গোপালগঞ্জে ‘সমন্বয়ক’ আখ্যা দিয়ে হামলা, আহত ৮
Published: 31st, January 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আখ্যা দিয়ে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের মেসে ঢুকে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় অন্তত ৮ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে শহরের নতুন স্কুল রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষার্থীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লাইড ক্যামেস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (এসিসিই) বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের সেলিম রেজা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মুয়াজ বিল্লাহ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ইমরান, কৃষি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষা বর্ষের তাহমিদ, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ইয়াজদানী, আসাদুল্লাহ ও খালিদ। আহত একজনের নাম জানা যায়নি।
আহত শিক্ষার্থীরা জানান, শহরের নতুন স্কুল রোড এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে মেস করে থাকেন তারা। গত রাতে একদল দুর্বৃত্ত সমন্বয়ক আখ্যা দিয়ে মেসে ঢুকে হামলা চালিয়েছে। এতে আট শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে, গুরুতর পাঁচ জনকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
গোপালগঞ্জে সমন্বয়কদের ওপর হামলা, তদন্ত কমিটি পুনর্গঠন
ধামরাইয়ে মাজার ভাঙচুরের ঘটনা পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ
আহত শিক্ষার্থী ইয়াজদানী আলী বলেন, ‘‘গত রাতে মেসে প্রবেশের সময় একদল দুর্বৃত্ত পথ আটকিয়ে আমাদের পরিচয় জানতে চায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জানালে ‘তোরা সমন্বয়ক’ আখ্যা দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে হামলা চালানো হয়। পরে সেখান থেকে পালিয়ে মেসে ঢুকলে তারাও মেসে প্রবেশ করে পুনরায় হামলা চালায়।’’
এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান বলেন, ‘‘হামলার ঘটনায় সেলিম রেজা নামের এক ছাত্র মামলা করেছেন। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’’
ঢাকা/বাদল/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহত গ প লগঞ জ সমন বয়ক
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিপণ দিয়েও পাঁচ মাস ধরে ১৪ তরুণের খোঁজ পাচ্ছেন না স্বজনেরা
অবৈধ পথে ইতালির উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ১৪ তরুণ। কিন্তু দুবাই হয়ে লিবিয়ায় পৌঁছানোর পর পাঁচ মাস ধরে তাঁদের আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। স্বজনদের দাবি, দালালের প্রলোভনে পড়ে জনপ্রতি ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণও দিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু সন্ধান না পাওয়ায় চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা।
ইউরোপের কোনো দেশে গেলে সচ্ছলতা আসবে, এমন ধারণা নিয়ে প্রতিবছর মাদারীপুর থেকে শত শত তরুণ সেখানে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছেন। তবে অবৈধ পথে ইউরোপ যেতে গিয়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। কেউবা দালালের খপ্পরে পড়ে নির্যাতনের শিকার হয়ে কাটাচ্ছেন বন্দিজীবন। জেলা প্রশাসন ও পুলিশের তথ্য বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত জেলার ৪৫ জন লিবিয়া হয়ে ইতালি যাওয়ার পথে মারা গেছেন। ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে নির্যাতনের শিকার হয়ে লিবিয়া থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসতে পেরেছেন অন্তত ৩৫০ তরুণ। নিখোঁজ আছেন তিন শতাধিক।
সবশেষ নিখোঁজ তরুণদের সবার বাড়ি রাজৈরের বাজিতপুর ইউনিয়নে। তাঁরা হলেন পাখুল্লা গ্রামের জাহাঙ্গীর ব্যাপারীর ছেলে সালমান ব্যাপারী, চৌরাশী গ্রামের মোসলেম শিকদারের ছেলে বাবুল শিকদার, একই গ্রামের মজিবর বয়াতীর ছেলে সাজ্জাদ বয়াতী, জাকির মাতুব্বরের ছেলে বাদল মাতুব্বর, কানাই রায়ের ছেলে লিটন রায়, নিরঞ্জন বাড়ৈর ছেলে বাঁধন বাড়ৈ, কিসমদ্দি বাজিতপুর গ্রামের আলম চৌকিদারের ছেলে ইমন চৌকিদার, অহিদুল মাতুব্বরের ছেলে নয়ন মাতুব্বর, আজিজ খালাসির ছেলে খলিল খালাসি, সোনা মিয়া চৌকিদারের ছেলে সোহেল চৌকিদার, নয়াকান্দি বাজিতপুর গ্রামের গৌরাঙ্গ বাড়ৈর ছেলে গৌতম বাড়ৈ, একই গ্রামের সামচু সরদারের ছেলে ইমরান সরদার, শ্রীনাথদী বাজিতপুরের জলিল বয়াতীর ছেলে আল আমিন বয়াতি ও শ্রীনদী গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান ঘরামির ছেলে আলী ঘরামি। তাঁদের সবার বয়স ১৮ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে।
স্বজনদের অভিযোগ, মানব পাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য বাজিতপুর এলাকার বাবুল হাওলাদার ইতালি নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রত্যেক পরিবারের কাছ থেকে প্রথমে ১৬ লাখ টাকা করে নেন। পরে লিবিয়ায় বন্দী করে আদায় করেন আরও ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা। এর পর থেকে ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছেন অভিযুক্ত বাবুল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
মাদারীপুরের ১৪ তরুণ ইতালি যেতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে দালালের হাত ধরে ঘর ছাড়েন। নিখোঁজ তরুণদের সন্ধানে তাদের ছবি হাতে স্বজনেরা