ভালোবাসা পেতে উত্তমকুমারকেও দিতে হয়েছিল পরীক্ষা
Published: 14th, February 2025 GMT
তখনো সিনেমার কিংবদন্তি উত্তমকুমার হয়ে ওঠেননি তিনি। উপেক্ষা, অবহেলা আর বেকারত্বই ছিল সঙ্গী! অভিনয় করার নেশা আর গান—এটাই যেন ছিল তাঁর অবলম্বন। কিন্তু এভাবে তো আর চলে না। চাকরি দরকার। খুঁজতে খুঁজতে পেয়েও গেলেন জীবনের প্রথম চাকরি। পোর্ট কমিশনার্স অফিসের ক্যাশ ডিপার্টমেন্টে। তেমন ব্যস্ততা নেই। প্রতিদিন সময়মতো অফিসে যান আর ছুটি হলে বাড়িতে এসে বিশ্রাম নেন। বাকিটা সময় অভিনয়ের স্বপ্নে বিভোর থাকেন। তেমনই একদিন অফিস থেকে বাড়িতে ফিরে বিশ্রাম নিচ্ছেন। হঠাৎ চোখ ছুটে যায় সদর দরজার দিকে। জ্যাঠাতো বোন অন্নপূর্ণার সঙ্গে একজন মেয়েকে দেখতে পান। মেয়েটা দেখতে সুশ্রী। তার চেয়ে মিষ্টি তাঁর হাসি। মেয়েটিকে দেখে মুগ্ধ হন উত্তমকুমার। একেবারে লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট যাকে বলে।
এরপর অতিবাহিত হলো কয়েকটা দিন। কিন্তু অনেক চেষ্টাচরিত্র করেও মেয়েটার মুখ ভুলতে পারলেন না তিনি। অগত্যা অফিস ছুটি হলে যথাসম্ভব দ্রুত বাড়িতে ফিরে অপেক্ষা করতে শুরু করলেন। আবার যদি মেয়েটা আসে, এই আশা নিয়ে। একদিন সত্যি সত্যি মেয়েটি আবার তাঁদের বাড়িতে এল। অন্নপূর্ণাও সঙ্গে ছিল। তার সঙ্গে কথা বলতে ব্যর্থ হয়ে নিজেকে আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেন না উত্তম।
সে চলে যেতেই অন্নপূর্ণাকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোকে কে পৌঁছে দিয়ে গেল রে?’ দুষ্টুমির স্বরে বোন পাল্টা প্রশ্ন করল, ‘কে বল দিকিনি?’ ‘ওই যে এখুনি এসেছিল তোর সঙ্গে?’ বললেন উত্তম। ‘ও তো গৌরী.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।
নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’
আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।