দেশে ফিরে বাড়িতে ঠাঁই মেলেনি প্রবাসীর
Published: 20th, February 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরে নিজের ভিটায় গেলেও বাড়িতে উঠতে পারেননি প্রবাসী মাহবুবুল আলম চৌধুরী। এমন দাবি করে নিজের বোনদের বিরুদ্ধে বাড়ি দখলের অভিযোগ করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে মাহবুবুল আলম জানান, তাঁর অনুপস্থিতিতে বাড়ি দখল করা হয়েছে। সেখানে অনেক দামি আসবাব ও জমির দলিলসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র রয়েছে। সেগুলো বেহাত হওয়ার আশঙ্কায় আছেন তিনি।
বুধবার সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মাহবুবুল আলম জানান, নগরীর পীরমহল্লা প্রভাতী-৩০ নম্বর শিরীন মঞ্জিল তাঁর পৈতৃক বাড়ি। উত্তরাধিকার সূত্রে বাড়ির ৫০ শতক জায়গার মালিক তারা ৯ ভাইবোন। প্রত্যেকে যার যার অংশ দখলে নিয়েছেন। তিনি সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রে বাসবাস করছেন। সেখানে যাওয়ার আগে নিজের অংশে করা বাড়ি ভাড়া দিয়ে যান। গত বছর ভাড়াটিয়াকে তাড়িয়ে দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ ও গ্যাস লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় এয়ারপোর্ট থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেছেন তিনি।
প্রবাসী মাহবুবুল আলমের অভিযোগ, গত বছর তাঁর দুই বোন তামান্না ও রেহানা চৌধুরীর নির্দেশে তাদের ভাড়াটিয়া শাকিল আহমদ, মোস্তাক আহমদ, রফিকুল ইসলাম রফিকসহ একদল সন্ত্রাসী বাড়ি দখলে নেয়। ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর দেশে ফিরলেও তিনি নিজ বাড়িতে উঠতে পারছেন না।
ওই প্রবাসী জানান, আরও আগেই তিনি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর বাড়ি উদ্ধারের আবেদন করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ কমিশনারকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। এখনও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে তামান্না চৌধুরীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি।
এয়ারপোর্ট থানার ওসি সৈয়দ আনিসুর রহমান সমকালকে জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে। ভাইবোন বিদেশ থাকায় সব সময় তাদের পাওয়া যায় না।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও আবাসিকে গ্যাস দেওয়ার সম্ভাবনা নেই: জ্বালানি উপদেষ্টা
জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, নতুন করে আর গৃহস্থালিতে গ্যাস-সংযোগ দেওয়া হবে না। কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও আবাসিকে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নেই। সুযোগ থাকলে ঢাকার সব বাড়িতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দিতাম।
শুক্রবার সকালে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার দুটি গ্যাসকূপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সিলেটের যেসব এলাকা থেকে গ্যাস উত্তোলন হয় সেসব এলাকার বাসিন্দারা তাদের বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন। এ ব্যাপারে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হবে কি? -এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, শিল্প কারখানা যেখানে গ্যাস পাচ্ছে না সেখানে বাসা বাড়িতে গ্যাস দেওয়া অপচয়। নতুন করে আর গৃহস্থালিতে গ্যাস-সংযোগ দেওয়া হবে না। কেয়ামত পর্যন্ত এই সুযোগ বন্ধ রাখা উচিত। তবে যেসব এলাকায় গ্যাস উত্তোলন করা হয়, সেসব এলাকায় স্বল্পমূল্যে সিলিন্ডার গ্যাস সরবরাহ করবে সরকার।
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, প্রতিবছর প্রায় ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের উৎপাদন কমছে। পাশাপাশি এলএনজি আমদানি বেড়েছে। এক্ষেত্রে গ্যাসের উৎপাদন বাড়িয়ে আমদানি কমানোর চেষ্টা চলছে।
উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান জানান, কৈলাশটিলা-৭ ও সিলেট-১০ গ্যাস কূপ থেকে থেকে প্রতিদিন ১৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে।
শুক্রবার সকালে গোলাপগঞ্জে কৈলাসটিলা গ্যাসফিল্ড পরিদর্শন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি উপজেলার পৌর এলাকার কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ডের ৭ নম্বর কূপ এলাকা, বাপেক্সের রিগ বিজয়-১২ ও কৈলাশটিলা ১ নম্বর কূপে ওয়ার্কওভারের নিমিত্ত প্রস্তুতকৃত রিগপ্যাড পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি একই উপজেলাধীন কৈলাশটিলা এমএসটি প্লান্ট পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে তার সঙ্গে ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের (অপারেশন বিভাগ) অতিরিক্ত সচিব মো. খালিদ আহমেদ, বাপেক্স/এসজিএফএলের প্রকৌশলী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সোহেব আহমদ, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান রেহসানুল ইসলাম, সেক্রেটারি এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনির হোসেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কৈলাসটিলা গ্যাস ফিল্ডের ডিজিএম ফারুক আহমদ, কৈলাসটিলা গ্যাস ফিল্ড এমএসটি প্লান্টের ডিজিএম জাফর রায়হানসহ সংশ্লিষ্ট কূপের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা।