যেমন রায়েরবাজারে শিশুরা বেড়ে উঠতে চায়
Published: 22nd, February 2025 GMT
শিশুরা যখন মাঠে খেলে, তখন তাদের মা-বাবা মাঠের পাশে অপেক্ষায় থাকেন। প্রখর রোদে বা তাপপ্রবাহে তাঁদের দরকার একটুখানি ছায়া। তাই মাঠের পাশে মা-বাবাদের জন্য দু-একটি বৃক্ষের আবদার করেছে এক শিশু। আরেক শিশুর চাওয়া, রাস্তার কাছে একটি টেলিফোন। বিদ্যালয় ছুটির পরে বাসায় একবার ফোন করার সুযোগ দরকার তার। তবে অনেক শিশুর ভাবনাতেই রয়েছে সবুজ প্রকৃতি। যেখানে প্রয়োজনীয় গাছগাছালি একটি ছায়াশীতল পরিবেশ তৈরি করবে। এমনই ছোটখাটো বা নিতান্ত নস্যি চাওয়া ঢাকার রায়েরবাজারের শিশু-কিশোরদের। কংক্রিটের জঞ্জালে ঠাসা ঢাকায় শিশুদের বিকাশে কেমন নগর–পরিকল্পনা দরকার, শিশুদের কল্পনা থেকে তা তুলে আনতে চেয়েছে ‘রায়েরবাজার টু গ্রো-আপ ইন’ কার্যক্রম।
বাংলাদেশের ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ও বেসরকারি সংস্থা ‘ওয়ার্ক ফর আ ব্যাটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট’ কর্মসূচিটি বাস্তবায়ন করেছে। যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয় তহবিল জোগানো ও গবেষণায় রেখেছে বিস্তৃত ভূমিকা। রায়েরবাজারের ৮ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের নিয়ে কয়েক মাসব্যাপী বৈচিত্র্যপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের কল্পনাকে নকশায় ফুটিয়ে তুলতে কাজ করেছে তারা। শিশুরা তাদের ভাবনার নগরের কথা তুলে ধরেছে কর্মশালায়।
আরও পড়ুনশিশু কেন ঘুমায় না১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪শিশুরা বলছে তার মনের মতো শহরের কথা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুশফিকের প্রেমকাহিনির মঞ্চে ম্যাথুসের বিদায়ী সুর
* শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৬ টেস্টে বাংলাদেশের একটাই জয়। সেটি আবার শ্রীলঙ্কাতে। সেই জয় বাংলাদেশের শততম টেস্টে বলে আপনার তা খুব ভালোমতোই মনে থাকার কথা।
* টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ৬০০ ছাড়ানো একমাত্র স্কোরটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সেটিও শ্রীলঙ্কাতে।
* টেস্টে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। হ্যাঁ, হ্যাঁ, সেটিও শ্রীলঙ্কাতেই।
শেষ দুটি আবার একে অন্যের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। দুটি একই টেস্টে। ২০১৩ সালে যে টেস্টে বাংলাদেশের ৬৩৮, সেটিতেই মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরি। টানা ১২ টেস্টে হারার পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ড্র-ও।
এই পুরোনো প্যাচাল খুব বেশি অপ্রাসঙ্গিক লাগবে না, যখন জানবেন ওই টেস্টটা হয়েছিল গল ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। পশ্চাৎপটে অতিকায় গল ফোর্টের পাথুরে কাঠামো আর দুই পাশে সাগর মিলিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্টেডিয়ামের একটি। ২০০৪ সালে সুনামিতে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ার পর পুনর্জন্ম নেওয়া গলের সেই মাঠেই আজ শুরু বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা প্রথম টেস্ট। শুরু আসলে তিন ধরনের ক্রিকেটেই একে অন্যের নাড়ি-নক্ষত্র বুঝে নেওয়ার লড়াই। যাতে টেস্ট আছে, ওয়ানডে আছে, আছে টি-টোয়েন্টিও। দুই টেস্টের পর সাদা বলের সিরিজে তিনটি করে ম্যাচ।
আরও পড়ুনআমিনুল ইসলাম বুলবুলকে চিনতে হলে এই লেখাটা পড়তে হবে০২ জুন ২০২৫দুই দল পরস্পরের খুব চেনা। বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ২৬টি টেস্ট খেলেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ঘন ঘন দেখা হলে হৃদ্যতা যেমন হয়, তেমনি রেষারেষিও। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। গত কয়েক বছরে এই দুই দল মুখোমুখি হলেই মাঠে বা মাঠের বাইরে উত্তেজনার ফুলকি ছুটেছে। ‘টাইমড আউট’ হয়তো সেটির এক নম্বরে, এর বাইরেও নানা কিছু মিলে লঙ্কা-বাংলা এখন গনগনে এক দ্বৈরথের নাম।
গত চার বছর দুই দলের মধ্যে চতুর্থ টেস্ট সিরিজ। দুই দলের জন্যই রণকৌশল ঠিক করা তাই খুব সহজ হওয়ার কথা। বাংলাদেশ দলের জন্য হয়তো তা থাকছে না শ্রীলঙ্কা দলে নতুনের সমারোহে। ১৮ জনের দলের এক–তৃতীয়াংশই এখনো টেস্ট খেলার অপেক্ষায়। বাংলাদেশ দলেও কিছু পরিবর্তন আছে, তবে তা ধর্তব্যের মধ্যে নয়।
টেস্টের প্রস্তুতিতে গলে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল