তখনো সিনেমার কিংবদন্তি উত্তমকুমার হয়ে ওঠেননি তিনি। উপেক্ষা, অবহেলা আর বেকারত্বই ছিল সঙ্গী! অভিনয় করার নেশা আর গান—এটাই যেন ছিল তাঁর অবলম্বন। কিন্তু এভাবে তো আর চলে না। চাকরি দরকার। খুঁজতে খুঁজতে পেয়েও গেলেন জীবনের প্রথম চাকরি। পোর্ট কমিশনার্স অফিসের ক্যাশ ডিপার্টমেন্টে। তেমন ব্যস্ততা নেই। প্রতিদিন সময়মতো অফিসে যান আর ছুটি হলে বাড়িতে এসে বিশ্রাম নেন। বাকিটা সময় অভিনয়ের স্বপ্নে বিভোর থাকেন। তেমনই একদিন অফিস থেকে বাড়িতে ফিরে বিশ্রাম নিচ্ছেন। হঠাৎ চোখ ছুটে যায় সদর দরজার দিকে। জ্যাঠাতো বোন অন্নপূর্ণার সঙ্গে একজন মেয়েকে দেখতে পান। মেয়েটা দেখতে সুশ্রী। তার চেয়ে মিষ্টি তাঁর হাসি। মেয়েটিকে দেখে মুগ্ধ হন উত্তমকুমার। একেবারে লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট যাকে বলে।
এরপর অতিবাহিত হলো কয়েকটা দিন। কিন্তু অনেক চেষ্টাচরিত্র করেও মেয়েটার মুখ ভুলতে পারলেন না তিনি। অগত্যা অফিস ছুটি হলে যথাসম্ভব দ্রুত বাড়িতে ফিরে অপেক্ষা করতে শুরু করলেন। আবার যদি মেয়েটা আসে, এই আশা নিয়ে। একদিন সত্যি সত্যি মেয়েটি আবার তাঁদের বাড়িতে এল। অন্নপূর্ণাও সঙ্গে ছিল। তার সঙ্গে কথা বলতে ব্যর্থ হয়ে নিজেকে আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেন না উত্তম।

সে চলে যেতেই অন্নপূর্ণাকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোকে কে পৌঁছে দিয়ে গেল রে?’ দুষ্টুমির স্বরে বোন পাল্টা প্রশ্ন করল, ‘কে বল দিকিনি?’ ‘ওই যে এখুনি এসেছিল তোর সঙ্গে?’ বললেন উত্তম। ‘ও তো গৌরী.

.. গৌরী রানী গাঙ্গুলী। অ্যাস্টন আর ল্যান্সডাউন রোডের মুখে থাকে।’

সুচিত্রা সেন ও উত্তম কুমার

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নুরাল পাগলার দরবার থেকে চুরি হওয়া জেনারেটর উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরাল পাগলার দরবার থেকে চুরি হওয়া একটি জেনারেটর উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় মো. মিজানুর রহমান (২৪) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।

গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে মিজানুরকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও গোয়ালন্দ ঘাট থানা-পুলিশ। মিজানুরের বাড়ি রাজবাড়ী সদর উপজেলার লক্ষ্মীকোল সোনাকান্দর গ্রামে।

আরও পড়ুননিহতের বাবার মামলায় গ্রেপ্তার আরও ২, দেড় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির দাবি১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

এ নিয়ে দুই মামলায় মোট ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. শরীফ আল রাজীব।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ৫ সেপ্টেম্বর গোয়ালন্দের নুরাল পাগলার দরবারে বিক্ষুব্ধ জনতা হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় মিজানুর রহমান জেনারেটর চুরি করে নিয়ে যাচ্ছেন—এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে মিজানুরকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়। মিজানুরকে দরবারে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, লাশ পোড়ানো ও হত্যার ঘটনায় হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁকে রাজবাড়ীর আদালতে সোপর্দ করার প্রস্তুতি চলছে।

আরও পড়ুননুরাল পাগলার দরবারে হামলায় হত্যা মামলা, মসজিদের ইমামসহ চারজন গ্রেপ্তার০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ওই দিন পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় উপপরিদর্শক (এসআই) সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে প্রায় তিন হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে ৬ সেপ্টেম্বর মামলা করেন। এই মামলায় মোট ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদিকে দরবারে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, হত্যা ও কবর থেকে লাশ তুলে মহাসড়কে পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় নিহত ভক্ত রাসেল মোল্লার বাবা আজাদ মোল্লা বাদী হয়ে ৮ সেপ্টেম্বর মামলা করেন। ওই মামলায় সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় এখন পর্যন্ত মিজানুরসহ নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ