Samakal:
2025-05-01@09:33:17 GMT

কীভাবে বেছে নেব পড়ার বিষয়

Published: 23rd, February 2025 GMT

কীভাবে বেছে নেব পড়ার বিষয়

পছন্দের বিষয়ে কেন পড়তে চাই। তবে কি সবসময় সেটা সম্ভব হয়ে ওঠে। প্রত্যাশা আর প্রাপ্তি কি সবসময় মিলে যায়। অনেক সময় হয়ে ওঠে না। স্কুল-কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রাখার স্বপ্ন থাকে সব পড়ুয়ারই। বয়সটা কম আর ইচ্ছা অনেক। স্বপ্নও আকাশছোঁয়া। তবে এর মধ্যেও থাকে নানা সমস্যা। উচ্চ মাধ্যমিক পেরিয়ে অনেক প্রতিবন্ধকতা ও প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিচ্ছেন। সারাজীবন যে যোগ্যতা আপনাকে বিশ্বে পরিচয় করাতে জোরালো ভূমিকা রাখবে, সেই বিষয়ে খুবই সাবধানতার সঙ্গে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। কেউ পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে না, তো কেউ নিজের ভালো লাগার বিষয় নিয়ে পড়ার সুযোগ পায় না। আবার কোথাও থাকে মা-বাবার স্বপ্নভঙ্গের চাপ। তাই বলে কি থেমে যাবে স্বপ্নের ওড়ান, মোটেই নয়। এখান থেকেই শুরুটা করতে হবে নতুন করে। আবার অনেকেই পেয়ে যাই পছন্দের বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ। তাহলে তো আর কথাই নেই। পছন্দের বিষয় নিয়ে পড়তে না পারার সমস্যাটা নতুন নয়। আবার ভালো লাগার বিষয় হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার যন্ত্রণাটাও ভয়াবহ। যে ছেলেটি সারাজীবন ডাক্তার অথবা প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্নে মশগুল, তাকে যদি সাধারণ কোনো কোর্সে ভর্তি হতে হয়, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় তার পড়াশোনার ইচ্ছাটাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সমস্যাই শেষ কথা নয়; তা থেকে উত্তরণের পথ তো খুঁজতে হবে নিজেদেরই। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সময় কোন বিষয়ে পড়ব– এ নিয়ে রীতিমতো যুদ্ধ শুরু হয়ে যায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে। এই ‘যুদ্ধের’ অনিবার্য পরিণতি হিসেবে অনেকের মধ্যেই জন্ম নেয় হতাশা। শিক্ষার্থীর পছন্দ আর অভিভাবকের পছন্দ প্রায়ই এক হয় না। পছন্দের বিষয়ে সুযোগ না পাওয়া শিক্ষার্থীরা প্রায়ই হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে নিজেদের মেধার অপচয় করে। মনে রাখতে হবে প্রতিটি বিষয়েরই কোনো না কোনো বিশেষত্ব আছে, আছে নতুন করে জানা এবং তার সঠিক ও সময়োপযোগী বাস্তবায়নের সুযোগ। প্রশ্ন হলো, কোন বিষয়টা আপনাকে আলোড়িত করে, কোনটা আপনার ভেতরে আগ্রহ জাগায়। বিজ্ঞান, প্রকৌশল, ভাষা, শিল্পকলা, সাহিত্য, ব্যবসা– যাই হোক না কেন। ভালো লাগার সঙ্গে মিলিয়ে আপনি নিশ্চয়ই কোনো না কোনো বিষয়ের খোঁজ পাবেন। প্রথম কাজই হলো, আপনার অনুপ্রেরণার জায়গাটা খুঁজে বের করা। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা শুধু বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান অর্জন করে না, বিশ্ববিদ্যালয় অনেক বড় ক্ষেত্র। এখানে তারা সামাজিক আচরণ, যোগাযোগের ক্ষমতা, ভাষাগত দক্ষতা, সময় ব্যবস্থাপনা, দলবদ্ধভাবে কাজ করতে পারা, উপস্থাপন করতে পারা এবং নেতৃত্বের বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি ‘সফট স্কিল’ আয়ত্ত করার সুযোগ পায়। বিজ্ঞান, মানবিক কিংবা বাণিজ্য– যে বিভাগেই পড়ি না কেন, সফট স্কিল অর্জনের সঙ্গে আদতে পড়ার বিষয়ের খুব একটা সম্পর্ক নেই। ভবিষ্যতে সফল পেশাজীবন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এই দক্ষতাগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনেক ক্ষেত্রে পছন্দের বিষয়ে ভর্তি হতে না পারলেও যেখান থেকে এই দক্ষতাগুলো ভালোভাবে অর্জন করা যাবে, বিষয় বা প্রতিষ্ঠান নির্বাচনের ক্ষেত্রে সেটিও বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে।  আপনার সংক্ষিপ্ত তালিকায় যেসব বিষয়ের নাম আছে, খোঁজ নিয়ে দেখুন, এ বিষয়গুলোতে উচ্চশিক্ষায় কী কী সুযোগ আছে? অনেক সময় এমন হয়, দেখবেন বাংলাদেশে একটা বিষয় নতুন। অথচ হার্ভার্ড, এমআইটি, অক্সফোর্ডের মতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ওই বিষয়গুলো খুব গুরুত্ব সহকারে পড়ানো হচ্ছে। বৈশ্বিক চিত্রটা দেখলে আপনি তুলনা করতে পারবেন। পরে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতেও সহায়ক হবে। যে বিষয় নিয়ে পড়ার সুযোগ হচ্ছে, তা নিয়ে মাথা ঘামানো জরুরি। ইন্টারনেটে সেই নতুন বিষয় নিয়ে ভালো করে খোঁজ করলে নানা সুযোগ সামনে আসবে। ফলে বিষয়টি সম্পর্কেও সম্যক ধারণা হবে। একই সঙ্গে তা নিয়ে ভবিষ্যতে এগিয়ে যাওয়ার পথ চোখের সামনে খুলে যাবে। সব ধাপ পেরিয়ে এসে এবার বিষয় নির্বাচন করুন। যখন আপনি আপনার গন্তব্য জেনে গেছেন, তখন আর পেছনে তাকানোর উপায় নেই। সমস্ত আবেগ, একাগ্রতা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ুন। নিজের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকুন এবং পছন্দের বিষয়ে সেরা হওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন। যদি উদ্ভাবন বা গবেষণায় আপনার ঝোঁক থাকে, তাহলে যেসব বিষয়ে সুযোগ আছে, যেমন জেনেটিকস ও বায়োটেকনোলজি, ফার্মাসি, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন– এ বিষয়গুলো বেছে নিন। আবার তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে আগ্রহ থাকলে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল, তথ্যপ্রযুক্তি, ডেটা সায়েন্সের মতো বিষয়গুলো পড়তে পারেন। আপনি যদি কৌশল ব্যবস্থাপনা, নেতৃত্ব, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ব্যবসা অথবা বাজার বিষয়ে অভিজ্ঞ হতে চান, তাহলে কৌশল ও নেতৃত্ব, মার্কেটিং কিংবা আন্তর্জাতিক ব্যবসা নিয়ে পড়ুন। রাজনীতি, সাহিত্য ও দর্শন নিয়ে যাদের আগ্রহ আছে, তারা নির্দ্বিধায় রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইতিহাস, দর্শন, শিল্পকলা, ভাষা– এ ধরনের কোনো বিষয়ে ভর্তি হতে পারেন। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ষয়গ ল আপন র ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

গানের ভুবনে লিজার অন্তহীন পথচলা

শীর্ষ তারকা হওয়ার দৌড়ে কখনও অংশ নিতে দেখা যায়নি তাঁকে। যদিও ২০০৮ সালে ‘ক্লোজআপ ওয়ান: তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় সেরা শিল্পীর মুকুট মাথায় উঠেছিল, তবু ধীরলয়ে পথ হেঁটে গেছেন। নিজের কাজে অতিমাত্রার উচ্ছ্বাসও দেখাননি কখনও। নীরবে নিভৃতে কাজ করে গেছেন সবসময়। গানে গানে কুড়িয়ে চলেছেন শ্রোতার ভালোবাসা। এ কারণে সমসাময়িকদের চেয়ে আলাদা করে তাঁকে চিনে নেওয়া যায়। বলছি, কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজার কথা। গানের ভুবনে অন্তহীন পথচলায় যিনি এরই মধ্যে পেরিয়ে এসেছেন প্রায় দেড় যুগের পথ। সমান জনপ্রিয়তা নিয়ে এ দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার রহস্যটা কী? শুরুতে যখন এ প্রশ্ন লিজার সামনে তুলে আনা হলো, তখন দেখা গেল, লিজা নিজেই এর উত্তর খুঁজতে বসে গেছেন। এ পর্যায়ে হেসে বললেন, ‘না, এর উত্তর সত্যি জানা নেই। আসলে আমি তো গান গাই শ্রোতার প্রত্যাশা পূরণ আর ভালোবাসা কুড়ানোর জন্য। হ্যাঁ, শিল্পীসত্তাকে খুশি রাখতে গানের চর্চা ধরে রেখেছি বললে ভুল হবে না। তারপরও প্রতিটি আয়োজনে শ্রোতার ভালোলাগা, মন্দলাগাকে প্রাধান্য দিয়েছি। এতে করে কতটুকু জনপ্রিয়তা পেয়েছি। সেই জনপ্রিয়তা শুরু থেকে একই রকম আছে কিনা– সেটি তো শ্রোতারা ভালো বলতে পারবেন।’ লিজার এ কথা থেকে বোঝা যায়, যাদের কারণে শিল্পীজীবন বেছে নেওয়া, সেই শ্রোতা তাঁর দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। সেখানে তাঁর গানগুলো ছিল চালিকাশক্তি। তবে ১৭ বছরের সংগীতের এ পথচলায় লিজার কণ্ঠে মেলোডি গান বেশি শুনতে পাওয়া গেছে। এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই দেড় যুগে নানা ধরনের গান গেয়েছি, তবু কেন জানি শ্রোতারা আমাকে মেলোডি গানের শিল্পীদের দলে রেখে দিয়েছেন। অস্বীকার করব না যে, আমার কণ্ঠে যে ধরনের গান ভক্তরা বেশি শুনতে চান, সে ধরনের গান বেশি গাই। এটিও ঠিক যে, মেলো কিংবা স্যাড-রোমান্টিক গানের প্রতি শ্রোতার ভালোলাগা সবসময় ছিল। এখনও অনেকে মেলোডি ছাড়া গানের কথা ভাবতে পারেন না। এজন্য নিরীক্ষাধর্মী কাজ করলেও আমি চাই না মেলোডি থেকে কখনও দূরে সরে থাকতে। তাই মেলোডি গান যেমন গাইছি, তেমনি গানের নিরীক্ষাও চালিয়ে যাচ্ছি।’ লিজার এ কথা যে মিথ্যা নয়, তা সর্বশেষ প্রকাশিত গানগুলোর শুনলে প্রমাণ মেলে। ক’দিন আগে বিটিভির ‘বৈঠকখানা’ অনুষ্ঠানে ক্লোজআপ ওয়ান তারকা মুহিনের সঙ্গে গাওয়া ‘তোমার নামে’ গানে যে লিজাকে শ্রোতা আবিষ্কার করবেন, তার সঙ্গে মেলানো কঠিন হবে সামজ ও রিজানের সঙ্গে ‘তিতা কথা’ গানের লিজাকে। আরেকটু পেছন ফিরে তাকালে দেখা যাবে, ‘খুব প্রিয় আমার’, ‘তুমি এলে’, ‘পূর্ণিমা চাঁদ’ গানগুলোয় লিজা অতীতের গায়কীকে ছাপিয়ে কীভাবে আরও নতুন হয়ে নিজ কণ্ঠ তুলে এনেছেন। 

মাঝে কিংবদন্তি শিল্পীদের বেশ কিছু কালজয়ী গানের রিমেকে কণ্ঠ দিয়েও প্রশংসা কুড়িয়েছেন সংগীতবোদ্ধাদের। স্টেজ শো, রেডিও, টিভির আয়োজন থেমে শুরু করে সিনেমার প্লেব্যাক শিল্পী হিসেবে প্রমাণ দিয়েছেন, তিনি অন্যদের চেয়ে কোনোভাবে পিছিয়ে নন। এককথায়, বহমান সময়টিকে সুরেলা করে রেখেছেন অনিন্দ্য কণ্ঠ জাদুতে। 

আগামীতেও লিজার কণ্ঠ বাতাসে ভেসে বেড়াবে– এ অনুমান করা যায়। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গানের ভুবনে লিজার অন্তহীন পথচলা