সিদ্ধিরগঞ্জে ৬নং ওয়ার্ডে আওয়ামী দোসররা এখন বিএনপির কর্মী
Published: 12th, February 2025 GMT
ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনামলে ছিলেন ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কে ছাত্র-জনতা গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড নারায়ণগঞ্জ জেলা বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম মন্ডল ও ওসমানীয় আরেক দোসর মতির সহযোগী আশরাফ উদ্দিনের সক্রিয় কর্মী।
কিন্তু ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর এবার ভোল পাল্টিয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর শ্রমিক দলের আহবায়ক নানা কর্মকাণ্ডে বিতর্কিত এসএম আসলামের হাত ধরে বিএনপির ব্যানারে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার সুযোগ খুঁজছে পুলিশ কনস্টেবল মফিজ হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি মোক্তার হোসেন নামের নাসিক ৬নং ওয়ার্ডের এক আওয়ামী লীগের দোসর।
তার বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলনের সরাসরি বিরোধীতা করাসহ রয়েছে নানা অভিযোগ। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন মাস ছয়েক পূর্ণ হলেও এখনও তাদের দোসরমুক্ত করা যাচ্ছেনা সিদ্ধিরগঞ্জে। এখনও প্রতিটি পাড়া মহল্লায় ওই সকল দোসরদের বিএনপির ব্যানারে দেখা মিলছে।
শুধু তাই নয়, তাদেরকে আগের মতই অনেকটা প্রভাব খাটাতেও দেখা যাচ্ছে। কোন কোন এলাকায় এখনও নিয়মিত চাঁদাবাজি ও নানা অপকর্মের সাথেও জড়িত থাকছেন এসব নব্য বিএনপি নেতারা।
গোদনাইল এসওরোডের তেল ডিপো কেন্দ্রীক বহু নিরীহ মানুষের কাছ থেকে চাঁদাবাজি, মারধর ও এলাকায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শোডাউন করা ছিলো মোক্তারের নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা।
এসব বিষয়ে কেউ প্রতিবাদ করলে তার জীবনে নেমে আসতো প্রলয়। হামলা ও মামলার শিকার হয়ে তাকে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করা হতো। তার হাত থেকে ছাড় পায়নি পুলিশ কনস্টেবল মফিজও। তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
কিন্তু বড় দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, ওসমানদের আমলে সিরাজ মন্ডল ও আশরাফের শেল্টারে মোক্তার এসব অপকর্ম করলেও তাদের পতনেও তিনি রয়ে গেছেন একই রকম।ওসমানদের পতনেও তার জীবনে একচুল পরিমান প্রভাব পড়তে দেখা যায়নি। কোন এক রহস্যজনক কারণে তিনি এখনও এলাকায় বহাল তবিয়তে থেকে তার অপকর্মগুলো চালিয়ে যাচ্ছেন সমানতালে।
সূত্র বলছে, ৫ আগস্টে শেখ হাসিনার সাথে সাথে ওসমানদের পতন হলে তিনি রাতারাতি খোলসপাল্টে চলে যান আসলামের শেল্টারে। বর্তমানে তিনি বিএনপি নেতাদের শেল্টারেই এলাকায় বহাল থেকে আগের মতই অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন বলে সূত্রটির দাবি।
তবে এ বিষয়ে স্থানীয় বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, যারা আসলে মোক্তারের মত ওসমানদের দোসরদের আশ্রয় প্রশ্রয় বা শেল্টার দিচ্ছেন তারা মূলত বিএনপির কেউ না।
তারা বিএনপির নাম ব্যবহার করে মোক্তার দের দিয়ে অপকর্ম করিয়ে এর থেকে একটা ভাগ নিচ্ছেন। আমরা তাদেরকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। খুব শীঘ্রই মোক্তারদের সাথে সাথে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক মামুন মাহমুদ বলেন, 'বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল। এখানে আওয়ামী লীগের যারা এখন বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করছে যারা করাচ্ছে দল তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
আমি বিএনপি নেতাকর্মীদের কাছে অনুরোধ রাখবো নিজ দলের ক্ষতি করবেন না কাউকে দলে অনুপ্রবেশ করিয়ে। ফ্যাসিস্ট দল আওয়ামী লীগের সাথে যদি কারও সম্পর্ক থেকে থাকে তা যদি প্রমাণিত হয় তার সদস্য পদ থাকবে না।'
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ব এনপ ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ ব এনপ র অপকর ম এল ক য় র পতন ওসম ন আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে তিন হাজার নারী-পুরুষ পেলেন বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ
আড়াইহাজার উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে তিন হাজার নারী-পুরুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে।
ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে শুক্রবার সকাল ৭টায় শুরু হয় এ মেডিকেল ক্যাম্প। কর্মসূচির আয়োজন করে ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ফতেপুর ইউনিয়ন শাখা।
এ কর্মসূচিতে বিভিন্ন বয়সের মানুষ সকাল থেকেই সারিবদ্ধভাবে চিকিৎসা নিতে আসেন। চোখ, চর্ম, শিশু, নারী ও সাধারণ রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে রোগ অনুযায়ী দেওয়া হয় প্রয়োজনীয় ওষুধ। আয়োজকদের দাবি, সাড়ে তিন হাজারের মতো মানুষ সেবা নিয়েছেন এই কর্মসূচি থেকে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনের জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যাপক ইলিয়াছ মোল্লা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ডা. আলী আশরাফ খান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আড়াইহাজার উপজেলা দক্ষিণের আমীর মাওলানা হাদিউল ইসলাম, কেন্দ্রীয় ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের এইচআরডি সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ আব্দুল মালেক, উপজেলা বাইতুলমাল সম্পাদক ও তদারককারী প্রফেসর আজিজুল হক প্রমুখ।
কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ফতেপুর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি ও উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মো. রাসেল মাহমুদ।
স্থানীয়ভাবে আয়োজনটি নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ইতিবাচক সাড়া দেখা গেছে। অনেকেই বলেন, এমন উদ্যোগে গ্রামের সাধারণ মানুষ বিনা খরচে চিকিৎসা পেয়ে উপকৃত হচ্ছেন।