বোন বিচার চাওয়ায় ভাগনেকে শাসন, মামা খুন
Published: 6th, February 2025 GMT
বোন বিচার চাওয়ায় ভাগনেকে শাসন করেন মামা কাঞ্চন মিয়া। এ ক্ষোভে মাথায় আঘাত করে ভাগনে মাজহারুল ইসলাম মামা কাঞ্চন মিয়াকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার কেন্দুয়া উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের পোড়াবাড়ী গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
অভিযোগ রয়েছে, পোড়াবাড়ী গ্রামের মাজহারুল ইসলাম পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে নিয়ে মা মাজেদা বেগমকে মারধর করতেন। এতে অতিষ্ঠ হয়ে মাজেদা বেগম মঙ্গলবার সকালে তাঁর ভাই একই গ্রামের কাঞ্চন মিয়ার কাছে ছেলে ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিচার প্রার্থী হন। একই দিন দুপুরে মাজহারুলের বাড়িতে গিয়ে ভাগনেকে শাসন করেন মামা কাঞ্চন মিয়া। এরপর সেখান থেকে ফেরার পথে ভাগনে মাজহারুল পেছন থেকে মামা কাঞ্চন মিয়াকে লাঠি দিয়ে মাথায় কয়েকটি আঘাত করেন। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন কাঞ্চন মিয়া। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কিন্তু অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে মঙ্গলবার রাতে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
বুধবার কেন্দুয়া থানার উপপরিদর্শন (এসআই) মোশারফ হোসেন জানান, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ মর্গে কাঞ্চন মিয়ার লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে। লাশ বাড়িতে নিয়ে আসার পর দাফন হবে। এখনও মামলা হয়নি।
ঘটনার পর থেকে ভাগনে মাজহারুল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা পলাতক।
নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সারোয়ার জাহান কাউসার বলেন, ‘শুনেছি পারিবারিক কলহের জের ধরে ছেলের হাতে মাকে মারধরের ঘটনায় মামা তাঁর ভাগনেকে শাসন করেন। এরপর ভাগনের হাতে খুন হন মামা।’
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে ভাগনের হাতে মামা খুন হয়েছে। তবে এখনও লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলেই মামলা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কালিয়াকৈরে এক মাসে ২০ ডাকাত গ্রেপ্তার
গাজীপুরে ডাকাত ও ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। প্রায়ই রাতে বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক ও মহাসড়কে ডাকাতের কবলে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। এসকল ডাকাত সদস্যদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গত এক মাসে কালিয়াকৈর থানা ও মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ি অভিযান চালিয়ে ২০ জন ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। একইসঙ্গে ছয়টি পিকআপও জব্দ করেছে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সুমন হোসেন ও সোহাগ নামে দুজন ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করে মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ি। এসময় তাদের দখলে থাকা একটি পিকআপ জব্দ করা হয়। পরে গ্রেপ্তারকৃতদের ডাকাতি মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এরআগে, গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের তিন গ্রেপ্তার করা হয়। উপজেলার মৌচাক ফকিরবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকমাস ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতের উপদ্রব বেড়েছে। বিশেষ করে কালিয়াকৈর-মাওনা আঞ্চলিক সড়ক ও ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে তাদের উৎপাত বেশি।
সড়কে পুলিশ টহল থাকলেও ডাকাত সদস্যরা বিভিন্ন ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে থাকে এরপর সুযোগ বুঝে ডাকাতি করে। এছাড়াও মাওনা কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি করে তারা। পুলিশ এরপর থেকেই বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করে।
মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) আব্দুস সেলিম বলেন, “ডাকাতের উপদ্রব বেড়েছে। তবে আমরা ডাকাতদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। গত ১ মাসে আমাদের পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ১৫ জন ডাকাত সদস্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং পাঁচটি পিকআপ জব্দ করা হয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান বলেন, “রাতে আমাদের টহল পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। আমরা গত এক মাসে ২০ জন ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছি। গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে বিভিন্ন তথ্য মিলেছে। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
ঢাকা/রেজাউল/এস