পুলিশ হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার
Published: 28th, February 2025 GMT
পাবনার ফরিদপুরে পুলিশ হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ফরিদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল জলিলকে (৪৪) গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার (এসপি) মোরতোজা আলী খাঁন।
তিনি জানান, গত (২১ ফেব্রুয়ারি) আটককৃত আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মামলায় ফরিদপুর উপজেলা বেড়বাউলিয়া গ্রামে ডিবি পুলিশ আটক করলে তার সমর্থকরা পুলিশের কাজে বাঁধা প্রদান করে ডিবি পুলিশের ওপর আক্রমণ করে তাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখে। একপর্যায়ে তারা তাদের হাতে থাকা বাঁশের লাঠি, কাঠের বাটাম, লোহার রড, হাসুয়া, হাতুরি, এসএস পাইপ ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। আসামিরা বাঁশের লাঠি ও ইট পাটকেল দ্বারা রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আসামি জলিলকে গ্রেপ্তারে বাঁধা প্রদান করে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে ঘটনাস্থল হতে চলে যায়। এ সময় পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হয়। উল্লিখিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ফরিদপুর থানার এসআই মো.
এসপি মোরতোজা আলী খাঁন আরও জানান, পরবর্তীতে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনা করে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পাবনা সদর থানাধীন আলিয়া মাদরাসা মোড়, সিএনজিস্ট্যান্ড হতে গতকাল বিকেলে পলাতক আসামি আব্দুল জলিলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প বন
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’
ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।