কৃষকরা আগের দামেই সার কিনতে পারবেন। কৃষকদের প্রতি কেজি ইউরিয়া কিনতে ২৭ টাকা দিতে হবে। প্রতি কেজি ডিএপি ২১ টাকা, টিএসপি ২৭ টাকা এবং এমওপি ২০ টাকা দরে কিনতে পারবেন কৃষকেরা।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সরকার থেকে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সার না কেনার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। কোনো ডিলার এর চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রি করলে জেলা বা উপজেলা প্রশাসক, কৃষি কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানাতে বলা হয়েছে।

ডিলার পর্যায়ে প্রতি কেজি ইউরিয়া সারের বিক্রয়মূল্য ২৫ টাকা, ডিএপি ১৯ টাকা, টিএসপি ২৫ টাকা এবং এমওপি ১৮ টাকা।

২০২৩ সালের এপ্রিলে সারের দাম প্রতি কেজিতে ৫ টাকা বাড়িয়েছিল কৃষি মন্ত্রণালয়। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল আন্তর্জাতিক বাজারে সারের মূল্যবৃদ্ধির কথা।

এর আগে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি কেজি ইউরিয়া সারের দাম ৪৮ টাকা, ডিএপি ৭০, টিএসপি ৫০, এমওপি ৬০ টাকা। ৫ টাকা দাম বাড়ার পরও সরকারকে প্রতি কেজি ইউরিয়ায় ২১ টাকা, ডিএপিতে ৪৯ টাকা, টিএসপিতে ২৩ টাকা ও এমওপিতে ৪০ টাকা ভর্তুকি দিতে হবে।

ঢাকা/হাসান/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট এসপ ইউর য়

এছাড়াও পড়ুন:

৭০ হাজার টন সার আমদানি, ব্যয় ৪৫২ কোটি এক লাখ টাকা

কৃষি খাতে ব্যবহারের জন্য রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় সৌদি আরব থেকে ৭০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানির দুটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংকান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। প্রস্তাব দুটিতে মোট ব্যয় হবে ৪৫২ কোটি ১ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় প্রস্তাব তিনটিতে অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় কমিটির সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভা সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় সৌদি আরব থেকে ৫ম লটে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি (ডাই এ্যামোনিয়াম ফসফেট) সার আমদানি করা হবে। বিএডিসির সৌদি আরব থেকে চুক্তির মাধ্যমে ডিএপি সার আমদানি করা হয়। এর আগে সম্পাদিত চুক্তির কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর পুনরায় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সার আমদানি চুক্তিতে উল্লিখিত মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসারে সারের মূল্য নির্ধারণ করে সৌদি আরব থেকে ৫ম লটে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানিতে বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য ২ কোটি ৭৩ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৩৩ কোটি ৭৯ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয় হবে। প্রতি মেট্রিক টন ডিএপি সারের দাম ৬৮৪ মার্কিন ডলার। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে বিএডিসির ডিএপি সার আমদানির লক্ষ্যমাত্রা ৮.৭৯ লাখ মেট্রিক টন, এ পর্যন্ত আমদানি হয়েছে  ৫.৯৩ লাখ মেট্রিক টন।

সভায় রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় রাশিয়া থেকে ১০ম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন মিউরেট-অব-পটাশ সার আমদানির  প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। সভায় কমিটি সদস্য ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিএডিসির রাশিয়া হতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে এমওপি সার আমদানি করা হয়। এর আগে সম্পাদিত চুক্তির কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় চুক্তি পুনরায় চুক্তি নবায়ন করা হয়। সার আমদানি চুক্তিতে উল্লিখিত মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসারে রাশিয়া হতে ১০ম লটে ৩০ হাজার টন এমওপি সার আমদানি করা হবে। যার বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য ৯৬ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১৮ কোটি ২১ লাখ ৮০ হাজার টাকা।  প্রতি মেট্রিক টন এমওপি সার ৩২৩ মার্কিন ডলার। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে বিএডিসি কর্তৃক এমওপি সার আমদানির লক্ষ্যমাত্রা ৫.৭৯ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে রাশিয়া থেকে আমদানি করা হবে ২.৭২ লাখ মে.টন। এ পর্যন্ত আমদানি ২.১৮ লাখ মেট্রিক টন।

ঢাকা/হাসনাত/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৭০ হাজার টন সার আমদানি, ব্যয় ৪৫২ কোটি এক লাখ টাকা