প্রথমবারের মতো কূটনৈতিক সফরে জাপানে তালেবান
Published: 17th, February 2025 GMT
আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারের একটি প্রতিনিধি দল প্রথমবারের মতো এক সপ্তাহের কূটনৈতিক সফরে জাপান পৌঁছেছে। তালেবান সরকারের জন্য যা একটি বিরল ঘটনা।
দেশটির পররাষ্ট্র, শিক্ষা, অর্থনীতি ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এই সফরে অংশ নিয়েছেন। জাপানের আসাহি শিমবুন পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিনিধি দলটি রোববার জাপানে পৌঁছেছে।
তালেবানের অর্থনীতি মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী লতিফ নজরী এ সফরের বিষয়ে বলেছেন, আমরা বিশ্বের সঙ্গে সম্মানজনক সম্পর্ক চাই, যাতে একটি শক্তিশালী, ঐক্যবদ্ধ, উন্নত, সমৃদ্ধ ও বিকশিত আফগানিস্তান গড়ে তোলা যায়। এদিকে ব্রিটিশ বিশেষ বাহিনী আফগানিস্তানে মারাত্মক প্রতিশোধের ঝুঁকিতে থাকা দুই হাজার আফগান কমান্ডোর আশ্রয় আবেদন বাতিল করেছে বলে নিশ্চিত করেছে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। যুক্তরাজ্যের গড়ে তোলা আফগান এসব কমান্ডো বাহিনীর সদস্যদের কারোই পুনর্বাসন আবেদন অনুমোদন দেয়নি ব্রিটিশ বিশেষ বাহিনী। আলজাজিরা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আফগ ন স ত ন আফগ ন
এছাড়াও পড়ুন:
জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব
সময়ের চেয়েও বেশি দীর্ঘ হলো অপেক্ষা। উত্তেজনার বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে ছিল ফুটবলীয় রোমাঞ্চ। শেষ ১৫ মিনিট যেন পরিণত হলো রূপকথার উপসংহারে—যেখানে আবাহনীর স্বপ্ন থেমে যায়, আর বসুন্ধরা কিংস খুঁজে পায় চতুর্থ ফেডারেশন কাপের সোনালি মুহূর্ত।
বৃষ্টির ছন্দে বিভ্রান্ত হওয়া ফাইনাল আবার শুরু হলো এক সপ্তাহ পর। ১-১ সমতায় থাকা ম্যাচের বাকি অংশ গড়ালো ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামে। যেখানে শুরু থেকেই ১০ জনের দল নিয়ে খেলতে নামে কিংস। অতিরিক্ত সময়ে কিছুই হল না। তবে অপেক্ষার পুরস্কার মিলল টাইব্রেকারে।
সেখানে বাজিমাত করলেন কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ। আবাহনীর দ্বিতীয় শট আটকে দিয়ে দলকে দিলেন এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস। আর শেষ শটটি নেন ব্রাজিলিয়ান ড্যাসিয়েল, যা গোললাইন পার হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উৎসবে ফেটে পড়ে কিংস শিবির।
আরো পড়ুন:
যে কারণে এবারের লিগ জয়কে এগিয়ে রাখছেন সালাহ
পাঁচ গোলের রোমাঞ্চকর ফাইনালে শেষ হাসি বার্সার
কিছুদিন আগেই আবাহনীর কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল কিংস। এবার সেই হারের উত্তরটা যেন মিলল একই মঞ্চে, একই কৌশলে— তবে ভিন্ন ফলাফলে। মোরসালিন, তপু, ইনসান, জোনাথন আর ড্যাসিয়েল— কেউই ভুল করেননি। আবাহনীর একমাত্র ব্যর্থ শটটি ছিল নাইজেরিয়ান এমেকার, যা ঠেকিয়ে দেন শ্রাবণ। আর মিরাজুলের চতুর্থ শট, যা প্রথমবার ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন শ্রাবণ। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্তে আবার নিতে হয়। তাতেও গোল হলেও ততক্ষণে কিংস হয়ে গেছে অপ্রতিরোধ্য।
এদিন মাত্র ১৫ মিনিট খেলা হলেও মাঠের উত্তাপ ছিল পূর্ণদৈর্ঘ্য নাটকের মতো। শুরুতেই হলুদ কার্ড দেখেন আবাহনীর সুমন রেজা ও অধিনায়ক হৃদয়। আগের ম্যাচেও হলুদ-লাল কার্ডে ভরা ছিল দৃশ্যপট। ফুটবল এখানে শুধু কৌশলের খেলা নয় তা যেন হয়ে ওঠে মানসিক স্থিতির পরীক্ষাও।
এই জয়ে বসুন্ধরা কিংস চতুর্থবারের মতো ফেডারেশন কাপ জয় করল। একই সঙ্গে আবাহনীকে প্রথমবার কোনো ফাইনালে হারানোর কৃতিত্বও অর্জন করল তারা। অতীতে দুই ফাইনালে পরাজিত হয়েছিল কিংস। এবার তারা সেই রেকর্ড মুছে দিল নির্ভার ফুটবলে।
ঢাকা/আমিনুল