বাজারে এলো অন্যকাল’র মাতৃভাষা দিবস সংখ্যা
Published: 9th, February 2025 GMT
বাজারে এসেছে অন্যকাল-এর মাতৃভাষা দিবস সংখ্যা। সাহিত্য প্রকাশনা হিসেবে এটি উদ্বোধন সংখ্যা হলেও আগামীতে নিয়মিত হচ্ছে প্রকাশনাটি। এর মধ্য দিয়ে কয়েক বছর বিরতি দিয়ে আবারও সাহিত্য প্রকাশনার সম্পাদনায় ফিরেছেন মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ।
চার রঙের সুদৃশ্য প্রচ্ছদের এ সংখ্যায় লিখেছেন দেশের বরণ্যে কবি-সাহিত্যিকরা। প্রবন্ধ, নিবন্ধ, গল্প ও কবিতাসহ ব্যতিক্রমী বেশ কিছু লেখা স্থান পেয়েছে সংকলনটিতে।
সংকলনে প্রবন্ধ লিখেছেন রফিউর রাব্বি, দীপঙ্কর দে, শাফিয়া চৌধুরী ও শফিক হাসান। কবিতা ও ছড়া লিখেছেন কবি নুরুল হুদা, শহীদুজ্জামান ফিরোজ, জাফরুল আহসান, ইউসুফ আলী এটম, গোলাম কিবরিয়া পিনু, সাব্বির রেজা, মাহমুদ কামাল, পুলক হাসান, জাকির জাফরান, রহমান মুজিব ও জগলুল হায়দার, রণজিৎ মোদক, হাবিব সিদ্দিকী, দেলোয়ার হোসাইন, হানিফ রুবেল, শারদুল সজল, আফজাল হোসেন পন্টি, নজরুল ইসলাম শান্তু, মোখলেছুর রহমান তোতা, কাজী আনিসুল হক হীরা, সাদ্দাম মোহাম্মদসহ অনেকেই।
সংকলনটিতে ব্যতিক্রমী ‘পাখিভ্রমণ’ লিখেছেন পর্যটন বিষয়ক লেখক গাজী মুনছুর আজিজ, অনুবাদ গল্প লিখেছেন রাকিবুল রকি। সংকলনে আরও রয়েছে গল্প, স্মরণ, মুক্তকলাম ও সোনারগাঁয়ের দারুশিল্পের উপর চমৎকার প্রতিবেদনও।
সংকলনটি অমর একুশে বইমেলার লিটল ম্যাগ চত্ত্বরে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জের সমবায় নিউ মার্কেটের চতুর্থ তলায় মৈত্রী ও পঞ্চমতলায় জেএননিউজটুয়েন্টিফোর কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করা যাবে।
সংকলন প্রসঙ্গে মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ বলেন, সৃষ্টিশীলতার চর্চা এক ধরণের সাধনা। ভাবুক ও সাধকদের কাছেও আমরা সংকলনটিতে নিয়ে যেতে চাই। কারণ মোটা দাগে সব মানুষই ভাবুক ও সাধক। সাহিত্যচর্চায় নিবেদিতরা এক ধরণের ত্যাগের সংগ্রামে ব্রতী।
তিনি আরও বলেন, মাতৃভাষা দিবসে আমরা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সাড়া পেয়েছি। এই অনুপ্রেরণা আমাদের স্বাধীনতা দিবস সংখ্যায় এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে। মাতৃভাষা দিবসে কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকতে পারে। তা আগামী সংখ্যায় কমিয়ে আনার চেষ্টা করবো।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
আরিফুলসহ সিলেট বিএনপির নেতাদের লন্ডন সফর, নানা আলোচনা
গত রোববার হঠাৎ লন্ডন সফরে যান সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এ নিয়ে সিলেটের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানা আলোচনা। শুধু আরিফুল নন, ইতোমধ্যে সিলেটের একাধিক নেতা প্রকাশ্যে বা গোপনে লন্ডন সফর করেন। শোনা যাচ্ছে, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাত করতেই তারা লন্ডন যাচ্ছেন।
সরকার পরিবর্তনের পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তি পেয়ে লন্ডন যান। খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডনে যান উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী। তিনি যুক্তরাজ্যে বসবাসরত সিলেট-৬ আসনের (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। দেশে এসেও নিবার্চনী এলাকায় সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময় করে চলেছেন।
সম্প্রতি লন্ডন থেকে দেশে ফিরে সিলেট-৪ আসনের বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা চালাচ্ছেন মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জমান সেলিম। তিনি তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন বলে জানা যায়।
একই আসনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপি নেতা আব্দুল হাকিম সম্প্রতি লন্ডন সফর করেন। তিনি দেশে ফিরে বিভিন্ন সভা সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন। একই আসনে আরও একাধিক নেতা তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করতে লন্ডন যাচ্ছেন বলে জানা যায়।
সর্বশেষ গত রোববার লন্ডনে যান আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি লন্ডনে যাওয়ার পর সিলেট বিএনপির রাজনীতি বইছে নতুন হওয়া। শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। তার ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, দুটি মিশন নিয়ে গেছেন আরিফুল হক। এর একটি হচ্ছে- সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া, অপরটি হচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি। লন্ডনে গিয়ে তিনি বলেন, 'আমি আপনাদের দেখতে এসেছি। ৪-৫ দিন লন্ডনে থাকবো।'
আরিফুল হক সিটি নির্বাচনে নাকি সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন তা নিয়ে এখন চলছে আলোচনা। তার ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, সার্বিক বিষয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পরামর্শ নিতে তিনি লন্ডনে গেছেন। তার পরামর্শ পাওয়ার পর সিলেটের নির্বাচনী মাঠে নামবেন তিনি।
এদিকে, সোমবার রাতে লন্ডনে আরিফুল হক তার ঘনিষ্ঠ শতাধিক নেতাকর্মীকে নিয়ে একটি রেস্টুরেন্টে বৈঠক করেন। বৈঠকে তিনি বর্তমানে মাঠে থাকা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। কোনো রাজনৈতিক দলের নাম না বললেও নতুন রাজনৈতিক সংগঠনের কথা সরাসরি বলেন। তার বক্তব্য ঘিরে সিলেটে জামায়াত ঘরানার রাজনৈতিক নেতারা স্যোশাল মিডিয়ায় সরব হয়ে উঠেছেন। কেউ কেউ প্রশ্ন করছেন, অন্য পার্টি বলতে সাবেক মেয়র আরিফ কি জামায়াতকে বোঝাতে চেয়েছেন?
ভার্চ্যুয়াল মিডিয়ায় প্রচারিত হওয়া ভিডিওতে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের দু-একটা তুচ্ছ ঘটনাকে কিছু রাজনৈতিক অন্য পার্টি, অন্য প্ল্যাটফরমে যা আপনারা ভালোভাবেই বুঝতেছেন, যারা এখনই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি, বিভিন্ন ইনস্টিটিউশন, বিভিন্ন হাই-অফিসিয়াল পোস্টে তাদের নিজেদের লোক সেটআপ করে ফেলছে। সেখানে আমাদের মানুষগুলো নেই। আমাদের দু-চার জন অ্যাটর্নি জেনারেল, আর দু-চারটা পোস্ট দেখলেই মনে করবেন না সব আমাদের। তারা ভালো করে জানে ভোটে গেলে বিএনপি’র সঙ্গে কোনোভাবেই রিটার্ন করতে পারবে না। কাজেই তারা ওই ম্যাকানিজম শুরু করেছে সেখানে নির্বাচনকে একটু দূরে ঠেলে দিয়ে বিভিন্ন প্রশাসনে তাদের লোকগুলোকে সেটআপ করা।'