দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই শুল্ক আরোপে কঠোর নীতি অবলম্বন করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর সেই শুল্ক নীতি থেকে বাদ পড়েনি যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রতিবেশী মেক্সিকো ও কানাডাও। এ দুই দেশের পণ্যে এবার ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। বুধবার প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে মেক্সিকো ও কানাডার সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ ক্রসিং হ্রাস পেয়েছে বলে জানান ট্রাম্প। এর পরও দুই প্রতিবেশীর ওপর ট্যাক্স ধার্য করা থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন না বলে ঘোষণা দেন তিনি।

ট্রাম্প বলেন, ফেন্টানাইলের কারণে আমরা লাখ লাখ মানুষ হারিয়েছি। এর বেশির ভাগই আসে চীন থেকে। এটি আসে মূলত মেক্সিকো এবং কানাডার মাধ্যমে। আমি আপনাদের বলতে চাই, ২ এপ্রিল থেকে শুল্ক ধার্য চলবে। আপনারা এমন কিছু দেখতে যাচ্ছেন, যা আশ্চর্যজনক হতে চলেছে। মন্ত্রিসভায় ইলন মাস্ক কেবল উপস্থিতই ছিলেন না, হয়ে উঠেছিলেন মধ্যমণিও। সেখানে তিনি প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছেন বলে জানান। 

এদিকে ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি), রয়টার্সসহ আরও কিছু সংবাদমাধ্যমকে। 
প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউস মিডিয়া কভারেজ নিয়ে নতুন যে নীতি গ্রহণ করেছে, সেটির অংশ হিসেবেই এসব সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিক-প্রতিনিধিদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া কোনো সাংবাদিক, লেখক এবং কোনো সংবাদমাধ্যম বা প্রকাশনা সংস্থা যদি ‘নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক’ সূত্র ব্যবহার করে কোনো সংবাদ, বা বই প্রকাশ করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে মার্কিন প্রশাসন– ট্রাম্প এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে আরও বেশি সংখ্যায় কর্মী ছাঁটাইয়ের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। মন্ত্রিসভার বৈঠকে ভারসাম্যপূর্ণ বাজেট তৈরিতে সরকারের ব্যয় কমানোর ওপর জোর দেন ট্রাম্প। খবর রয়টার্স ও সিএনএনের।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ