সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

 

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির বলেছেন, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ অনেকে জড়িত রয়েছে। তাদের নির্দেশে ১৩ বছর তদন্ত বাধাগ্রস্ত হয়েছে। আশা করি, খুব শীঘ্রই হাইকোর্টের নির্দেশনার আলোকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন শিশির মনির।

অ্যাডভোকেট শিশির মনির বলেন, গত ১৩ বছরে রাষ্ট্রীয় উচ্চপর্যায়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এ মামলার কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। এ রিপোর্ট আগামী এপ্রিলের মধ্যে জমা দিতে।

শিশির মনির বলেন, ১৩ বছরে অনেক সাক্ষ্যপ্রমাণ হারিয়ে গেছে। তারপরও আমরা আশা করি, দ্রুত সময়ে তদন্ত কর্মকর্তারা রিপোর্ট দেবেন। এত বছর তদন্তে যারা বাধাগ্রস্ত করেছিল, র‌্যাবের হাতে যারা তদন্তের দায়িত্ব দিয়ে মামলা আলামত ও বিচারকে আটকে রেখেছিল, তাদের সবাইকে খুঁজে বের করা হবে। বর্তমান তদন্তের নির্দেশনা মোতাবেক বুঝতে পারছি, উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ অনেকে এর সঙ্গে জড়িত ছিল।

শিশির মনির আরও বলেন, তদন্ত কর্মকর্তারা আইনজীবী, পরিবার, সাইন্টিফিক ফরেনসিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। অনেক তথ্য উপাত্ত এসেছে। ফ্যাসিবাদী সরকারের অনেকে জেলে আছে, তারা এ মামলা নিয়ে জবানবন্দি দিয়েছে। অনেক ভিআইপি মুখ খুলছেন। তারা বলেছেন কীভাবে কে কে এ মামলার আলামত নষ্ট ও সময়ক্ষেপণের চেষ্টা করেছে। উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মর্মে আমরা তথ্য পয়েছি। তদন্তের স্বার্থে নাম বলা যাচ্ছে না। তবে প্রতিবেদনে সব কিছুই বের হয়ে আসবে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি। এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়েছে ১১৫ বার। আগামী ২ মার্চ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য রয়েছে।

সাগর-রুনি হত্যার পর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন দ্রুত রহস্য উদঘাটনের এবং খুনিদের বিচারের মুখোমুখি করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রথমে শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ, পরে ডিবি দুই মাস এবং সর্বশেষ ২০১২ সালের এপ্রিল থেকে র‍্যাব প্রায় সাড়ে ১২ বছর তদন্ত করেও রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি। এখনও অজানাই থেকে গেছে, তাদের খুনের কারণ এবং কারা এর সঙ্গে জড়িত।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়। হাইকোর্টের নির্দেশে ২৩ অক্টোবর পিবিআইপ্রধানকে নিয়ে চার সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। ছয় মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করারও নির্দেশ দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এম জি

 

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: শ শ র মন র পর য য় র তদন ত র র তদন ত সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা যেভাবে পড়বেন

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির লিখিত পরীক্ষা ২৮ জুন অনুষ্ঠিত হবে। প্রার্থীদের সুবিধার জন্য লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির পরামর্শ প্রকাশ করা হচ্ছে। আজ পঞ্চম পর্বে থাকছে বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা ১৯৭২ বিষয়ে প্রস্তুতির পরামর্শ। পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী রিয়াজুর রহমান।

বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা ১৯৭২ মূলত আইনজীবীদের পেশাজীবনের অনুসরণীয় বিধিমালা। এ আইন থেকে আইনজীবী তালিকাভুক্তি লিখিত পরীক্ষায় দুটি প্রশ্ন আসবে। উত্তর দিতে হবে একটি। নম্বর থাকবে ১০।

প্রশ্নপত্রের মানবণ্টন দেখেই বোঝা যাচ্ছে আইনটি কেমন হতে পারে। মূলত বার কাউন্সিলের গঠন, আইনজীবী হওয়ার যোগ্যতা এবং একজন আইনজীবী হিসেবে সমাজের প্রতি, মক্কেলের প্রতি, সহকর্মীদের প্রতি যেসব দায়িত্ব পালন করতে হবে, তা এ আইনে বলা হয়েছে। বাস্তবধর্মী ও পেশাজীবনে অতি চর্চিত একটি আইন হলো বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা ১৯৭২। এ আইন থেকে বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনা করলে পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব।

যেমন বার কাউন্সিল কীভাবে গঠিত হয়, বার কাউন্সিলের কার্যবালি কী, সদস্যরা কীভাবে নির্বাচিত হন, কতগুলো কমিটি রয়েছে, কমিটির কাজ কী কী—এগুলো পড়তে হবে। অনেকেই আছে বার কাউন্সিল ও বার অ্যাসোশিয়েশনের মধ্যে পার্থক্য বোঝেন না। এটি ভালো করে রপ্ত করতে হবে। এমন প্রশ্ন হরহামেশা পরীক্ষায় আসে।

এ ছাড়া বার ট্রাইব্যুনালের গঠন ও কার্যাবলি, আইনজীবীদের পেশাগত অসদাচরণের জন্য কী কী ধরনের শাস্তি রয়েছে, বার কাউন্সিল কি আইনজীবীদের বিরুদ্ধে সুয়োমোটো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে—বিষয়গুলো কোনোভাবেই বাদ দেওয়া যাবে না। অনুচ্ছেদ ৩৩, ৩৪, ৩৫, ৩৬, ৩২ এবং বিধি ৪১, ৪১ক ও ৫০–এ এসব বিষয়ে বিস্তারিত বলা আছে। সেগুলো ভালো করে পড়তে হবে। অনুসন্ধান করার ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালের ক্ষমতা, একজন আইনজীবী হিসেবে আরেক আইনজীবীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়েরের পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তর জানতে হবে। এসব বিষয় থেকে নিয়মিত প্রশ্ন আসে।

পেশাগত বিধি অংশে রচনামূলক প্রশ্ন আসতে পারে। যেমন পেশাগত বিধি এবং নীতিমালার আলোকে আদালতের প্রতি, মক্কেলের প্রতিসহ আইনজীবীদের প্রতি ও জনসাধারণের প্রতি একজন আইনজীবীর দায়িত্ব ও কর্তব্য পর্যালোচনা করতে বলা হয়। বর্তমান ঢাকা বারসহ বেশ কয়েকটি বার অ্যাসোশিয়েশনে এডহক কমিটি রয়েছে। এডহক বার কাউন্সিলের গঠন ও ফাংশনস সম্পর্কে প্রশ্ন আসতে পারে। এগুলো ভালো করে পড়তে হবে।

অনেক সময়ে আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরসংক্রান্ত মুসাবিদা করতে দেওয়া হয়। তাই এই মুসাবিদা নিয়মিত অনুশীলন করবেন। মনে রাখবেন, মামলার মুসাবিদা ও আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগের মুসাবিদার ধরন কিন্তু এক নয়। তাই যেকোনো ভালো একটি বই থেকে ফরমেটটি দেখে নেবেন এবং অনুশীলন করবেন। একই সঙ্গে বিগত কয়েক বছরের প্রশ্ন সমাধান করবেন। এ আইন থেকে বিগত বছরের প্রশ্ন রিপিটও হয়।

একটি বিষয় মনে রাখবেন, আইনটি সহজ বলে অবহেলা করার সুযোগ নেই। কারণ, কৃতকার্য হওয়ার জন্য এই ১০ নম্বর অনেক বেশি গুরুত্ব বহন করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা যেভাবে পড়বেন
  • দণ্ডাদেশ বহালের রায়ের বিরুদ্ধে ১০ আসামির আপিল ও লিভ টু আপিল
  • যে ‘ধর্মীয় অনুপ্রেরণায়’ ইরানে এই হামলা চালাল ইসরায়েল
  • দক্ষিণ ভারতের নিষ্পেষিত মুসলিম নারীদের কণ্ঠস্বর