চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোয় যাওয়ার লক্ষ্যে এখন লড়াই করছে ১৬টি দল। প্রথম লেগের পর এই লড়াইয়ে কেউ কেউ এগিয়ে গেছে। তবে এগিয়ে থাকাটাই শেষ কথা নয়। দ্বিতীয় লেগে বদলে যেতে পারে পাশার দান। আজ রাতে শেষ ষোলো সামনে রেখে ৮টি দল ৪টি ম্যাচে মুখোমুখি হবে একে অপরের।

যে আট দল আজ শেষ ষোলোয় যাওয়ার লড়াইয়ে নামছে, তাদের মাঝে বায়ার্ন মিউনিখ ও এসি মিলানের মতো সাবেক চ্যাম্পিয়নরাও আছে। তবে সাবেক চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা কোনোভাবেই পরবর্তী পর্বে যাওয়ার নিশ্চয়তা দিচ্ছে না। মাঠে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেই জায়গা করে নিতে হবে সেরা ১৬ দলের মধ্যে। এখন এমন পরিস্থিতিতে আজ রাতে মাঠে নামতে যাওয়া দলগুলোর কার কি করতে হবে, একনজরে দেখে নেওয়া যাক।

এসি মিলান: ফেইনুর্ড
(ফেইনুর্ড ১-০ গোলে এগিয়ে)

এসি মিলান ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা দল। যদিও ইউরোপ সেরা হওয়া মিলানের সেই স্মৃতিতে জমেছে ধুলার আস্তরণ। ২০০৭ সালের পর আর কখনো ফাইনালেও ওঠেনি তারা। এবারও শঙ্কা আছে আগেভাগে বিদায় নেওয়ার। শেষ ষোলোয় যাওয়ার লড়াইয়ে প্লে-অফের প্রথম লেগে ফেইনুর্ডের কাছে মিলান হেরেছে ১-০ গোলে। সেই হারে অবশ্য মিলানের সব শেষ হয়ে যায়নি।

আরও পড়ুনবায়ার্নের আনন্দের রাতে এসি মিলানের হারের বেদনা১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সেদিন প্রতিপক্ষের মাঠ হারলেও, আজ মিলান খেলবে নিজেদের মাঠে। ঘরের মাঠে নিজেদের পরিচিত পরিবেশে মিলানের প্রয়োজন ২ গোলের ব্যবধানে একটি জয়। তবে ১-০ গোলে জিতলেও টাইব্রেকারে সুযোগ থাকবে তাদের। বিপরীতে ফেইনুর্ডের কাজটা অবশ্য বেশ সহজ। পরবর্তী পর্বে যেতে মিলানকে জিততে না দেওয়াই তাদের জন্য যথেষ্ট। কোনোভাবে ম্যাচ সমতা শেষ করতে পারলেই মিলানকে পেছনে ফেলে পরের পর্বে যাবে তারাই।

মিলানের বিপক্ষে ফেইনুর্ডকে জেতান ইগর পাইশিয়াও.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ ইন র ড

এছাড়াও পড়ুন:

‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের পরবর্তী শুনানি বুধবার

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের (রিভিউ) ওপর পরবর্তী শুনানির জন্য আগামীকাল বুধবার দিন রেখেছেন আপিল বিভাগ। আজ মঙ্গলবার শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের বেঞ্চ পরবর্তী ওই দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ১৮ মে শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ শুনানির জন্য ১ জুলাই দিন ধার্য করেছিলেন। ধার্য তারিখে বিষয়টি শুনানির জন্য রিভিউ আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবীর সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ ১৫ জুলাই পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন। আজ বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকার ৭ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।

ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স সংশোধন করে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। পরে ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায়ে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক পদধারীদের পদক্রম ওপরের দিকে রাখা ও অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়। পাশাপাশি জেলা জজদের পদক্রম আট ধাপ উন্নীত করে সচিবদের সমান করা হয়।

আপিল বিভাগের রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতির পদক্রম এক ধাপ উন্নীত করে জাতীয় সংসদের স্পিকারের সমান এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক ও মহান স্বাধীনতাসংগ্রামে অংশগ্রহণ করে যে মুক্তিযোদ্ধারা বীর উত্তম খেতাব পেয়েছেন) পদক্রমে যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত বলে উল্লেখ করা হয়।

ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) তৎকালীন চেয়ারম্যান ২০১৭ সালে পৃথক আবেদন করেন। রিভিউ আবেদনে রাষ্ট্রের ৯০ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পক্ষভুক্ত হন। পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের ওপর গত ২৭ এপ্রিল শুনানি শুরু হয়।

আজ আদালতে রিভিউ আবেদনকারী মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন শুনানি করেন। রিট আবেদনকারী পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম শুনানিতে অংশ নেন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী, ১৯৮৬ সালে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর একই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তা জারি করা হয়। পরে বিভিন্ন সময়ে তা সংশোধন করা হয়।

সর্বশেষ সংশোধন করা হয় ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে। সংশোধিত এই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরির ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদ, সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত ও সংজ্ঞায়িত পদগুলো প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিচের ক্রমিকে রাখা হয়েছে—এমন উল্লেখ করে এর বৈধতা নিয়ে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন মহাসচিব মো. আতাউর রহমান ২০০৬ সালে রিট করেন।

রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট আট দফা নির্দেশনাসহ ১৯৮৬ সালের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স (সংশোধিত) অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১১ সালে আপিল করে। এ আপিলের ওপর শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ২০১৭ সালে করা আবেদনের ওপর শুনানি চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আসামির কাঠগড়ায় সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের ৪৫ মিনিট
  • পরবর্তী সরকারের পক্ষে এত সহজে সংস্কার আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করা সম্ভব হবে না: আসিফ নজরুল
  • বিসিআইসির নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ
  • এলডিসি উত্তরণের পরবর্তী প্রস্তুতি নিতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন
  • ৪৪তম বিসিএস: মনোনীত প্রার্থীদের তথ্য চেয়ে পুনরায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
  • ‘আগামীর বাংলাদেশে মিডিয়াকে দালাল হিসেবে দেখতে চাই না’ 
  • ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের পরবর্তী শুনানি বুধবার
  • মাইলস্টোনে দগ্ধ ৩৩ জন এখনো ভর্তি, আইসিইউতে ৩
  • শেখ হাসিনার অডিওগুলো শুনলে বোঝা যায়, তাঁর এখনো প্রতিশোধ নেওয়ার ইচ্ছা আছে: আইন উপদেষ্টা
  • দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্র্যাক ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে