বোন বিচার চাওয়ায় ভাগনেকে শাসন করেন মামা কাঞ্চন মিয়া। এ ক্ষোভে মাথায় আঘাত করে ভাগনে মাজহারুল ইসলাম মামা কাঞ্চন মিয়াকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার কেন্দুয়া উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের পোড়াবাড়ী গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

অভিযোগ রয়েছে, পোড়াবাড়ী গ্রামের মাজহারুল ইসলাম পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে নিয়ে মা মাজেদা বেগমকে মারধর করতেন। এতে অতিষ্ঠ হয়ে মাজেদা বেগম মঙ্গলবার সকালে তাঁর ভাই একই গ্রামের কাঞ্চন মিয়ার কাছে ছেলে ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিচার প্রার্থী হন। একই দিন দুপুরে মাজহারুলের বাড়িতে গিয়ে ভাগনেকে শাসন করেন মামা কাঞ্চন মিয়া। এরপর সেখান থেকে ফেরার পথে ভাগনে মাজহারুল পেছন থেকে মামা কাঞ্চন মিয়াকে লাঠি দিয়ে মাথায় কয়েকটি আঘাত করেন। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন কাঞ্চন মিয়া। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কিন্তু অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে মঙ্গলবার রাতে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

বুধবার কেন্দুয়া থানার উপপরিদর্শন (এসআই) মোশারফ হোসেন জানান, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ মর্গে কাঞ্চন মিয়ার লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে। লাশ বাড়িতে নিয়ে আসার পর দাফন হবে। এখনও মামলা হয়নি। 

ঘটনার পর থেকে ভাগনে মাজহারুল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা পলাতক। 

নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সারোয়ার জাহান কাউসার বলেন, ‘শুনেছি পারিবারিক কলহের জের ধরে ছেলের হাতে মাকে মারধরের ঘটনায় মামা তাঁর ভাগনেকে শাসন করেন। এরপর ভাগনের হাতে খুন হন মামা।’

কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে ভাগনের হাতে মামা খুন হয়েছে। তবে এখনও লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলেই মামলা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

দিনে ঢাকায় মিছিল, রাতে বাড়িতে ফিরতেই নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ৩ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

রাজধানীর উত্তরায় নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ময়মনসিংহ জেলা শাখার ব্যানারে মিছিলে অংশ নেওয়ার পর রাতে বাড়িতে ফিরতেই তিন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি নূর হামীম রুশো (২০), ছাত্রলীগ কর্মী আলিফ জাহান ওরফে পার্থ (২০), মো. মারুফ মিয়া (২৫)। তাঁরা সবাই ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের বাসিন্দা।

আজ শনিবার বিকেলে গ্রেপ্তার তিনজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে গতকাল শুক্রবার সকালে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের ব্যানারে ঢাকায় মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, বিশেষ অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগের তিন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা রাজধানীর উত্তরার মিছিলে অংশ নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। তাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাহিদুল ও মজিদের সেঞ্চুরি, ৮ রানের জন্য পাননি মুমিনুল
  • মাহিদুল-মজিদের সেঞ্চুরির দিনে মুমিনুলের ৮ রানের আক্ষেপ
  • দেশজুড়ে বৃষ্টি ও তাপমাত্রা কমার পূর্বাভাস
  • দিনে ঢাকায় মিছিল, রাতে বাড়িতে ফিরতেই নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ৩ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
  • জুলাই সনদ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে: মামুনুল হক
  • এনসিএল: তিন সেঞ্চুরি ও মিরপুরে উইকেটের মিছিল
  • রংপুরকে পেয়েই আবার নাঈমের সেঞ্চুরি, সেঞ্চুরি মাহফিজুল ও সাদিকুরেরও
  • রাতে বাড়িতে পুলিশের অভিযান, ভোরে ধানখেতে পাওয়া গেল রক্তাক্ত মরদেহ
  • সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে অটোরিকশার ধাক্কা, নিহত ২
  • পূর্বধলায় ট্রাকের পেছনে অটোরিকশার ধাক্কা, নিহত ২