ময়মনসিংহের গৌরীপুরে কলেজছাত্রী মারুফা হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে র্যাব। এ ঘটনায় শনিবার রাতে কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে আসামি মেহেদী হাসান সিনু ওরফে গোলাম মেহেদীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর ভাড়া বাসায় তল্লাশি চালিয়ে পুলিশের পোশাক, র্যাঙ্ক ব্যাচ, বুট, রেইনকোট, নেমপ্লেটসহ ১৭টি জিনিস উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে মেহেদী হাসান জানায় নিহত মারুফা (২৯) নেত্রকোনা সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী ছিলেন। নেত্রকোনা সরকারি কলেজে পড়াশোনা করার সময় মেহেদীর সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মেহেদী বিবাহিত হলেও মারুফার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে যান। গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর মারুফা তাঁর পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে মেহেদীর সঙ্গে ময়মনসিংহের ভাড়া বাসায় চলে আসেন এবং মেহেদীকে বিয়ের জন্য চাপ দেন। পরে ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে মারুফাকে গৌরীপুরের ফতেপুর গ্রামের একটি বাগানে নিয়ে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করে।
স্থানীয়রা লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে গৌরীপুর থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করলেও আঙুলের ছাপের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে লাশটি আঞ্জুমানের মাধ্যমে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে গৌরীপুর থানায় একটি মামলা করা হয়। দীর্ঘ তদন্তের পর সিপিএসসি টিম মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করে এবং মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব-১৪ এর সিইও অতিরিক্ত ডিআইজি নয়মুল হাসান জানান, হত্যা মামলার একমাত্র আসামিকে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ময়মনস হ
এছাড়াও পড়ুন:
টঙ্গীতে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, সাউন্ড নিক্ষেপ
গাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। এ ঘটনায় শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও গরম পানি নিক্ষেপ করেছে।
বুধবার সকাল ৯টার থেকে গাজীপুরা এলাকার সৃজন্স ড্রেসেস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ শুরু করেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কারখানার কয়েক'শ শ্রমিক বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে শিল্প পুলিশ-২ এবং টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ কয়েক দফা চেষ্টা করেও শ্রমিকদের সরাতে ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দুই রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এবং গরম পানি ছিটিয়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে।
বিক্ষোভরত শ্রমিক শিল্পি আক্তার বলেন, ঈদের আগে আমাদের অর্ধেক বেতন আর অর্ধেক বোনাস দিয়ে কারখানা ছুটি দেয়। বলা হয়েছিল, ঈদের পরেই বাকী টাকা পরিশোধ হবে। কিন্তু এখনও কিছুই পাইনি। বাড়িওয়ালা তো আশ্বাসে ভাড়া নেয় না, দোকানও বাকির টাকা চায়। সরকার যদি আমাদের পাশে না দাঁড়ায়, আমরা কোথায় যাবো?
আরেক শ্রমিক রহমত বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বসে ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ আমাদের ওপর গরম পানি ছুড়ে দেওয়া হলো। এভাবে কি শ্রমিকের ন্যায্য দাবি দমন করা যায়?
শ্রমিকদের দাবি, কারখানার মালিক পক্ষ গত ২০ এপ্রিল কিছু বোনাস পরিশোধ করলেও ২৮ এপ্রিলের মধ্যে পুরো বেতন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রাখেনি। এতে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ–২ এর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।