যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে তুমুল বাকবিতণ্ডার পর ইউক্রেনীয়রা বলছেন, তাদের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নিন্দার মুখেও তার দেশের মর্যাদা ও স্বার্থের পক্ষে দাঁড়িয়ে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর ব্যক্তিদের সঙ্গে সিংহের মতো লড়াই করেছেন।

জেলেনস্কি এখন ওয়াশিংটন সফরে রয়েছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১ মার্চ) হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের সময় তাদের মধ্যে তুমুল বাকযুদ্ধ হয়। তাতে শামিল হন ভ্যান্সও। দুজনে মিলে যুদ্ধ বন্ধের জন্য চাপ দিতে থাকলে জেলেনস্কি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কোনো ধরনের আপস করবেন না। এ নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ট্রাম্প। শেষ পর্যন্ত ট্রাম্প টিম জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউজ থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন।

ট্রাম্পের সঙ্গে জেলেনস্কির এই আলোচনা বিশ্ব গণমাধ্যমে লাইভ সম্প্রচার হয়েছে। ছড়িয়ে পড়ে ভিডিও ক্লিপ। স্বভাবতই ইউক্রেনের জনগণ তাদের প্রেসিডেন্টের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন।  

আরো পড়ুন:

ট্রাম্প-জেলোনস্কি বৈঠকের অপেক্ষা, পর্যবেক্ষণে রাশিয়া

তুরস্কে রুশ-মার্কিন বৈঠক, ‘গা জ্বলছে পশ্চিমা এলিটদের’

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত নাতালিয়া সেরহিয়েনকো বলেছেন, “আমি মনে করি ইউক্রেনীয়রা ওয়াশিংটনে আমাদের প্রেসিডেন্টের ভূমিকাকে অনুমোদন করেছে। কারণ জেলেনস্কি সিংহের মতো লড়াই করেছেন।”

“তাদের এই বৈঠক ছিল উত্তপ্ত, খুব উত্তপ্ত কথোপকথন হযেছে। তবে সেখানে জেলেনস্কি ইউক্রেনের স্বার্থ রক্ষার জন্য কথা বলছিলেন,” বলেন ৬৭ বছর বয়সি সেরহিয়েনকো।

কিয়েভের আরেকজন বাসিন্দা ৩৭ বছর বয়সি আর্টেম ভ্যাসিলিভ বলেছেন, ওভাল অফিসে বাকবিতণ্ডার সময় ইউক্রেনকে অসম্মান করতে দেখেছেন তিনি। যদিও যুক্তরাষ্ট্র প্রথম দেশ, যারা ইউক্রেনের হয়ে রাশিয়ার বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিল।

ট্রাম্পের সঙ্গে জেলেনস্কির কথার যুদ্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে পূর্ব ইউক্রেনের রাশিয়া অধিকৃত লুহানস্কের বাসিন্দা ভ্যাসিলিয়েভ বলেছেন, “আমরা গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করছি। আমাদের যোদ্ধা, আমাদের সৈন্য এবং আমাদের দেশের জনগণের প্রতি মারাত্মক অসম্মান করা হচ্ছে।”

রাশিয়ার আগ্রাসনের মধ্যে ‘মানবিক মূল্য’কে স্বীকৃতি দিতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য ভ্যাসিলিয়েভ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমালোচনা করে বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট “বুঝতে পারছেন না যে, মানুষ মারা যাচ্ছে, শহরগুলো ধ্বংস হচ্ছে; মা, শিশু, সৈন্য সব মানুষ কষ্ট পাচ্ছে।”

“তিনি এটা বুঝতে পারেন না, কারণ তিনি একজন ব্যবসায়ীমাত্র। তার জন্য অর্থই পবিত্র।”

ঢাকা/রাসেল/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র শ য় ইউক র ন য দ ধ ইউক র ন র বল ছ ন আম দ র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই সনদ জনগণের নয়, কিছু উপদেষ্টার প্রয়োজন: হাফিজ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ নিয়ে অনেক কথাবার্তা হচ্ছে। আমি মনে করি—জুলাই সনদ দেশের জনগণের প্রয়োজন নেই। কিছু ব্যক্তি যারা উপদেষ্টা হয়েছেন, যারা ভবিষ্যতে বাংলাদেশে বসবাস করতে গেলে বিভিন্ন প্রশ্নের মুখে পড়বেন; তাদের জন্য হয়তো প্রয়োজন আছে।’’

শনিবার (১ নভেম্বর) ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের আয়োজনে ‘স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অপরিহার্য’ শীর্ষক মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে তিনি এই কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি মামুন, সম্পাদক রিটন

একাত্তরের গণহত্যার জন্য জামায়াত নিষিদ্ধ চান আলাল

হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘এই ধরনের সনদের আমাদের প্রয়োজন নেই। আমাদের প্রয়োজন–একটা পার্লামেন্ট। যেখানে আগামী দিনের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। যেই পার্লামেন্ট এই সনদকে বাস্তবায়িত করবে এবং আগামী গণতন্ত্রকে পরিপূর্ণভাবে বিকশিত করতে সক্ষম হবে।’’

তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে প্রয়োজন একটি নির্বাচন। যেখানে জনগণ প্রতিনিধিদের নির্বাচিত করতে পারবে। আমরা আশা করব, আগামীতে একটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পাদিত হবে। এই নির্বাচনে যারা বিজয়ী হবেন, জনগণের প্রতিনিধি হবেন; তারাই জুলাই সনদকে সমর্থন করবেন।’’

‘‘আমার দল বিএনপি জুলাই সনদকে সমর্থন করে, আমরাও এটি সমর্থন করতে বাধ্য। কিন্তু, এটার মধ্যে এমন জিনিস ঢোকাবেন না, যেটি নিয়ে আগে ঐকমত্য কমিশনের মিটিংয়ে আলোচনা হয়নি।’’- যোগ করেন তিনি।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘পিআর নিয়ে কথা হচ্ছে। দেশের জনগণকে জিজ্ঞেস করেন, কেউ পিআর চিনেও না। পিআর কেউ চায়ও না। আমরা শত বছর ধরে একজন ব্যক্তিকে নির্বাচিত করে আসছি। তারা (পিআর দাবি করা দলগুলো) ব্যক্তির কাছ থেকে, ভোটারের কাছ থেকে ক্ষমতা তুলে নিয়ে একটা রাজনৈতিক দলের কাছে সমর্পণ করতে চায়। আমরা চাই, বর্তমান যে ব্যবস্থায় নির্বাচন হচ্ছে, সেই ব্যবস্থার মাধ্যমে যাতে নির্বাচন হয়।’’

হাফিজ উদ্দিন আরো বলেন, ‘‘আমাদের একটা প্রতিবেশী রাষ্ট্র আছে, যারা চায় না বাংলাদেশ স্বনির্ভর হোক। নিজের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অক্ষত থাকুক, এটা তারা চায় না। তারা আশ্রয় দিয়েছে মাফিয়া শেখ হাসিনাকে। শেখ হাসিনা সেখানে বসে কীভাবে বাংলাদেশে নাশকতা করা যায়, সে বিষয়ে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছেন। কলকাতায় তারা অফিস খুলেছেন। আমি তাদেরকে একটা পরামর্শ দেব। শুধু কলকাতা নয়, ভারতের প্রত্যেকটা প্রদেশে আপনারা একটা করে অফিস খুলেন। ভারতের কাছ থেকে সনদ নেন। তারপরে ভারতের রাজনীতিতে আপনারা মিশে যান। বাংলাদেশে আপনাদের কোনো প্রয়োজন নেই।’’

ঢাকা/রায়হান/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইরান পারমাণবিক স্থাপনাগুলো আরো শক্তিশালী করে পুনর্নির্মাণ করবে
  • বর্তমান সংকটের জন্য সরকার দায়ী, দলগুলোর চাপে সিদ্ধান্ত বদল
  • জুলাই সনদ জনগণের নয়, কিছু উপদেষ্টার প্রয়োজন: হাফিজ
  • জ্বালানি সুবিচার নিশ্চিতে সংগ্রাম, শপথ যুব সংসদের সদস্যদের
  • বন্দরে বিএনপি নেতা তাওলাদের উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে আল্টিমেটাম
  • বিএনপি ও জামায়াত কে কোন ফ্যাক্টরে এগিয়ে
  • অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে: ফখরুল
  • সরকার নিরপেক্ষতা হারালে জনগণ মাঠে নামবে: তাহের
  • সংস্কার ইস্যুতে সব দল ঐক্যবদ্ধ থাকলেও বিএনপি অবস্থান পরিবর্তন করে
  • বিএনপি-জামায়াত দেশকে অন্য এক সংকটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী