Samakal:
2025-05-01@05:34:47 GMT

ফাইনালে নজর থাকবে যাদের দিকে

Published: 7th, February 2025 GMT

ফাইনালে নজর থাকবে যাদের দিকে

বরিশাল কি পারবে টানা দ্বিতীয় শিরোপা জিততে, নাকি চিটাগাং কিংস ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হবে? ফাইনালের আগে দুই দলের শক্তি-দুর্বলতা নিয়ে চলছে নানান বিশ্লেষণ। ২০ ওভারের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে, আর তাই শিরোপা লড়াইয়ে কিছু ক্রিকেটার থাকবেন বিশেষ নজরে। হোম অব ক্রিকেট থেকে শুরু করে পাড়ার চায়ের দোকান, সবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু বিপিএল ট্রফি। ট্রফি উঠবে বরিশালের লঞ্চে, নাকি চট্টগ্রামের বন্দরে?  

দেড় মাসের টুর্নামেন্টজুড়ে ছিল নানা বিতর্ক, তবে এখন সবার নজর শুধু ফাইনালে। মুখোমুখি লড়াই ও তারকাসমৃদ্ধ স্কোয়াডের দিক থেকে কিছুটা এগিয়ে থাকলেও, বরিশালকে হারানোর জন্য চিটাগাং কিংস দারুণ প্রস্তুত। 

গ্রুপ পর্ব, কোয়ালিফায়ার, সব মিলিয়ে এবার তিনবার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। দুই ম্যাচেই জয় পেয়েছে বরিশাল। আর এই জয়ের পেছনে অন্যতম ভূমিকা ছিল ডেভিড মালানের। বিপিএলে চিটাগাং কিংসের বিপক্ষে দারুণ ফর্মে থাকেন এই ইংলিশ ব্যাটার। ব্যাটিং গড় ৫০-এর ওপরে, ১৫৭.

৫০ স্ট্রাইক রেটে তার রান ৩১৫। ফাইনালে বরিশালকে থামাতে হলে, মালানকে দ্রুত ফেরানো জরুরি চিটাগাংয়ের জন্য।

নতুন সংযোজন হিসেবে দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হতে পারেন জিমি নিশাম। তার অলরাউন্ড পারফরম্যান্স ফাইনালে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। আর প্রথম কোয়ালিফায়ারে দুর্দান্ত পারফর্ম করা পেসার মোহাম্মদ আলীকে সামলানোও কঠিন হবে চিটাগাংয়ের জন্য।

এছাড়াও বরিশালের আরেক শক্তি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বড় ম্যাচে ভালো করার সুনাম আছে বাংলাদেশের অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের। চিটগংয়ের বিপক্ষে তার খেলা সর্বশেষ ম্যাচে ২৬ বলে ৪১ রানে অপরাজিত ছিলেন। ফাইনালে তার কাছ থেকে এমন ইনিংসের আশায় থাকবে বরিশাল। ফাইনালে বরিশালের বাজির ঘোড়া হতে পারেন ক্যারিবিয়ান পেস অলরাউন্ডার কাইল মায়ার্স। ৬ ম্যাচে ৫ ইনিংসে ১৮১.১১ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ১৬৩ রান। বল হাতে ৬ ইনিংসে নিয়েছেন ৫ উইকেট। 

এছাড়াও তুরুপের তাস হতে পারেন তাওহিদ হৃদয়। তামিম ও মালানের পর এবার বিপিএলে বরিশালের হয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। তবে কোয়ালিফায়ারের পারফরম্যান্সের হৃদয় ফাইনালেও টেনে আনলে চিটাগং বিপদে পড়তেই পারে।

কিংসদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারেন শামীম পাটোয়ারি। পুরো বিপিএলে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা এই মিডল অর্ডার ব্যাটার ফাইনালেও রাখতে পারেন বড় ভূমিকা। এবার বিপিএলে সর্বোচ্চ ১০ রান সংগ্রাহকের মধ্যে সেরা স্ট্রাইক রেট শামীম হোসেনের।

বোলিংয়ে বড় ভরসা লঙ্কান পেসার বিনুরা ফার্নান্দো। বরিশালের বিপক্ষে আগের তিন ম্যাচেই তার ইকোনমি রেট ছিল দুর্দান্ত। পুরো টুর্নামেন্টের সবচেয়ে কম খরুচে বোলারদের একজন তিনি। তবে ফাইনালে বিশেষ নজর থাকবে খালেদ আহমেদের দিকেও। এবারের বিপিএলে ক্যারিয়ারের সেরা পারফরম্যান্স উপহার দিচ্ছেন তিনি। ফাইনালে পাঁচ উইকেট পেলেই ছুঁয়ে ফেলবেন তাসকিন আহমেদের রেকর্ড। ১৩ ইনিংসে ২০ উইকেট নেওয়া খালেদের ইকোনমি ৮.৫৮।

তবে দুশ্চিন্তার খবর হলো, চিটাগাংকে ফাইনালে তোলার অন্যতম নায়ক আলিস আল ইসলামের খেলা এখনো অনিশ্চিত। তার অনুপস্থিতি চিটাগাংয়ের জন্য বড় ধাক্কা হতে পারে। চিটাগং কিংসের এই স্পিনার এবার বিপিএলে তার দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি।  ১৩ ইনিংসে ৬.৩২ ইকোনমি রেটে ১৫ উইকেট নিয়েছেন আলিস।

বরিশালের ব্যাটিং লাইনআপ তুলনামূলক শক্তিশালী হলেও, চিটাগাংয়ের মূল ভরসা তাদের মিডল অর্ডার। ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বশীল পারফরম্যান্সই নির্ধারণ করবে, বিপিএল ট্রফি এবার কার ঘরে যাবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল প রফরম য ন স র ব প এল র জন য উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

তাইজুলকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে অবমূল্যায়িত বোলার’ বললেন তামিম

চট্টগ্রাম টেস্টে আজ প্রথম দিনে জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসে ৬০ রানে ৫ উইকেট পেয়েছেনতাইজুল ইসলাম। টেস্টে এ নিয়ে ১৬তমবার ইনিংসে ৫ উইকেট পেলেন  বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার। প্রথম দিনের খেলা শেষে তাইজুলের প্রশংসা করে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দেন তামিম ইকবাল।

আরও পড়ুনতাইজুলের মনে হয় না তারা খেলা বোঝে১ ঘণ্টা আগে

বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কের পেজে তাইজুলের একটি ছবি পোস্ট করে লেখা হয়, ‘এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে অবমূল্যায়িত (আন্ডাররেটেড) বোলার। এখন খেলা অন্য বোলারদের পরিসংখ্যান দেখুন, তাহলে আমার কথাটা বুঝতে পারবেন। আরেকবার ৫ উইকেট নিয়ে দারুণ খেলেছ তাইজুল।’

২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে টেস্ট ও ডিসেম্বরে ওয়ানডে অভিষেক তাইজুলের। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক ২০১৯ সালে। ওয়ানডে (২০) ও টি-টোয়েন্টির (২) চেয়ে টেস্ট ম্যাচই (৫২) বেশি খেলেন তাইজুল। চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলতি টেস্টে প্রথম দিনের পারফরম্যান্সসহ মোট ৫৩ টেস্টে এ পর্যন্ত ২২৪ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। তাঁর টেস্ট সংস্করণের পারফরম্যান্সটা যাচাই করে দেখা যায়।

এখনো যাঁরা খেলছেন তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট নাথান লায়নের। অস্ট্রেলিয়ার অফ স্পিনারের টেস্ট অভিষেক ২০১১ সালে। তাইজুলের টেস্ট অভিষেকের সময় থেকে লায়নের পারফরম্যান্স—   ১০৩ টেস্টে ২৯.৪৮ গড়ে ৪৪১ উইকেট। মোট ২৪ বার ৫ উইকেট নিলেও তাইজুলের অভিষেকের পর থেকে ১৯ বার ৫ উইকেট নেন লায়ন। তবে অস্ট্রেলিয়া দল বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি টেস্ট খেলায় লায়ন এ সময়ে তাইজুলের চেয়ে অনেক বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন। বোলিং গড় এবং স্ট্রাইকরেটে লায়ন ও তাইজুলের মাঝে ব্যবধান বেশি না। তাইজুলের বোলিং গড় ৩১.৫৬, স্ট্রাইক রেট ৬১.৯, যেখানে লায়নের স্ট্রাইকরেট ৬১.৬ ও গড় ৩০.১৯।

আরও পড়ুনতাইজুলের ভেলকি, শেষ সেশনে গেল ৭ উইকেট২ ঘণ্টা আগে

ভারতের স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন গত বছর ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়েন। টেস্টে তার অভিষেক ২০১১ সালে। তাইজুলের টেস্ট অভিষেক থেকে এই সংস্করণে ৮৫ ম্যাচে ২২.৮৪ গড়ে ৪৩০ উইকেট নেন অশ্বিন। এ সময়ে ২৮ বার পেয়েছেন ৫ উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার মতো ভারতও বেশি বেশি টেস্ট খেলায় স্বাভাবিকভাবেই এ সময়ে তাইজুলের তুলনায় বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন অশ্বিন।

ভারতের আরেক স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজার ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। তাইজুলের অভিষেকের দুই বছর আগে টেস্টে অভিষেক জাদেজার। তাইজুলের অভিষেকের সময় থেকে এ পর্যন্ত ৬৮ টেস্টে ২৭৮ উইকেট নিয়েছেন জাদেজা। তবে তাঁর চেয়ে এ সময়ে বেশি সংখ্যকবার ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। জাদেজা এ সময়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন ১৩ বার, তাইজুল নিয়েছেন ১৬ বার।

তাইজুল ৫ উইকেট নেওয়ার পর তাঁকে জড়িয়ে ধরেন অধিনায়ক নাজমুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মিরাজে দুর্দান্ত জয় বাংলাদেশের
  • আজিজুল হাকিমের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স, কলম্বোয়ও হেসেছে বাংলাদেশ
  • ‘বাজপাখি’ মার্তিনেজের বাজে ফর্ম, আর্জেন্টিনার জন্য কতটা দুশ্চিন্তার
  • সমালোচকরা খেলা বোঝে না!—আক্ষেপ তাইজুলের
  • তাইজুলকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে অবমূল্যায়িত বোলার’ বললেন তামিম
  • বার্সেলোনা ও পিএসজি ছাড়া যে কীর্তি গড়ার সুযোগ নেই এবার আর কারও