সাগর-রুনি হত্যা: নিরাপত্তাকর্মীকে কারা ফটকে জিজ্ঞাসাবাদ
Published: 13th, February 2025 GMT
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলায় তাঁদের ভাড়াবাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন মামলাটির তদন্তে গঠিত টাস্কফোর্সের সদস্যরা।
হুমায়ুন কবিরকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার-২ এর ফটকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, এটিএন বাংলার সাবেক সাংবাদিক জ ই মামুন ও টেলিভিশন চ্যানেলটির চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানের ছোট ভাই মাকসুদুর রহমানকে ওই হত্যাকাণ্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।টাস্কফোর্স সূত্র জানায়, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের পর রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে এ দম্পতির ভাড়াবাড়ির নিরাপত্তাকর্মী হুমায়ুন কবিরকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে মামলাটি তদন্তে গঠিত টাস্কফোর্স সদস্যরা এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে হুমায়ুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করেন। আদালত তাঁকে কাশিমপুর কারাগার-২–এর ফটকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ জিজ্ঞাসাবাদ করা হলো তাঁকে।
এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, এটিএন বাংলার সাবেক সাংবাদিক জ ই (জহিরুল ইসলাম) মামুন ও টেলিভিশন চ্যানেলটির চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানের ছোট ভাই মাকসুদুর রহমানকে ওই হত্যাকাণ্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় এ সাংবাদিক দম্পতি খুন হন। সাগর মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক ছিলেন। আর রুনি ছিলেন এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক।
আরও পড়ুনসাগর-রুনি হত্যার ১৩ বছর: ৬ বছর মামলার কার্যত কোনো তদন্ত হয়নি ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ওই হত্যাকাণ্ডে রুনির ভাই নওশের আলম বাদী হয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেছিলেন। প্রথমে এ মামলা তদন্ত করেছিল শেরেবাংলা নগর থানা–পুলিশ। চার দিন পর মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।
তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ৬২ দিনের মাথায় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টে ব্যর্থতা স্বীকার করে ডিবি। পরে আদালত র্যাবকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। গত বছরের ৪ নভেম্বর র্যাবের হাত থেকে পিবিআই মামলার তদন্তের দায়িত্ব বুঝে নেয়।
গত বছরের ২৩ অক্টোবর সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তে চার সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। টাস্কফোর্সকে এ মামলার তদন্ত ছয় মাসের মধ্যে শেষ করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুনসাগর-রুনি হত্যার বিচার হতেই হবে, না হলে আন্দোলন১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জ জ ঞ স ব দ কর র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
বাগ্যুদ্ধে খেপে রাশিয়ার কাছাকাছি দুটি পারমাণবিক সাবমেরিন পাঠানোর নির্দেশ দিলেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুটি পারমাণবিক সাবমেরিনকে অবস্থান বদলে রাশিয়ার কাছাকাছি মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছেন। সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভের মন্তব্যে চটে গিয়ে এ নির্দেশ দেন তিনি।
গতকাল শুক্রবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট দিয়ে ট্রাম্প জানান, এ সপ্তাহে সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট মেদভেদেভের ‘খুবই উসকানিমূলক মন্তব্যের’ পরিপ্রেক্ষিতে সাবমেরিন দুটির অবস্থান পরিবর্তন করা হচ্ছে।
এর ঠিক এক দিন আগেই মেদভেদেভ সতর্ক করে বলেন, ‘কল্পিত ডেড হ্যান্ড কতটা বিপজ্জনক হতে পারে, সে বিষয়ে ট্রাম্পের সচেতন থাকা উচিত।’ মূলত রাশিয়ার স্নায়ুযুদ্ধকালীন পারমাণবিক অস্ত্রব্যবস্থার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি এ সতর্কবার্তা দেন।
উল্লেখ্য, ‘ডেড হ্যান্ড’ এমন একটি স্বয়ংক্রিয় প্রতিশোধমূলক পারমাণবিক অস্ত্রব্যবস্থা, যা আশির দশকে সোভিয়েত ইউনিয়ন গড়ে তোলে। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল, যদি যুক্তরাষ্ট্র বা কোনো প্রতিপক্ষ প্রথম আঘাতে সোভিয়েত নেতৃত্ব ও কমান্ড-অ্যান্ড-কন্ট্রোল ধ্বংস করে দেয়, তবু যেন রাশিয়ার পক্ষ থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই চূড়ান্ত প্রতিশোধ নেওয়া যায়।
আর মেদভেদেভের এ মন্তব্যেই চটেছেন ট্রাম্প। ট্রুথ সোশ্যালে তিনি লেখেন, ‘দুটি পারমাণবিক সাবমেরিন যথাযথ স্থানে অবস্থান করার নির্দেশ দিয়েছি। বোকামিপূর্ণ ও উত্তেজক ওই সব মন্তব্য এর চেয়েও বেশি কিছু।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও লিখেন, ‘শব্দগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রায়ই অপ্রত্যাশিত পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। আমি আশা করি, এটি এমন ঘটনাগুলোর একটি হবে না।’
আরও পড়ুনইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে পদক্ষেপ নিতে রাশিয়াকে ১০-১২ দিনের সময়সীমা ট্রাম্পের২৯ জুলাই ২০২৫সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় মেদভেদেভের সঙ্গে তুমুল বাগ্যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মেদভেদেভ বর্তমানে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশাসনের অধীন রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
পুতিন ও মেদভেদেভ খুবই ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন মেদভেদেভ। তখন পুতিন ছিলেন রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী। পরে ২০১২ সালে পুতিন প্রেসিডেন্ট পদে ফেরেন। মেদভেদেভ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। তিনি এ পদে ২০১২ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ছিলেন।
আরও পড়ুনট্রাম্পের বক্তব্যে ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের’ ঝুঁকি বাড়ছে২৮ মে ২০২৫ইউক্রেনে চলমান রুশ হামলা নিয়ে নিজের ক্রমবর্ধমান হতাশা জানাতে গিয়ে ট্রাম্প প্রায়ই রাশিয়ার ‘যুদ্ধবাজ নেতা’ মেদভেদভকে নিশানা করছেন। দুই নেতা নিজেদের পারমাণবিক সক্ষমতার প্রতি ইঙ্গিত করে বিভিন্ন মন্তব্য করছেন। একই সঙ্গে দুই দেশের সম্পর্কে উত্তেজনার পারদও ক্রমেই চড়ছে।
আরও পড়ুনপুতিনকে ঘাতক বলতে চাই না, তিনি একজন কঠিন মানুষ: ট্রাম্প১৫ জুলাই ২০২৫