স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে মাটি ফেটে বের হচ্ছে দুর্গন্ধযুক্ত ধোঁয়া, কৌতূহলের পাশাপাশি শঙ্কা
Published: 11th, July 2025 GMT
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে আবাসিক ভবনের পাশে মাটি ফেটে বের হচ্ছে গন্ধযুক্ত গরম ধোঁয়া। প্রায় এক মাস সেখানে ওই পরিস্থিতি রয়েছে। এরই মধ্যে ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ বিভাগ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
তবে এর কারণ সম্পর্কে কেউ কিছু বলতে পারেননি। বিষয়টি নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাঁদের স্বজনদের মধ্যে কৌতূহলের পাশাপাশি শঙ্কাও দেখা দিয়েছে।
বোয়ালমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ের পূর্ব-দক্ষিণ পাশে কর্মচারীদের আবাসিক ভবন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, ওই ভবনসংলগ্ন একটি বৈদ্যুতিক পিলারের গোড়ার চারপাশে সাত থেকে আট ফুট জায়গাজুড়ে কয়েকটি গর্ত দিয়ে অনবরত ধোঁয়া বের হচ্ছে। এ সময় শোঁ শোঁ শব্দ হচ্ছে। ওপরের মাটি অনেকটা গরম। আশপাশের গাছের ডাল-পাতা পুড়ে গেছে। এর পাশে নর্দমার পানিতে বুদ্বুদ উঠছে। এসব দৃশ্য দেখতে লোকজন ভিড় জমাচ্ছেন।
আবাসিক ভবনের বাসিন্দারা জানান, প্রায় এক মাস ভবনটির পাশে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটির পাশ দিয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছে। প্রথম দিকে ধোঁয়া কম ছিল। গত বুধবার থেকে ধোঁয়া বেশি বের হচ্ছে। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় তাঁরা সাবধানে চলাচল করছেন।
এ বিষয়ে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নাজমুল হাসান বলেন, বিষয়টি দেখতে পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে জানানো হয়। ওই দুটি বিভাগের কর্মকর্তারা এসে জানান, এ ব্যাপারে তাঁদের করণীয় কিছু নেই। এ ধোঁয়ার সঙ্গে আগুন বা বিদ্যুতের কোনো সম্পর্ক নেই। ধোঁয়ার উৎস ভূগর্ভে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও (ইউএনও) জানানো হয়েছে।
ইউএনও তানভীর হাসান চৌধুরী গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, ধোঁয়া উদ্গিরণের সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য পেট্রোবাংলাসহ খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত দপ্তরে যোগাযোগ করেছেন। তবে সেখান থেকে আশানুরূপ কোনো সাড়া পাননি। ধোঁয়ার উৎস খুঁজে বের করা গেলে জানা যাবে গ্যাস থেকে ধোঁয়া হচ্ছে, নাকি অন্য কোনো বিষয় এর পেছনে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে বিশেষজ্ঞরা এলে বিষয়টি জানা সম্ভব হবে। আপতত সেখানে সতর্কতামূলক লাল পতাকা টাঙিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর মকর ত
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিল করে বিআইটি গঠনের দাবিতে সড়ক অবরোধ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিল করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (বিআইটি) গঠনের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে নগরের রহমতপুর বাইপাস মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও দিঘারকান্দা বাইপাস সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
এর আগে ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সামনে রহমতপুর বাইপাস এলাকায় শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে সড়কে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। পরে তাঁরা সড়কে বসে নিজেদের দাবি আদায়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় পুলিশ কর্মকর্তা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও অধ্যক্ষ এসে শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। তাঁরা অনড় থাকায় দুপুর ১২টার দিকে সমাবেশস্থল ত্যাগ করেন ইউএনও ও অধ্যক্ষ।
আরও পড়ুনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ভর্তি পরীক্ষা বর্জনের ডাক ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজশিক্ষার্থীদের২০ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। দাবি মানতে সময় লাগবে। এ কারণে শিক্ষার্থীদের সময় দেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
অন্যদিকে ইউএনও আরিফুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীদের দাবি সরকারের উচ্চপর্যায়ে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। জনসাধারণের দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থীদের সড়ক থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
গত ১৮ মে ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ধ্রুবজিৎ কর্মকার (২৩) চলমান শিক্ষাব্যবস্থাকে দায়ী করে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনার পর ২০ মে থেকে সব শিক্ষার্থী একাডেমিক কম্বাইন্ড সিস্টেম বাতিলের দাবিতে ক্লাস–পরীক্ষা বর্জন করে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন। ঈদের পর ১৪ জুন প্রতিষ্ঠান খোলা হলেও পাঠ ও পরীক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেননি শিক্ষার্থীরা। ২৪ জুন থেকে প্রশাসনিক ভবনে তালা দেওয়ায় বন্ধ রয়েছে প্রশাসনিক কার্যক্রমও। শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে না নেওয়ায় ৫ জুলাই থেকে বিআইটি গঠনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।