Prothomalo:
2025-09-17@23:38:31 GMT

অর্থবহ সংলাপের বিকল্প নেই

Published: 12th, February 2025 GMT

১৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এর আগে ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে এবং এর পূর্ণাঙ্গ বিবরণও অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে।

এসব সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে। বিশেষজ্ঞরা মতামত দিচ্ছেন, যাতে এর নেতি ও ইতি উভয়ই উঠে এসেছে। সংস্কার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোও অনানুষ্ঠানিক মতামত জানিয়েছে। ১৫ তারিখের জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোকেও ডাকা হবে। বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া সংস্কারের পদক্ষেপগুলো ব্যাখ্যা করবেন প্রধান উপদেষ্টা।

চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানের মূল চেতনাই ছিল স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রবর্তন। সে ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোও মনে করে রাষ্ট্রকাঠামোকে গণতান্ত্রিক রূপ দিতে যেসব বাধা আছে, সেগুলোও দূর করতে হবে। উদাহরণ হিসেবে এখানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার কথা বলা যায়। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের স্বৈরতান্ত্রিক হয়ে ওঠার পেছনেও ছিল জনগণের ভোটাধিকার হরণ। পরপর তিনটি নির্বাচন তারা করেছিল জবরদস্তিভাবে।

এ ছাড়া আমাদের রাষ্ট্রকাঠামোর যেসব মৌলিক সংস্কার প্রয়োজন, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ব্যক্তির একচ্ছত্র ক্ষমতাচর্চা, সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের একাকার হয়ে যাওয়া, বিচার বিভাগের ওপর নির্বাহী বিভাগের হস্তক্ষেপ ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ। কেবল বিগত সরকার নয়, স্বাধীনতার পর থেকে এই একচ্ছত্র ক্ষমতাচর্চা চলে আসছিল।

এই প্রেক্ষাপটে সরকারের সংস্কার প্রস্তাবে সব রাজনৈতিক দলই সমর্থন জানিয়েছে। আবার বিএনপিসহ বেশ কিছু দল বলছে, সংস্কার প্রস্তাব তারা অনেক আগেই দিয়ে রেখেছে, যার সঙ্গে সরকার গঠিত কমিশনের প্রস্তাবের মৌলিক পার্থক্য নেই। একই সঙ্গে তারা এই যুক্তিও দিচ্ছে যে রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার অন্তর্বর্তী সরকার করতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে ন্যূনতম সংস্কার করেই নির্বাচন দেওয়া উচিত।

সবাইকে মনে রাখতে হবে, রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। আর জনগণের রায় নেওয়ার একমাত্র উপায় নির্বাচন। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব হলো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচনের বিষয়ে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি রূপরেখা তৈরি করা। নির্বাচন প্রশ্নে সরকার নিরপেক্ষ থাকবে, সেটাই রাজনৈতিক দল ও নাগরিকদের প্রত্যাশা। সে ক্ষেত্রে সরকারের দায়িত্ব নির্বাচন ও সংস্কার প্রশ্নে অর্থবহ সংলাপের একটা পরিবেশ সৃষ্টি করা।

সরকারের পক্ষ থেকে যে আভাস–ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, তাতে স্পষ্ট যে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করার প্রস্তুতি তাদের আছে। এখন রাজনৈতিক দলগুলোকেই মোটাদাগে কতগুলো বিষয়ে একমত হতে হবে। কোনো দলের এমন অবস্থান নেওয়া ঠিক হবে না, যাতে পুরো উদ্যোগই ভেস্তে যায়।

রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ আছে, অতীতের আলোচনাগুলো এত সংক্ষিপ্ত ছিল যে তারা তাদের মতামত ঠিকভাবে জানাতে পারেনি। আমরা আশা করব, সরকার তাদের সংলাপ উদ্যোগকে এমনভাবে সাজাবে, যাতে সব দল খোলাখুলি তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারে। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দেশবাসী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। নির্বাচনের বিষয়ে সমঝোতা হলে রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে যেসব অস্থিরতা আছে, সেগুলোও ধীরে ধীরে কেটে যাবে আশা করা যায়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সরক র র মত মত ক ষমত

এছাড়াও পড়ুন:

হুংকার দিয়ে জাতীয় নির্বাচন ঠেকান যাবে না: জাহিদ হোসেন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, “আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কোনো শক্তি বা হুংকার দিয়ে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। জনগণ যদি গণতন্ত্রের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়, তবে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে, রাজনৈতিক সংস্কার কার্যকর হবে এবং লুণ্ঠিত রাষ্ট্রীয় সম্পদ ফেরত আসবে।”

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দিনাজপুরের হাকিমপুর (হিলি) উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আরো পড়ুন:

মাঠের জবাব মাঠে দেওয়া হবে: সালাহউদ্দিন 

বাগেরহাটে হরতাল প্রত্যাহার, নির্বাচন অফিস ঘেরাওয়ের ঘোষণা

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ গণতন্ত্রের পক্ষে জেগে উঠলে কোনো শক্তিই নির্বাচনী প্রক্রিয়া ঠেকাতে পারবে না। গণতন্ত্র থাকলে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে, রাষ্ট্রের সম্পদ সুরক্ষিত থাকবে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পাবে।”

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করতে হবে এবং জনগণের আস্থা অর্জন করে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি পরিবর্তন করতে হলে ঐক্যবদ্ধভাবে জনগণের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।”

সভায় উপস্থিত ছিলেন, হাকিমপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফেরদৌস রহমান, সহ-সভাপতি শাহিনুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এসএম রেজা বিপুল প্রমুখ।

নেতাকর্মীরা এ সময় আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে দলীয় কার্যক্রমকে আরো বেগবান করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত সংগঠনকে সক্রিয় করে জনগণের মাঝে বিএনপিকে শক্তিশালীভাবে উপস্থাপনের আহ্বান জানান।

ঢাকা/মোসলেম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
  • জুলাই সনদের বাস্তবায়নে দেরি হলে জনগণ আবারও রাস্তায় নামবে: জামায়াত নেতা রফিকুল
  • বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে ঐকমত্য না হলে গণভোট ছাড়া উপায় নেই: এবি পার্টি
  • রোহিঙ্গা সমস্যায় রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করতে হবে
  • হুংকার দিয়ে জাতীয় নির্বাচন ঠেকান যাবে না: জাহিদ হোসেন
  • মাঠের জবাব মাঠে দেওয়া হবে: সালাহউদ্দিন 
  • জামায়াত কীভাবে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলে: আনিসুল ইসলাম মাহমুদ
  • জুলাই সনদ নিয়ে যেসব বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে
  • ফরিদপুরে সীমানা নিয়ে ডিসির চিঠি, এলাকাবাসীর ৫ দাবি
  • জামায়া‌তের তিন‌ দি‌নের কর্মসূচি ঘোষণা