শেরপুরে বিএনপি নেতা জাকারিয়া হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ৩ জন কারাগারে
Published: 2nd, March 2025 GMT
শেরপুর সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও শেরপুর সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক এজিএস মো. গোলাম জাকারিয়া (বাদল) হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় শেরপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কারাগারে পাঠানো তিনজন হলেন সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুর ভূইয়ারচর গ্রামের লালন মিয়া (২৮), সৌরভ মিয়া (২৬) ও খুনুয়া চরপাড়া গ্রামের মাজাহারুল ইসলাম মুরাদ (২৮)। তাঁরা বিএনপি নেতা গোলাম জাকারিয়া হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি।
শেরপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো.
গোলাম জাকারিয়া হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুবায়দুল আলম।
এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও দলীয় দ্বন্দ্বের জেরে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রতিপক্ষের হামলার সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম জাকারিয়া নিহত হন। তিনি উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের ভীমগঞ্জ গ্রামের মৃত আবদুল আজিজের ছেলে।
এ ঘটনায় নিহত গোলাম জাকারিয়ার স্ত্রী পপি বেগম বাদী হয়ে গত শুক্রবার রাতে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় কামারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা নূরে আলম সিদ্দিকী, কামারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক মো. লুৎফর রহমানসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১০ থেকে ১৫ জনকে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সদর থ ন উপজ ল ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
পাহাড়ে বাড়ছে কাজুবাদামের চাষ, চাঙা ব্যবসা
রাঙামাটি সদর উপজেলার বালুখালী ইউনিয়নের বসন্ত পাংখোয়া পাড়ায় আড়াই একর জমিতে কাজুবাদাম চাষ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা চিয়ালজল পাংখোয়া। ২০২১ সালে চাষাবাদ শুরু করেন তিনি। এ বছর তাঁর বাগানের কিছু গাছে ফলন এসেছে।
চিয়ালজল পাংখোয়া প্রথম আলোকে বলেন, চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ৬০ কেজির মতো ফলন বিক্রি করেছেন তিনি। প্রতি কেজি বিক্রি করেছেন ১০০ টাকা দরে। কারখানায় প্রক্রিয়াজাত করার পর এসব কাজুবাদাম প্রতি কেজি প্রায় দেড় হাজার টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। বাগানে বিক্রি করার মতো আরও ফলন রয়েছে জানিয়ে চিয়ালজল বলেন, ‘প্রথমবার খুব একটা আয় হবে, এমনটা বলা যাবে না। তবে বাগানের সব গাছে ফলন এলে বিক্রি করে বছরে কয়েক লাখ টাকা আয় হবে’।
বেশি লাভের আশায় চিয়ালজল পাংখোয়ার মতো পার্বত্য চট্টগ্রামে কাজুবাদামের বাণিজ্যিক চাষাবাদে ঝুঁকছেন অনেকেই। বিশেষ করে গত পাঁচ বছরে বেড়েছে কাজুবাদামের চাষ। এতে ফলন বাড়ায় জেলায় চাঙা হয়েছে কাজুবাদামের ব্যবসাও।
বাগানিদের কাছ থেকে কিনে আনা কাজুবাদাম প্রক্রিয়াজাত করার জন্য রাখা হয়েছে কারখানায়