সদিচ্ছা থাকলে দুর্নীতি অনেকটাই কমিয়ে আনতে পারবেন বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মো. আব্দুল মোমেন। 

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘আমাদের আকাঙ্ক্ষা হলো একটা ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ গঠিত হোক। সেই ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ যদি গঠিত হতে হয়, সেক্ষেত্রে দুর্নীতি একেবারে নির্মূল হবে এখনো সেটা মনে করি না; দুর্নীতি সেই পুরনো আমলেও ছিল, অদূর ভবিষ্যতেও থাকবে কিন্তু আমরা অনেকটাই কমিয়ে আনতে পারব। তার জন্য দরকার হচ্ছে আমাদের সদিচ্ছা।’’ 

আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গণশুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দুদকের চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘আজকে আমি আপনাদের সবাইকে বলব, আপনারা সবার আগে লক্ষ্য রাখবেন, দুর্নীতি দমন কমিশনে আপনাদের সঙ্গে আমরা যারা কাজ করছি, আমরা দুর্নীতিগ্রস্ত কি-না? এটা যদি নিশ্চিত করতে পারেন তাহলে মনে করবেন যে বেশ খানিকটা অগ্রগতি হয়েছে।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা সেবাদাতা এবং সেবাগ্রহীতার কথা বলি, সংকটটা সেবাগ্রহীতাকে নিয়ে নয়, সেবাদাতাকে নিয়ে। সেবাগ্রহীতার প্রত্যাশা থাকতেই পারে কিন্তু সেবাদাতা কতটা সদিচ্ছা রাখেন সেবা দিতে, সেটাই হচ্ছে বিষয়। আমরা বিশ্বাস করি, আমরা যদি ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাই, তাহলে আমাদের ক্ষমতার প্রয়োগটা, ক্ষমতা আমরা যেটাকে অনুভব করি, সেই প্রয়োগটা আমাদের কমিয়ে আনতে হবে।’’

দুদক একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন দুদকের চেয়ারম্যান।

কুমিল্লার জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়সারের সভাপতিত্বে গণশুনানি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুদকের কমিশনার মিঞা মো.

আলী আকবর আজিজি, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাফিজ আহসান ফরিদ এবং দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।  

এছাড়াও কুমিল্লার জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান এবং সকল সরকারি দপ্তরের প্রধান, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। 

ঢাকা/রুবেল/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

রাজনৈতিক দলগুলোকে অবহেলা করে কোনো চুক্তি করবেন না: মির্জা ফখরুল

বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায়, এমন কোনো চুক্তি না করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘দয়া করে রাজনৈতিক দলগুলোকে ইগনোর (অবজ্ঞা) করে, অবহেলা করে, জনগণকে অবহেলা করে এমন কোনো চুক্তি করবেন না, যেই চুক্তি বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবে।’

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে মহান মে দিবসে শ্রমিক সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল। এই সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন মির্জা ফখরুল।

সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিকভাবে একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে বাস করছি। আমাদের একটা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান হয়েছে। আমরা একটা ভয়াবহ ফ্যাসিস্টকে দেশ থেকে তাড়িয়েছি। আমরা ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা গণতন্ত্রের উত্তরণ ঘটাতে পারিনি। এখন পর্যন্ত আমাদের যে আকাঙ্ক্ষা, জনগণের ভোটের মাধ্যমে আমাদের সরকার গঠন করব, পার্লামেন্ট (সংসদ) গঠন করব, সেটা কিন্তু এখনো গঠন করতে পারিনি।’

মির্জা ফখরুল বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সবার কাছে শ্রদ্ধেয়। তাঁর কাছে বারবার অনুরোধ করা হয়েছে, যাতে সংস্কারগুলো দ্রুত সম্পন্ন করা হয়।

সংস্কার বিএনপির ‘সন্তান’—এমন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, যখন আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদ সাধারণ মানুষের ওপর চেপে বসেছিল, তখন তারেক রহমান রাষ্ট্রকাঠামো পরিবর্তনের কথা চিন্তা করে ৩১ দফা দিয়েছিলেন। যেসব সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে, সেগুলো অবিলম্বে বাস্তবায়ন করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। যেগুলোতে একমত হবে না, তা পরবর্তী পার্লামেন্টে পাস করানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
বাংলাদেশের অস্তিত্ব গণতন্ত্রের উত্তরণের ওপর নির্ভর করছে বলে সমাবেশে উল্লেখ করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল।

সমাবেশে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান প্রমুখ।

শ্রমিক সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন। সঞ্চালক ছিলেন শ্রমিক দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম। রাজধানীর আশপাশের জেলা থেকেও বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী এই সমাবেশে অংশ নেন।

আরও পড়ুনকরিডর দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসতে হবে নির্বাচিত সংসদ থেকে: তারেক রহমান৪১ মিনিট আগেআরও পড়ুন১৭ বছর গাছের গোড়ায় পানি দিয়েছি আমরা, আর ফল খেয়েছেন আপনারা: মির্জা আব্বাস২ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ