বাস্তুচ্যুতির পরিসংখ্যান নেই, ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা
Published: 27th, February 2025 GMT
সালটা ১৯৮৮। বরিশালের উজিরপুরের বেলায়েত হোসেন তখন সদ্য বিয়ে করেছেন। ছিলেন জাহাজের কর্মচারী। সন্ধ্যা নদীর তীরে ছিল তাঁদের বাড়ি। ’৮৮–এর বন্যায় ঘরবাড়ি সব বিলীন হয়ে যায়। জীবিকার সন্ধানে নববধূর হাত ধরে বাগেরহাটের মোংলার উদ্দেশে পাড়ি জমান তিনি।
বাগেরহাটের কয়েকটি এলাকায় উদ্বাস্তুর মতো ছিলেন তিন দশক। ২০১৯ সালে মোংলা পৌরসভার নারিকেলতলা আবাসন প্রকল্পে সরকারি একটি ঘর পান বেলায়েত। পাঁচ সদস্যের পরিবারটি ৫০০ বর্গফুটের টিনের চালার ঘরটিতে মাথা গুঁজে আছে কোনোমতে।
উপকূলীয় এলাকায় নদীভাঙন, একের পর এক ঘূর্ণিঝড়সহ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত নানা দুর্যোগের মুখোমুখি হয়ে ভিটেমাটি, সহায়সম্বল হারাচ্ছেন বেলায়েতের মতো অনেকে। সুপেয় পানির সংকটের কারণে মরণব্যাধি, মেয়েদের গায়ের রং মলিন ও ত্বক খসখসে হওয়া, ফসলি জমিতে আবাদ না হওয়ার মতো জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়েও ভিটেমাটি আঁকড়ে বাঁচতে চায় মানুষ। আর কোনো উপায় না থাকলে এক জেলা থেকে আরেক জেলা, রাজধানী অথবা দেশের বড় শহরগুলোর দিকে ছোটে মানুষ। এভাবেই বাড়ছে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা।
যেন গুহা থেকে বেরিয়ে আসছে মানুষগুলো। মিরপুরের ভোলা বস্তিতে ৪০-৫০টি পরিবার এমন ‘গুহা’র মধ্যে বাস করে। দিনে যেখানে থাকে ঘুটঘুটে অন্ধকার। গতকাল দুপুরে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাঁশখালীতে পরিত্যক্ত ভবনে মিলল যুবকের লাশ
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে মো. মামুন নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত নয়টার দিকে উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের চাঁদপুর বাজার এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মো. মামুন উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক। তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, পরিত্যক্ত ভবনে লাশটি দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় অবহিত করেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। নিহত যুবকের শরীরে আঘাতের একাধিক ফোলা চিহ্ন রয়েছে। তবে তা কীসের আঘাত সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে ওই যুবকের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।