মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার আট বছরের শিশুটি এখনো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে আছে। তাঁর অবস্থা অপরিবর্তিত বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। সন্দেহভাজন হিসেবে ভুক্তভোগীর বোনের স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়িসহ চারজন পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

আজ শনিবার সকালে মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.

মিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ভুক্তভোগী শিশুর পরিবারের সদস্যরা ঢাকায় থাকায় মামলা রেকর্ড কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে। তার বোন ঢাকা থেকে এসেছেন। মা–বাবা ঢাকায় শিশুর কাছে অবস্থান করছেন। তবে এ ঘটনায় জড়িত থাকতে পারেন সন্দেহে ভুক্তভোগী শিশুর বোনের স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি ও ভাশুর পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, শনিবার সকালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিশুটি ঢাকায় শুক্রবার রাত থেকে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। তার অবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়নি।

মাগুরায় শিশু ধর্ষণে জড়িতদের বিচারের দাবিতে থানা ঘেরাও করে 'ছাত্র জনতা'র বিক্ষোভ । ৭ মার্চ, সদর থানার সামনে, মাগুরা

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

হিমাগারে কেজিপ্রতি আলুর ভাড়া সাড়ে ৫ টাকা

রাজশাহীতে আলু চাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে হিমাগার মালিকদের দ্বন্দ্বের অবসান হয়েছে। সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে সমঝোতায় বসে দুইপক্ষ আলুর ভাড়া কেজিপ্রতি সাড়ে ৫ টাকা নির্ধারণ করেছে।

সোমবার (১৬ জুন) রাজশাহী আর্মি ক্যাম্পে দুপুর ১২টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত তিন পক্ষের মধ্যে বৈঠক চলে। এ বৈঠক শেষে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সবাই জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান। সেখানে ভাড়া নির্ধারণ করে চুক্তি করে রাজশাহী কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন এবং রাজশাহী জেলা আলু চাষি ও আলু ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি। মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পক্ষ থেকে নতুন ভাড়ার বিজ্ঞপ্তি সব হিমাগারে প্রচারের সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠকে রাজশাহী কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফজলুর রহমান, রাজশাহী জেলা আলু চাষি ও আলু ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি আহাদ আলী, সহসভাপতি আলম আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

পাম্পে গাড়ির চাপ, গণপরিবহনে বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ

সড়কে শিক্ষার্থীদের ব্যাঙ্গ চিত্র প্রদর্শন

বৈঠক শেষে সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানান, দুপক্ষের চুক্তি অনুযায়ী এখন থেকে আলুর ভাড়া নেয়া হবে কেজিপ্রতি সাড়ে ৫ টাকা। প্রতি কেজির জন্য শ্রমিক খরচ নেয়া যাবে ৫০ পয়সা। আগাম বুকিংয়ে যেসব আলু রাখা হয়েছে, সেগুলো আগের চুক্তি অনুযায়ীই ভাড়া দিতে হবে। আগাম বুকিংয়ের ক্ষেত্রেও কেজিপ্রতি ৫০ পয়সা শ্রমিক খরচ নেয়া যাবে।

প্রতি কেজি আলুর সংরক্ষণের জন্য আগে কৃষকদের ৪ টাকা ভাড়া দিতে হতো। এবার আলু ওঠার সময় ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে। এখন আলু বের করতে গেলে কেজিপ্রতি ৮ টাকা করে নিতে শুরু করে হিমাগারগুলো। এর প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভ করে আসছিলেন।
 

ঢাকা/কেয়া/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ