Samakal:
2025-06-16@08:45:44 GMT

সৌন্দর্য বাড়াতে গাছে কোপ!

Published: 10th, February 2025 GMT

সৌন্দর্য বাড়াতে গাছে কোপ!

বগুড়া জিলা স্কুলের অর্ধশত বছরের ১৮টি গাছ কেটে দৃষ্টিনন্দন ফটক নির্মাণ করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে এ কাজ হচ্ছে বলা হলেও একসঙ্গে এতগুলো গাছ কাটায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে অভিভাবক, পরিবেশবিদসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।
আক্ষেপ করে পরিবেশবাদী সংগঠন বাপার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান বলেন, সৌন্দর্যের ধারণার সঙ্গে জড়িয়ে আছে প্রকৃতি। সৌন্দর্যবর্ধনের উদ্যোগে প্রকৃতিই থাকে সবচেয়ে বেশি অবহেলিত। সৌন্দর্যের দোহাই দিয়ে পাখির আবাসস্থল গাছ কাটার যুক্তি বোধগম্য নয়। এ ছাড়া যেখানে আমরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের গাছ লাগাতে উদ্বুদ্ধ করি, সেখানে এ ধরনের উদ্যোগ তাদের মনে বিরূপ প্রভাব পড়বে। এসব কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গাছ না কাটাই ভালো।
জানা গেছে, অর্ধশত বছর আগে জিলা স্কুলের প্রবেশমুখে ও মাঠের চারপাশে মেহগনি, মিনজিরি, প্লাম্প ট্রি, বকুল, লম্বু ও দেবদারু গাছ লাগানো হয়। গাছগুলো স্কুলের সৌন্দর্য বাড়িয়েছিল। গাছের নিচে বিশ্রামের জন্য পাকা বেদি করা হয়েছিল। শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা শেষে সেখানে বিশ্রাম নিত। হঠাৎ করেই গতকাল সোমবার ১৮টি গাছ কাটা হয়। কাটা গাছ দেখে অভিভাবক ও শিক্ষার্থী হতভম্ব হয়ে যান। 
গত ১২ ডিসেম্বর জিলা স্কুলের সভাপতি জেলা প্রশাসক হোসনে আফরোজের সভাপতিত্বে এক সভায় গাছগুলো কাটার জন্য সিদ্ধান্ত হয়। ২৯ জানুয়ারি গাছগুলো বিক্রির জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। চার সদস্যের কমিটি দরপত্র যাচাই শেষে শহরের কালীতলা হাটের কাঠ ব্যবসায়ী তোফায়েল আহম্মেদকে কার্যাদেশ দেয়। কমিটিতে বন বিভাগের একজন কর্মকর্তাও ছিলেন। ১৮টি গাছ ৩০ হাজার ৭৭২ টাকায় বিক্রি করা হয়। বন বিভাগের কর্মকর্তার উপস্থিতিতে এ ধরনের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। 
সূত্রাপুর এলাকার নাসিমা আক্তারের ছেলে বগুড়া জিলা স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। সে যখন শ্রেণিকক্ষে থাকে, তখন তিনি গাছের নিচে থাকা পাকা বেদিতে বসে বিশ্রাম নেন। তাঁর মতো শতাধিক অভিভাবক এখানে বসে বিশ্রাম নেন। পাঠ বিরতির সময় বাচ্চারাও মাছে খেলাধুলা শেষে জিরিয়ে নেয়। এভাবে গাছ কেটে ফেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শিশু ও অভিভাবকরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন, গাছগুলোতে অনেক পাখির বসবাস ছিল। দেখতেও ভালো লাগত। ফটকের অবস্থান অনুযায়ী সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য দুই-তিনটি কাটলেই হতো। একসঙ্গে অর্ধশত বছরের পুরোনো ১৮টি গাছ কাটা হলো। গত বছরও ভবন নির্মাণের জন্য ৫৫টি গাছ কাটা হয়, যা দুঃখজনক।
শিক্ষার্থী অমিত হাসান জানায়, খেলাধুলা শেষে তারা গাছের নিচে বসে বিশ্রাম নিত। গাছগুলো কাটায় আর বিশ্রাম নেওয়া যাবে না।
জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) ডানিয়েল তাহের বলেন, শিক্ষা প্রকৌশলের মাধ্যমে ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এ টাকায় দৃষ্টিনন্দন ফটক নির্মাণ করা হবে। এর জন্য গাছগুলো কাটতে হচ্ছে। বন বিভাগের অনুমতিও নেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক ও স্কুল কমিটির সভাপতি হোসনে আফরোজ বলেন, স্কুলের ফটক নির্মাণের জন্য নিয়ম মেনে ১৮টি গাছ কাটা হচ্ছে।
সামাজিক বন বিভাগ বগুড়ার উপ-বন সংরক্ষক মতলুবর রহমান বলেন, গাছ রক্ষা করে ফটক নির্মাণ করতে পারলে ভালো হতো। উন্নয়নের স্বার্থে গাছগুলো কাটতে হয়েছে। দুই-তিনটি গাছ কেটে ফটক নির্মাণ করা যেত– অভিভাবকদের এ মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বন ব ভ গ স ন দর য র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

জামের সঙ্গে খাবেন না যেসব খাবার

বাজারে এখন জাম পাওয়া যাচ্ছে । মিষ্টি ও রসালো স্বাদের এই ফলটি  পুষ্টিগুণে ভরপুর। এই ফলের নানা উপাদান রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে । এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফাইবার রয়েছে, পেট পরিষ্কার করে এবং পরিপাকতন্ত্রকে শক্তিশালী করে । জাম রক্ত ​​পরিষ্কার করে এবং মুখে উজ্জ্বলতা আনে । এতে থাকা ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এত গুণ থাকা সত্ত্বেও এই ফল খাওয়ার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কিছু খাবার আছে যা দিয়ে জাম খাওয়া ঠিক নয়। যেমন-

মিষ্টি: আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে,জাম খাওয়ার পরপরই ভুল করেও মিষ্টি খাওয়া উচিত নয় । এই দুই খাবারের মধ্যে কমপক্ষে আধ ঘণ্টার ব্যবধান থাকা উচিত । তা না হলে হজমজনিত সমস্যা হতে পারে ।

পানি: অন্যান্য রসালো ফলের মতো, জাম খাওয়ার পর পরই পানি পান করা ঠিক নয় । এতে হজম প্রক্রিয়া খারাপ হতে পারে । যার ফলে পেট ফাঁপা, গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

আচার: জাম টক-মিষ্টি স্বাদের একটি ফল । আর আচার প্রায় সম্পূর্ণ টক । তাই, জাম এবং আচার কখনই একসঙ্গে খাওয়া উচিত নয় । দুটি একসঙ্গে খেলে বুক জ্বালাপোড়া, গ্যাস, অ্যাসিডিটি এবং বদহজমের মতো সমস্যা হতে পারে ।

দুধ: জাম খাওয়ার আগে বা পরে কখনই দুধ খাওয়া ঠিক নয়। উভয়েরই ঠান্ডা প্রভাব রয়েছে । এ কারণে দুটি খাবার একসঙ্গে খাওয়ার ফলে বদহজম, গ্যাস, অ্যাসিডিটি হতে পারে । যদি আপনি দুটি খাবারই খেতে চান তাহলে কমপক্ষে আধ ঘণ্টার ব্যবধান রাখা উচিত। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দুই বাংলাকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: জয়া আহসান
  • জামের সঙ্গে খাবেন না যেসব খাবার
  • তদন্ত প্রতিবেদন দিতে এক মাস সময় বাড়ালেন ট্রাইব্যুনাল
  • কেন এবার একসঙ্গে পেকে যাচ্ছে ক্ষিরশাপাতি, আম্রপালি, ল্যাংড়া
  • শরীরের পাঁচ থেকে সাতটি অঙ্গ একসঙ্গে ব্যথা হয় যে কারণে
  • বাবাকে একটি সুন্দর দিন উপহার দিতে যা যা করতে পারেন
  • ফেনীতে একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দিলেন গৃহবধূ 
  • এবার বাগ্‌দানের কথা নিজেই জানালেন ডুয়া
  • দেশের ক্রিকেট নিয়ে সাকিবের সঙ্গে যে আলোচনা হয়েছে মিরাজের
  • নিজের সিনেমা দেখারও টিকিট পাননি জয়া আহসান