বর্ণাঢ্য আয়োজনে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এ সমাবর্তনে চ্যান্সেলরের প্রতিনিধি হিসেবে সভাপতিত্ব করেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থান শহীদের প্রতি এক মিনিট নিরাবতা পালন করা হয়।

অনুষ্ঠানের মূল আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.

মো: আবুল হোসেন বলেন, “এ বিশ্ববিদ্যালয় গণ মানুষের প্রতিষ্ঠান। এটা কোন ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান না বরং সামাজিক মালিকানাধীন। দীর্ঘ ১১ বছর পর আজ সমাবর্তনের আয়োজন সম্পন্ন হচ্ছে। গ্রাজুয়েটরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিনের শপথ বাক্যের কথা মনে রাখবেন। মনে রাখবেন অর্থ উপার্জন প্রয়োজন, তবে গরিবের ঘাম-রক্তের উপর দিয়ে যেন এ উপার্জন না হয়।”

বিশেষ বক্তা হিসেবে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান বলেন, “এটা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বিশেষ মুহুর্ত। এখন আপনাদের প্রতি নৈতিক দায়িত্ব অর্পিত হলো। আপনাদের দায়িত্ব দেশের মানুষের জন্য কাজ করা। আমি আশা রাখি, শিক্ষার্থীরা জনস্বার্থ ও দেশের স্বার্থের জন্য কাজ করে যাবে। সবাই এ প্রতিষ্ঠানের আদর্শ ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনের দিকে নিয়ে যাবেন।”

সভাপতির বক্তব্যে শারমিন এস মুরশিদ বলেন, “আমরা ন্যায্য-গণতান্ত্রিক সমাজ গড়তে পারিনি বলেই ২০২৪ এ গণ অভ্যুত্থান ঘটেছে। আজ সমাবর্তনে উপস্থিত গ্রাজুয়েটদের মনে রাখতে হবে, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর লক্ষ্যই ছিল ‘গ্রামে চল গ্রাম গড়।’ আমি গণ বিশ্ববিদ্যালয়কে এমন স্থানে দেখতে চাই, যেখানে পৃথিবীর সব গণ জাগরণের মানুষদের মিলনমেলা হবে।”

সমাবর্তনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ডিগ্রি তুলে দেওয়া হয়।

এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, শিক্ষার্থীদের আনন্দ মিছিল, স্মারক ফটোসেশন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মারক গ্রহণসহ নানা আয়োজন করা হয়।

ঢাকা/সানজিদা/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

সায়েমের অলরাউন্ড পারফরম‌্যান্সে পাকিস্তানের জয়ে শুরু

জয়ের ধারাবাহিকতায় পাকিস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষে ঢাকায় শেষ টি-টোয়েন্টি জয়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম‌্যাচ সিরিজের প্রথমটিতেও জয় পেয়েছে তারা।

অলরাউন্ড পারফরম‌্যান্সে পাকিস্তানের জয়ের নায়ক সায়েম আইয়ুব। তার ৩৮ বলে ৫৭ রানের ইনিংসে ভর করে পাকিস্তান লাডারহিলে ৬ উইকেটে ১৭৮ রান করে। জবাব দিতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেটে ১৬৪ রানের বেশি করতে পারেননি। দারুণ ব‌্যাটিংয়ের পর বোলিংয়ে সায়েম ২০ রানে ২ উইকেট নেন। ১৪ রানের জয়ে সিরিজে ১-০ ব‌্যবধানে এগিয়ে পাকিস্তান।

টস হেরে ব‌্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান শুরুতে শাহিবজাদা ফারহানের উইকেট হারায়। ১২ বলে ১৪ রান করে আউট হন ডানহাতি ব‌্যাটসম‌্যান। তিনে নেমে ফখর সায়েমকে সঙ্গ দেন। দুজন ৮১ রানের জুটি গড়েন। এ সময়ে ফখর ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৪ বলে ২৮ রান করেন। বাকি রান আসে সায়েমের ব‌্যাটে।  এ সময়ে তিনি তুলে নেন ক‌্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। হোল্ডারের বলে এলবিডব্লিউ হলে থেমে যায় তার ইনিংস।

এরপর হাসান নওয়াজের ১৮ বলে ২৪, সালমান আগার ১০ বলে ১১, ফাহিম আশরাফের ৯ বলে ১৫ রানে পাকিস্তান লড়াকু পুঁজি পায়। শেষ দিকে ১ বল খেলার সুযোগ পান হারিস। ছক্কায় উড়িয়ে পাকিস্তানের শেষটা ভালো করেন তিনি।
বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সেরা ছিলেন শামার জোসেফ। ৩০ রানে নেন ৩ উইকেট।

লক্ষ‌্য তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে ৭২ রান পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর হঠ‌্যাৎ ছন্দপতন। ৫ রান পেতেই ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ওই ধাক্কার পর তারা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। জনসন চার্লস ও জুয়েল অ‌্যান্ড্রু ৩৫ রানের দুটি ইনিংস খেলেন। শেই হোপ (২),  গুদাকেশ মোটি (০), শেফরন রাদারফোর্ড (১১) ও রস্টন চেজ (৫) দ্রুত আউট হন। শেষ দিকে পরাজয়ের ব‌্যবধান কমান হোল্ডার ও জোসেফ। হোল্ডার ১২ বলে ৪ ছক্কায় ৩০ রান করেন। ১২ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২১ রান করেন জোসেফ ।

পাকিস্তানের বোলারদের মধ‌্যে সেরা ছিলেন হাসান নওয়াজ। ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার। সায়েমের ২ উইকেট বাদে ১টি করে উইকেট পেয়েছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি ও সুফিয়ান মুকিম।
আগামীকাল একই মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ