১৮ বছর আগে রাজধানীর পল্লবীতে ব্যবসায়ী মনসুর মল্লিক হত্যা মামলায় ২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মুহাম্মদ আবু তাহের এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২ আসামি হলেন মো. জহিরুল ইসলাম জহির ও মো. আ. রহিম ওরফে চঞ্চল। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাদের ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মো.

আ. করিম, বাবু ওরফে হাতী বাবু, মো. মোফাজ্জল হোসেন এবং ও মো. সফিউদ্দিন আদনান ওরফে তারেক। দণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, ২০০৭ সালের ১২ মে রাত ১০টার দিকে ডেইরি ফার্ম ব্যবসায়ী মনসুর মল্লিক তার পল্লবী থানাধীন প্যারিস রোডের ডি ব্লকে অবস্থিত খামারে অবস্থান করছিলেন। এ সময় অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মিসেস তাসলিমা বেগম রাজধানীর পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ২০ আগস্ট ৬ জনকে অভিযুক্ত করে রাজধানীর পল্লবী থানার উপপরিদর্শক মো. আসলাম হোসেন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

ঢাকা/মামুন/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নীলফামারীর সাবেক এমপি তুহিনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ

দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা অবৈধ সম্পদ অর্জন ও কর ফাঁকির পৃথক দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত নীলফামারী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপি নেতা শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলামের ছেলে।

মঙ্গলবার ঢাকার পৃথক দুই বিশেষ জজ আদালতে তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। 

প্রথমে কর ফাঁকি মামলায় জামিন শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক কবির উদ্দিন প্রামাণিক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায়ের মামলাতেও তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়েছে।

শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, দুই মামলায় তাকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত সাজা দিয়েছিলেন। এ সাজার জামিন দেওয়ার এখতিয়ার আদালতের নেই। আমরা উচ্চ আদালতে তার জামিন আবেদন করবো। আশা করি উচ্চ আদালত তার জামিন মঞ্জুর করবেন।

কর ফাঁকি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত এক এগারোর পর ২০০৭ সালে তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে দুদক। এর মধ্যে কর ফাঁকির মামলায় ২০০৮ সালে পৃথক দুটি ধারায় তিন বছর ও পাঁচ বছরসহ মোট আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে বিধায় তাকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সাজা ভোগ করতে হবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন। এ ছাড়া অবৈধ সম্পদের মামলায় ২০০৮ সালে তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।

জামিনের আবেদনে শাহরিন ইসলাম উল্লেখ করেন, তিনি ১৯৯৮-১৯৯৯ কর বছর থেকে ২০০৬-২০০৭ কর বছর পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন। তিনি সেখানে তার সব সম্পদের তথ্য উল্লেখ করেছেন। বিচারিক আদালত থেকে তিনি ন্যায়বিচার পাননি বলে দাবি করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নীলফামারীর সাবেক এমপি তুহিনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ