ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রে ত্রুটি, ৮০টি প্রশ্নের জায়গায় ৭৮টি প্রশ্ন
Published: 12th, February 2025 GMT
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গাণিতিক ও পদার্থবিজ্ঞান অনুষদ এবং ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজিভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ত্রুটি দেখা গেছে। একই সেটের বহুনির্বাচনী অভীক্ষায় (এমসিকিউ) নিয়ম অনুযায়ী মোট ৮০টি প্রশ্ন থাকার কথা থাকলেও এসেছে ৭৮টি প্রশ্ন, আবার কিছু প্রশ্নপত্রে একই প্রশ্নের অপশন দুবার করে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, খুবই অল্পসংখ্যক প্রশ্নপত্রে এমন হয়েছে। এগুলো শনাক্ত করার পর তৎক্ষণাৎ ঠিক করা দেওয়া হয়।
আজ বুধবার ‘এ’ ইউনিটের তৃতীয় শিফটের পরীক্ষা শেষে প্রশ্নপত্রে এমন ত্রুটির কথা জানান পরীক্ষা হলের পরিদর্শক ও পরীক্ষার্থীরা৷ তাঁরা জানান, তৃতীয় শিফটের পরীক্ষায় গ্রিন ও ইয়েলো সেটের প্রশ্নে এমন ত্রুটি হয়েছে৷ গ্রিন সেটের ৮০টি প্রশ্নের জায়গায় ছাপানো হয়েছে ৭৮টি প্রশ্ন। দুটি প্রশ্নের চারটি অপশন থাকলেও কোনো প্রশ্ন সেখানে উল্লেখ ছিল না। একই শিফটের ইয়েলো সেটের একটি প্রশ্নে একই অপশন দুবার পেয়েছেন বলে জানান তাঁরা। এ ছাড়া চতুর্থ শিফটেরও একটি প্রশ্নে একই অপশন দুবার ছিল বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
বরিশাল থেকে আগত তৃতীয় শিফটে পরীক্ষা দেওয়া শিক্ষার্থী মো.
কুষ্টিয়া জেলা থেকে আগত চতুর্থ শিফটে পরীক্ষা দেওয়া সাগর বিশ্বাস নামের এক পরীক্ষার্থী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি সিএসই ভবনে পরীক্ষা দিই। সেখানে প্রশ্নপত্রে একটি প্রশ্নে একই অপশন দুবার ছিল। তাই আমি সেটি এড়িয়ে গেছি।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কলা ও মানবিকী অনুষদের এক শিক্ষক বলেন, ‘তৃতীয় শিফটের পরীক্ষায় গ্রিন সেট প্রশ্নপত্রে দুটি প্রশ্ন ছিল না। পরে আমরা পাশের রুম থেকে ওই দুটি প্রশ্ন নিয়ে এসে বোর্ডে লিখে দিই। এর মধ্যে পরীক্ষার্থীরা ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। প্রশ্নপত্র ত্রুটিপূর্ণ ছিল। কয়েকটি প্রশ্নে অপশন একাধিকবার ছিল। আমাদের কক্ষে প্রশাসন থেকে কোনো নির্দেশনাও আসেনি।’
এ বিষয়ে গাণিতিক ও পদার্থ বিজ্ঞানবিষয়ক অনুষদের ডিন মাহবুব কবির বলেন, ‘এ’ ইউনিটের তৃতীয় শিফটের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে গ্রিন কালার সেটে কয়েকটি রুমে দুটি প্রশ্ন ছিল না। এটা আসলে ছাপার সমস্যা ছিল। পরে বিষয়টি জানতে পেরে আমাদের সহকর্মীরা যত দ্রুত সম্ভব বিষয়টি সমাধান করে দিয়ে আসেন।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অপশন দ ব র পর ক ষ র
এছাড়াও পড়ুন:
কাশবনের হাতছানিতে ব্রহ্মপুত্রের তীরে ভিড়
চারদিকে জেগে ওঠা ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচর। এর মাঝখানে স্বচ্ছ পানির আধার। ওপরে নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ। আর চরজুড়ে শুভ্র কাশফুল। প্রকৃতির দানেই তৈরি হয়েছে এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। বাতাসে দুলতে থাকা কাশফুলের এ সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের মনে দেয় একধরনের প্রশান্তি। তাই প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছেন এখানে।
এ অপার সৌন্দর্যের দেখা মিলবে জামালপুর শহরের ফৌজদারি এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নদের ধারে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষের। সবাই নিজেদের মতো করে ছবি তুলছেন, কেউবা কাশফুল ছিঁড়ে তৈরি করছেন তোড়া।
গত মঙ্গলবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, শহরের মোড় থেকে শুরু করে নদের তীর পর্যন্ত মানুষের ভিড়। ছোট্ট একটি সেতু পার হয়ে সবাই ছুটছেন নদীর ধারে। প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে ফুটেছে কাশফুল। সবুজ লম্বা পাতার বুক থেকে বেরিয়ে আসা শুভ্র কাশফুল কোথাও থোকা থোকা, কোথাও গুচ্ছ আকারে। দূর থেকে মনে হবে, বালুচরে যেন সাদা চাদর বিছানো। হাওয়ায় দুলে ওঠা কাশফুলে মন ভরে যাচ্ছে দর্শনার্থীদের।
চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা। কাশফুলঘেরা সেই পানিতে ডিঙিনৌকা নিয়ে ঘুরছেন দর্শনার্থীরা। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষ কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা সন্তানদের নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছেন।