দেশে চার দিনব্যাপী ১৭ ইন্টারন্যাশনাল প্লাস্টিক, প্যাকেজিং এবং প্রিন্টিং ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফেয়ার শুরু ১২ ফেব্রুয়ারি। ঢাকার বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি (আইসিসিবি)-তে যা চলবে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন ও হংকংভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইওর্কার ট্রেড অ্যান্ড মার্কেটিং সার্ভিস যৌথভাবে আয়োজন করছে এ মেলাটি। এটি দর্শনার্থীদের জন্য প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পুরানা পল্টনে বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের-বিপিজিএমইএ সভাপতি সামিম আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন। এ সময় অন্যান্য প্লাস্টিক ব্যবসায়ীরা, আয়োজক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। 

বিপিজিএমইএ সভাপতি সামিম আহমেদ জানান, ইন্টারন্যাশনাল প্লাস্টিক ফেয়ারে থাকবে ৮০০টিরও বেশি স্টল, যেখানে ১৮টি দেশ থেকে ৩৯০টিরও বেশি ব্র্যান্ড অংশগ্রহণ করবে। চীন, জার্মানি, ভারত, ইতালি, জাপান, ভিয়েতনাম, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য দেশের কোম্পানিগুলো তাদের পণ্য ও প্রযুক্তি প্রদর্শন করবে এই মেলায়। 

তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের ক্রমবর্ধনশীল প্লাস্টিক ও প্যাকেজিং খাতে দ্রুতই বাড়ছে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান। যেখানে সম্মিলিতভাবে প্রতিনিয়ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বিপিজিএমইর সদস্য প্রতিষ্ঠান। দেশীয় ব্যবসায়ীদের মাঝে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও আধুনিক মেশিনারির ব্যবহার বাড়ানো এই আয়োজনের একটি প্রধান লক্ষ্য। শুধু প্রদর্শনী নয়, এই চার দিন থাকবে প্লাস্টিক খাত নিয়ে আয়োজিত সেমিনার। যেখানে টেকসই উৎপাদন, স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি, রিসাইক্লিং নতুন উদ্ভাবন, বিশ্ব বাজার ও বাংলাদেশের প্লাস্টিক খাত নিয়ে বিশদ ও তথ্যবহুল আলোচনা হবে।’’

সামিম আহমেদ বলেন, ‘‘বাংলাদেশের প্লাস্টিক খাতের অগ্রযাত্রায় আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক ফেয়ারের ব্যাপক অবদান রয়েছে। প্লাস্টিক ফেয়ারের মাধ্যমে প্লাস্টিক পণ্যের পরিচিতি, নতুন প্রযুক্তি সংযোজন ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। বাড়ছে ভোক্তা সাধারণ। প্লাস্টিক পণ্য দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। দেশের উল্লেখযোগ্য সেক্টরের মধ্যে প্লাস্টিক একটি অন্যতম সেক্টর। আমরা প্লাস্টিক সেক্টরের রোডম্যাপ প্রণয়ন করছি। আগামী দিনে প্লাস্টিকের ব্যবহার ৫ কেজি থেকে বেড়ে হবে ৩০ কেজি এবং রপ্তানিও কয়েক গুণ বেড়ে যাবে বলে আমাদের প্রত্যাশা। প্লাস্টিক অ্যাসোসিয়েশন প্লাস্টিক সেক্টরকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করে অগ্রসর হচ্ছে।’’  

তিনি আরো বলেন, ‘‘প্লাস্টিক পণ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত বিভিন্ন দেশসহ সারা ইউরোপ এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশ যেমন চীন, ভারত, নেপালসহ ১২৬টি দেশে রপ্তানি হয়ে আসছে। প্লাস্টিক খাতের প্রবৃদ্ধি ২০ শতাংশ হারে বেড়েছে। বাংলাদেশে প্লাস্টিক শিল্প লিঙ্কেজ শিল্প হিসাবে অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো ইপিবি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন হিসাবে এই পরিসংখ্যান উঠে আসে না।’’

ঢাকা/এনএফ/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ