্থানে সেতু নিমাণ করা হবে।

ঢাকা/শাহীন/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র উপর

এছাড়াও পড়ুন:

কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন, চ্যাম্পিয়ন পিএসজির গোল উৎসব

বায়ার্ন মিউনিখ ৩–১ চেলসি

২০১২ সালে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ইতিহাস গড়েছিল চেলসি। ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে টাইব্রেকারে হারিয়ে প্রথমবারের মতো পরেছিল ইউরোপসেরার মুকুট।

 তবে এরপর থেকে বায়ার্নের সঙ্গে মুখোমুখি সব ম্যাচেই হেরেছে চেলসি। লন্ডনের ক্লাবটি পারল না আজও। হ্যারি কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে ৩–১ ব্যবধানে হারিয়েছে বায়ার্ন।

আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচের ২০ মিনিটে বায়ার্ন প্রথম গোলটা পেয়েছে উপহারসূচক। চেলসির সেন্টার–ব্যাক ট্রেভোহ চালোবাহ নিজেদের জালে বল জড়ালে এগিয়ে যায় বাভারিয়ানরা।

কিছুক্ষণ পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কেইন। এবার ভুল করে বসেন চেলসির মইসেস কাইসেদো। নিজেদের বক্সে কেইনকে কাইসেদো অযথা ট্যাকল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।

নতুন মৌসুমে গোলের পর গোল করেই চলেছেন হ্যারি কেইন

সম্পর্কিত নিবন্ধ