Prothomalo:
2025-07-31@07:20:26 GMT

নিরিবিলি পরিবেশ, বিক্রি কম

Published: 9th, February 2025 GMT

ছুটির দুই দিনের পর গতকাল রোববার অমর একুশে বইমেলায় লোকসমাগম ছিল কম। পরিবেশ ছিল বেশ নিরিবিলি। যাঁরা প্রকৃতই বই কিনতে মেলায় যান, তাঁদের জন্য এ রকম পরিবেশ ভালো। স্বস্তির সঙ্গে ঘুরে ঘুরে পছন্দের বই খুঁজে নেওয়া যায়। কিন্তু বই কেনার মতো গ্রন্থানুরাগীর সংখ্যা খুব বেশি নয়। সে কারণে মেলায় লোকসমাগম কম হলে বিক্রিও কমে যায়।

গতকাল সন্ধ্যায় অন্য প্রকাশের প্যাভিলিয়নে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক সিরাজুল কবির চৌধুরী বললেন, তাঁদের স্টলে বিক্রি ভালো। কারণ, হুমায়ূন আহমদসহ জনপ্রিয় লেখকদের বই তাঁদের আছে। কিন্তু অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে লোকসমাগম কম হলে বিক্রিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তিনি বললেন, এবার শুরুর দিন থেকেই মেলায় লোকজনের উপস্থিতি ভালো ছিল। তাঁরা এবারও বেশ কিছু তরুণ লেখকের সৃজনশীল বই এনেছেন। এসব তরুণ তাঁদের নিজস্ব পাঠকশ্রেণি গড়ে তুলতে পেরেছেন।

সন্ধ্যায় কবি ফরিদ কবির ও কথাশিল্পী নাসরীন জাহান ছিলেন অন্যপ্রকাশের প্যাভিলিয়নে। ফরিদ কবির জানালেন, এবার এখান থেকে আসবে তাঁর প্রথম উপন্যাস নীল মাকখির চোখ। নাসরিন জাহান জানালেন, বিদ্যাপ্রকাশ থেকে এসেছে তাঁর গল্পগ্রন্থ বখতিয়ারের বানরগুলি। আর বেঙ্গল বুকস থেকে আসবে উপন্যাস পালকের চিহ্নগুলি। তাঁরা বললেন মেলার নিরাপত্তা যেমন নিশ্চিত করা দরকার, তেমনি সব ধরনের মানুষ যেন নিরাপদে মেলায় আসতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে।

গতকাল মেলায় নতুন বই এসেছে ৯৭টি। উল্লেখযোগ্য বইগুলোর মধ্যে সুবর্ণ এনেছে বিশিষ্ট অভিনয়শিল্পী আবুল হায়াতের জীবনী রবি পথ, প্রথমা এনেছে শিবব্রত বর্মনের উপন্যাস শোধ, সাহিত্য কথা এনেছে ইতিহাসবিষয়ক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা, মূল লেখক নাঈম হক, অনুবাদ নাদিরা মজুমদার। অন্যপ্রকাশ এনেছে আশরাফ কায়সারের কবিতা গাছ নেই ছায়া পড়ে আছে, অনন্যা এনেছে আনজীর লিটনের নির্বাচিত কিশোর গল্প-উপন্যাস, ঐতিহ্য এনেছে নাগিব মাহফুজের কায়রো ট্রিলজি: প্যালেস ওয়াক, প্যালেস অব ডিজায়ার, সুগার স্ট্রিট, অনুবাদ আনোয়ারা হোসেইন মঞ্জু; কথাপ্রকাশ এনেছে সুন্দরবন ও বনজীবী মানুষের জীবনালেখ্য নিয়ে সাদিয়া মাহ্জাবীন ইমামের বনের মানুষ মানুষের বন, পাঞ্জেরী এনেছে তপন বাগচীর উপন্যাস শেষ দৃশ্যের আগে, আগামী এনেছে মুস্তফা মজিদ সম্পাদিত আদিবাসী সংস্কৃতি।

প্রথমার স্টলে গতকাল যেসব বই বেশি চলেছে, তার মধ্যে ছিল বদরুল আলম খানের সোভিয়েত রাশিয়া ভাঙল কেন, বিরূপাক্ষ পালের বাংলাদেশের অর্থ খাত ও নীতি-অনীতির দ্বন্দ্ব, জহির রায়হানের অগ্রন্থিত গল্পগুচ্ছ: যখন যন্ত্রণা, অদ্বৈত মল্লবর্মণ অনূদিত আরভিং স্টোনের উপন্যাস জীবন-তৃষা।

গতকাল মেলার মূলমঞ্চে ছিল ‘মাকিদ হায়দারের কবিতা’ শীর্ষক আলোচনা। আতাহার খানের সভাপতিত্বে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চঞ্চল আশরাফ; আলোচনা করেন আসিফ হায়দার ও শাওন্তী হায়দার।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপন য স গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলে মার্কিন অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর চেষ্টা সিনেটে ব্যর্থ

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক নিন্দার মধ্যে, ইসরায়েলের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি আটকাতে মার্কিন সিনেটে তোলা একটি বিল পাস হতে ব্যর্থ হয়েছে।

ব্যর্থ হলেও, বুধবারের ভোটে দেখা গেছে, মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভেতরে ইসরায়েলের যুদ্ধের বিরোধিতা জোরদার হয়ে উঠেছে। 

আজ বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর প্রচেষ্টায় এবারের ভোটে উল্লেখযোগ্য সংখ্যাক ডেমোক্র্যাট যোগ দিয়েছেন। 

ইসরায়েলের কাছে ২০ হাজার স্বয়ংক্রিয় অ্যাসল্ট রাইফেল বিক্রি বন্ধ করার প্রস্তাবের পক্ষে ২৭ জন ডেমোক্র্যাট ভোট দিয়েছেন, আর ৬৭৫ মিলিয়ন ডলারের বোমার চালান বন্ধ করার পক্ষে ২৪ জন ভোট দিয়েছেন। 

অন্যদিকে, ভোটদারকারী সব রিপাবলিকান সিনেটররা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। 

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রির দুটি চুক্তি আটকে দিতে প্রস্তাবগুলো সিনেটে আনেন ভার্মন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। তিনি প্রগতিশীল ঘরানার স্বতন্ত্র সিনেটর।

ভোটের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে স্যান্ডার্স বলেন, “ওয়াশিংটন ইসরায়েলের ‘বর্ণবাদী সরকার’কে এমন অস্ত্র সরবরাহ করা চালিয়ে যেতে পারে না, যা নিরীহ মানুষদের হত্যা করার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।”

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে একজন ‘জঘন্য মিথ্যাবাদী’ হিসেবে উল্লেখ করে স্যান্ডার্স ‘এক্স’ পোস্টে আরো বলেন, “গাজায় শিশুরা না খেয়ে মারা যাচ্ছে।”

প্রথমবারের মতো স্যান্ডার্সের প্রস্তাবকে সমর্থনকারী আইন প্রণেতাদের মধ্যে, ওয়াশিংটন রাজ্যের সিনেটর প্যাটি মারে বলেছেন, প্রস্তাবগুলো ‘নিখুঁত’ না হলেও, তিনি গাজার নিষ্পাপ শিশুদের অব্যাহত দুর্ভোগকে সমর্থন করতে পারেন না।

মারে এক বিবৃতিতে বলেন, “ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের বন্ধু ও সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও আমি প্রস্তাবের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিচ্ছি এই বার্তা দিতে: নেতানিয়াহু সরকার এই কৌশল চালিয়ে যেতে পারবে না।”

তিনি বলেন, “নেতানিয়াহু ক্ষমতায় থাকার জন্য প্রতিটি পদক্ষেপে এই যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করেছেন। আমরা গাজায় মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ প্রত্যক্ষ করছি- সীমান্তের ওপারে যখন প্রচুর পরিমাণে সাহায্য ও সরবরাহ পড়ে আছে, তখন শিশু এবং পরিবারগুলোর অনাহার বা রোগে মারা যাওয়া উচিত নয়।”

মার্কিন জনগণের মধ্যে গাজা যুদ্ধের বিরোধিতা ক্রমবর্ধমান হওয়ার পাশাপাশি ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন নিয়ে ব্যাপক আকারে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।

মঙ্গলবার প্রকাশিত গ্যালাপের একটি জরিপে দেখা গেছে, ৩২ শতাংশ আমেরিকান বলেছেন, তারা গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান সমর্থন করেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ৪২ শতাংশ আমেরিকান ইসরায়েলের অভিযান সমর্থন করেছিলেন।

গ্যালাপের মতে, পরিচয় প্রকাশ করে মাত্র ৮ শতাংশ ডেমোক্র্যাট বলেছেন যে তারা ইসরায়েলের অভিযানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন, যেখানে ৭১ শতাংশ রিপাবলিকান বলেছেন জানিয়েছেন যে, তারা ইসরায়েলি পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ