জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ বলেছেন, ‘সমাজে মতপার্থক্য থাকবে, ভিন্নমত থাকবে। কিন্তু সহিষ্ণুতা থাকতে হবে। ঐক্যের জায়গাটা চিহ্নিত করতে হবে।’ গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক প্রকাশনা উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত ‘সাপ্তাহিক বাংলাদেশ’-এর সম্পাদক ডা.

ওয়াজেদ খান রচিত ‘বাংলাদেশের স্বপ্ন ও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান’ গ্রন্থের প্রকাশনায় আলী রিয়াজ বলেন, সবার মধ্যে ঐক্য বজায় রাখতে হবে যাতে এই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি না ঘটে। এজন্য এমন একটা রাজনৈতিক ঐকমত্যের কাঠামোতে আসতে হবে, রাষ্ট্র তার নাগরিকের সঙ্গে একটি চুক্তি করবে। ফলে নাগরিকের অধিকার সুরক্ষিত হবে, তার অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে। রাষ্ট্র জবাবদিহির মধ্যে চলবে।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো ভিন্ন কথা বলতে পারে, কারণ তারা ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক দল। একটি গণতান্ত্রিক সমাজে পার্থক্য থাকবেই। দেখতে হবে ঐক্যের জায়গাটা কোথায়। ঐক্যের জায়গাটা চিহ্নিত করতে হবে। সেই সনদ তৈরি করতে হবে যা আসলে সামাজিক চুক্তি হিসেবে ব্যবহৃত হবে, যেটি ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য দিকনির্দেশনা দেবে। এটিই হবে বাংলাদেশের সনদ।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ চায় নিরাপত্তা, ভোটের অধিকার এবং সরকার যেন তাকে না জানিয়ে যা খুশি তা করতে না পারে। মতপার্থক্যকে শত্রুভাবাপন্ন ভাবলে হবে না।

প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আজকেও যারা গৃহযুদ্ধের ভয় দেখাচ্ছে, সেটি আমার কাছে অমূলক মনে হয়। গৃহযুদ্ধ হতে হলে বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ে বিভক্ত একটা দেশ লাগে।’

প্রকাশনা উৎসবে সভাপতিত্ব করেন আহমদ পাবলিশিং হাউসের প্রকাশক মেছবাহ উদ্দিন আহমদ। চ্যানেল আইয়ের সাংবাদিক আদিত্য শাহীনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আব্দুল্লাহ, আমেরিকা বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের কো-চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান হাসান ও নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব সভাপতি মনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।


 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

দুদিনের সফরে কলকাতায় ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু দুদিনের সফরে বুধবার কলকাতায় পৌঁছেছেন। বিকেলে তিনি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ও রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা।

রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু পরে নদীয়া জেলার কল্যাণীতে অবস্থিত অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেসের (এইমস) প্রথম সমাবর্তন উৎসবে যোগ দেন। সেখানে তাঁকে সংবর্ধনা জানান এইমসের পরিচালক রামজি সিং। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি কৃতী শিক্ষার্থীদের হাতে সনদ তুলে দেন।

সন্ধ্যা ছয়টার দিকে রাষ্ট্রপতি যান দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরে। সেখানে কালীমন্দিরে পূজা অর্চনা করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর কন্যা ইতিশ্রী মুর্মু।

দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও রামকৃষ্ণদেবের বংশধর কৌশিক চক্রবর্তী রাষ্ট্রপতির হাতে মন্দিরে নিবেদিত পদ্মফুল ও প্রসাদ তুলে দেন। পরে রাষ্ট্রপতি রামকৃষ্ণদেবের বসতঘর পরিদর্শন করে রাজভবনের উদ্দেশে রওনা হন।

বৃহস্পতিবার সকালে রাষ্ট্রপতি ঝাড়খন্ড রাজ্যের দেওঘরে যাবেন। সেখানে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস (এইমস), দেওঘরের প্রথম সমাবর্তন উৎসবে যোগ দেবেন। এ প্রতিষ্ঠানেও এই প্রথমবার সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ১৬ কোটি টাকায় সারা দেশে ফুটবলের তিন টুর্নামেন্ট
  • দুদিনের সফরে কলকাতায় ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু
  • ভৌতিক গল্প নিয়ে কানাডায় নুহাশ
  • তাহলে তো স্পন্সর নিয়ে প্রোগ্রাম করলেই চাঁদাবাজি: সালাউদ্দিন
  • সিডনিতে ড্র অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের কেউ না থাকায় হতাশ প্রবাসীরা
  • ২ বছরের ভেতরে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আপত্তি নেই বিএনপির
  • ‘মুক্তির উৎসব’ করতে সহযোগিতা চেয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাবেক সমন্বয়কের আবেদন
  • এবার পরিবার নিয়ে ঘরে বসেই ‘উৎসব’
  • নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা খর্ব হলে রাষ্ট্র পরিচালনায় ভারসাম্য নষ্ট হবে: সালাহউদ্দিন
  • ওয়াকআউটের পর আবারো ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে বিএনপির যোগদান