কুম্ভ মেলা থেকে বলিউডে, ভাইরাল মোনালিসার ভাগ্যবদল
Published: 31st, January 2025 GMT
ভারতের উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে ১৪৪ বছর পর শুরু হয়েছে মহাকুম্ভ মেলা। সেখানে পদপিষ্ট হয়ে বহুজন হতাহত হয়েছেন। এ মেলায় ফুল বিক্রি করতে গিয়ে নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছেন ষোড়শী মোনালিসা ভোসলে। ভাইরাল সেই মোনালিসা অভিনয় করতে যাচ্ছেন বলিউড সিনেমায়। খবর এনডিটিভির।
এ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ‘দ্য ডায়েরি অব মণিপুর’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন মোনালিসা। সিনেমাটির লেখক-পরিচালক সনোজ মিশ্রা। এর আগে এই পরিচালক নির্মাণ করেন ‘দ্য ডায়েরি অব ওয়েস্ট বেঙ্গল’-এর মতো আলোচিত সিনেমা। এই নির্মাতা মোনালিসার বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব দেন।
মোনালিসার সঙ্গে তোলা ছবি ও ভিডিও নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছেন পরিচালক সনোজ মিশ্রা। এক পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লেখেন, “ধনী ও বড় পরিবারের দুষ্ট, মাতাল মেয়েদের পরিবর্তে, আমি আমার সিনেমার জন্য একজন গরীব ও সংস্কৃতিমনা মেয়েকে বেছে নিয়েছি। যদিও এটা আমার জন্য বড় একটা চ্যালেঞ্জ।”
আরো পড়ুন:
শ্রীদেবী কন্যাকে কখনো কেউ প্রেমের প্রস্তাব দেননি
ভুল বোঝাবুঝি থেকে হৃতিক-সুজানের বিচ্ছেদ: রাকেশ রোশান
সনোজ মিশ্রা তার দাদুর বলা একটি গল্প উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করেন। তা বর্ণনা করে এই পরিচালক লেখেন, “ছোটবেলায় আমার দাদু রূপকথার গল্প বলতেন। একটি গল্প এমন ছিল— একটি মেয়ে যে খুব গরীব ছিল। মানুষজন তাকে অনেক নির্যাতন করত। এক রাতে মেয়েটি একটি পরির দেখা পান। সেই পরি মেয়েটির উপর একটি জাদুর কাঠি নাড়ায়। এরপর তার ভাগ্য বদলে যায়। এই গল্পটি সত্যি হলো। আমরা সবাই দেখেছি, মহাকুম্ভে মহাদেব তাকে আশীর্বাদ করেছিলেন। আর সেই গরীব সাধারণ মেয়েটি আজ সারা দেশে বিখ্যাত।”
দীর্ঘ দিন ধরে উত্তরপ্রদেশের নর্মদা নদীর তীরে কিলা ঘাটে ফুল ও মালা বিক্রি করে মোনালিসা। কুম্ভ মেলায় রুদ্রাক্ষের মালা বিক্রি করার সময়ে একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটরের নজরে পড়েন। মেয়েটির ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার পর দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে। মোনালিসার আকর্ষণীয় চেহারা, বিশেষ করে তার চোখ, তাকে ইন্টারনেট সেনসেশন করে তোলে।
অন্তর্জালে জনপ্রিয় হয়ে উঠার পর মোনালিসার ব্যবসায় দারুণ প্রভাব পড়েছে। কারণ মানুষজন ফুল কেনার পরিবর্তে তার সঙ্গে সেলফি তুলতে ভিড় করতে শুরু করেন। এ নিয়ে বিশৃঙ্খলাও তৈরি হয়। পরে বাধ্য হয়ে মহাকুম্ভ মেলা থেকে মহেশ্বরে তার নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন মোনালিসা।
মহাকুম্ভ মেলা থেকে ভাইরাল মোনালিসা আগেই জানিয়েছিলেন, তার ইচ্ছা ছিল অভিনেত্রী হওয়ার। তেমন সুযোগ পেলে আর পরিবারের সম্মতি পেলে অবশ্যই তিনি তার স্বপ্নপূরণ করবেন। অবশেষে মোনালিসার সুপ্ত স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র র পর ব
এছাড়াও পড়ুন:
সংগীতশিল্পী দীপ মারা গেছেন
রাস্টফ ব্যান্ডের ভোকাল আহরার মাসুদ মারা গেছেন। সেমাবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ভক্তদের কাছে দীপ নামে পরিচিত ছিলেন আহরার মাসুদ।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় ব্যান্ডের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়। তবে এ শিল্পীর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
আরো পড়ুন:
৫০ শয্যার থানচি হাসপাতাল চলছে একজন চিকিৎসকে
সিজেএফবি পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা
রাস্টফ ব্যান্ডের ফেসবুক পেজে দীপের মৃত্যুর খবর জানিয়ে লেখা হয়, “এমন এক বেদনাদায়ক মুহূর্তে সঠিক শব্দ খুঁজে পাওয়া বা কোনো শব্দ খুঁজে পাওয়া—প্রায় অসম্ভব। প্রিয় ভোকালিস্ট, বন্ধু ও সহযাত্রী আহারার ‘দীপ’ মাসুদের মৃত্যুসংবাদ আমাদের স্তম্ভিত করেছে। আমরা শোকে ভেঙে পড়েছি, এখনো অবিশ্বাসের ভেতর ডুবে আছি। গত রাতেই তিনি আমাদের ছেড়ে চিরবিদায় নিয়েছেন।”
দীপের শূন্যতা ব্যাখ্যা করে লেখা হয়, “তার পরিবার, বন্ধু ও প্রিয়জনদের প্রতি আমাদের অন্তরের সমবেদনা ও প্রার্থনা। আপনাদের মতো আমরাও এই অপূরণীয় ক্ষতি বোঝার চেষ্টা করছি, চেষ্টা করছি দীপের অসাধারণ প্রতিভাকে সম্মান জানাতে এবং তার চেয়েও বড় কথা—মানুষ হিসেবে তিনি আমাদের কাছে যে অমূল্য ছিলেন, তাকে স্মরণ করতে। এই কঠিন সময়ে সবার কাছে অনুরোধ, দয়া করে পরিবার ও কাছের মানুষদের ব্যক্তিগত পরিসরকে সম্মান করুন এবং তার আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করুন। শান্তিতে ঘুমাও, দীপ। তোমার শূন্যতা চিরকাল বেদনাময় হয়ে থাকবে।”
তরুণদের কাছে জনপ্রিয় আরেকটি ব্যান্ড পাওয়ারসার্চও দীপের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে। ব্যান্ডের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে লেখা হয়েছে, “স্মরণ করছি আহরার মাসুদ দীপকে। কিছুক্ষণ আগে আমরা হারিয়েছি আমাদের প্রিয় ভাই, ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং এক সত্যিকারের শিল্পীকে। এক্লিপস, কার্ল, ক্যালিপসো ও সবশেষ রাস্টফ ব্যান্ডের অবিস্মরণীয় কণ্ঠ আহরার মাসুদ দীপ আমাদের মাঝে আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।”
পাওয়ারসার্চ আরো লেখেন, “আহরার মাসুদ দীপ শুধু একজন ভোকালিস্টই ছিলেন না, তিনি ছিলেন শক্তি, সৃজনশীলতা আর আবেগের প্রতীক, যিনি তার চারপাশের সবাইকে অনুপ্রাণিত করেছেন; একই সাথে তার অত্যন্ত নমনীয় ব্যবহার, যা সবাইকে তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষীই করে ফেলত! শান্তিতে থাকো ভাই, তুমি সব সময় আমাদের গল্পের অংশ হয়ে থাকবে।”
ঢাকা/শান্ত